“In a gentle way, you can shake the world.” মুসলিমপ্রধান দেশ ইরানে এবার পরীক্ষামূলক চালু হয়েছে নিজস্ব ইন্টারনেট ব্যবস্থা 'হালাল'। এর মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ সাইটসহ বিভিন্ন বিদেশি রাজনৈতিক সাইট বন্ধ করা হয়েছে। বিশেষ করে নন-ইসলামিক ও পশ্চিমা সংস্কৃৃতি থেকে দেশটির জনগণকে দূরে রাখতে এই বিশেষ ইন্টারনেট ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
গত বছরের মার্চ মাসে ইরান দেশটিতে হালাল ইন্টারনেট আনার ঘোষণা দেয়। যুক্তরাষ্ট্র প্রভাবিত ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ও ইসলামিক কনটেন্ট প্রকাশ করতে এমন ঘোষণা দেয় ইরান।
দেশটির অর্থনীতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী আলী আঘা মোহাম্মাদি বলেন, 'ইসলামিক নিয়মনীতি অনুসরণ করে এই ইন্টারনেট ব্যবস্থা আনা হয়েছে। এটি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের মতোই সারাবিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে সংযোগ স্থাপন করবে। 'এটা হবে সত্যিকারের হালাল নেটওয়ার্ক, যাতে মুসলমানদের নৈতিক এবং মূল্যবোধ বিবেচনা করা হবে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এটি পুরোপুরিভাবে চালু করা হবে। পরীক্ষামূলকভাবে চালু এ ব্যবস্থায় ব্যবহারকারীরা বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
নেটওয়ার্ক কানেকশন অত্যধিক দুর্বল। বিভিন্ন রাজনৈতিক সাইট ও ভিপিএন বস্নক করা হয়েছে। ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) বস্নক করার কারণে ব্যবহারকারীরা সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুক, টুইটার, ভিডিও শেয়ারি সাইট ইউটিউব ব্যবহার করতে পারছে না। দেশটিতে সামাজিক যোগাযোগ সাইট বন্ধের বিষয়টি এবারই প্রথম নয়; এর আগে ২০০৯ সালে দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে এমনই ব্যবস্থা নেয়া হয়। উল্লেখ্য, বর্তমানে ইরানে প্রায় ২ কোটি ৩০ লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে।
হালাল নেটওয়ার্ক পুরোপুরি চালু হলে এই ব্যবহারকারীরা শুধু নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটগুলো দেখার সুয়োগ পাবেন
ইরানে পরীক্ষামূলকভাবে হালাল নেটওয়ার্ক চালু ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।