Never argue with idiots. They bring you down to their level and then beat you with experience
পারমাণবিক মতাধর ইসলামি প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র ইরানে আজ শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। কে হতে যাচ্ছেন মাহমুদ আহমাদিনেজাদের উত্তরসূরি অর্থাৎ দেশটির পরবর্তী শাসক- এ প্রশ্ন এখন ইরানিদের মুখে মুখে। রেডিও তেহরানের গতকালের খবরে বলা হয়েছে, সর্বশেষ এক জনমত জরিপে দেখা গেছে, প্রথম দফায় এর সুরাহা না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। অর্থাৎ নির্বাচন ‘রানঅফ’ বা দ্বিতীয় পর্যায়ে গড়ানোর সম্ভাবনাই বেশি।
দেশটির নির্বাচনি আইনে বলা হয়েছে, কোনও প্রার্থী মোট গৃহীত ভোটের শতকরা ৫০ ভাগের বেশি পেতে ব্যর্থ হলে সে নির্বাচন দ্বিতীয় পর্যায়ে গড়াবে।
দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্বাচনে প্রার্থী থাকবেন মাত্র দুজন। অর্থাৎ প্রথম দফার নির্বাচনে যে দুজন প্রার্থী সর্বোচ্চ ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পাবেন, তারাই রানঅফ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। দ্বিতীয় দফায় জয় পরাজয় নির্ধারিত হবে। বলাবাহুল্য, সেক্ষেত্রে একজন প্রার্থী শতকরা ৫০ ভাগেরও বেশি ভোট পাবেন।
জনমত জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, আজকের নির্বাচনে ৬ প্রার্থীর কেউই শতকরা ৫০ ভাগের বেশি ভোট পাবেন না।
দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে পরের শুক্রবার অর্থাৎ ২১ জুন। দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী অভিভাবক পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবেন। এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগবে।
গত বুধবার নির্বাচনি প্রচারণার শেষ দিনে ৬ প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর সবাই ছিলেন প্রচারণা নিয়ে যারপরনাই ব্যস্ত, ছুটে বেড়িয়েছেন দেশটির এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। প্রার্থীরা নানা সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্র“তি দিয়ে বিভিন্ন জনসভায় ভাষণ দিয়েছেন।
এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রণশীল প্রার্থী ৩ জন- সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী আকবর বেলায়েতি, তেহরানের মেয়র বাকের কলিবফ ও সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিষদের সচিব সাঈদ জালিলি। সংস্কারপন্থী প্রার্থী রয়েছেন একজন। তিনি হলেন সাবেক প্রধান পরমাণু আলোচক হাসান রুহানি। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন বিশেষজ্ঞ পরিষদের সচিব মোহসেন রেজায়ি ও সাবেক টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোহাম্মদ কারাজি। উল্লেখ্য, প্রাথমিকভাবে এ নির্বাচনের প্রার্থী ছিলেন ৮ জন।
এদের মধ্য থেকে রণশীল প্রার্থী ও সাবেক পার্লামেন্ট স্পিকার হাদ্দাদ আদেল সরে দাঁড়িয়েছেন। সেইসঙ্গে নির্বাচনি দৌঁড় থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন সংস্কারপন্থী প্রার্থী ও সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রেজা আরেফ।
প্রসঙ্গত, বিশ্বরাজনীতিতে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কারণ মার্কিন সাম্রাজ্যবাদবিরোধী হাতে গোনা কয়েকটি দেশের মধ্যে একটি ইরান। দেশটির বর্তমান সরকারব্যবস্থা সৃষ্টি হয়েছে মূলত মার্কিন-ইসরায়েলি তাবেদার রেজাশাহ পাহলভীর বিরুদ্ধে বিপ্লব ঘটিয়ে।
সেই সুবাদে বর্তমানে ইরানের সঙ্গে লাতিন আমেরিকা, উত্তর কোরিয়া, চীনের মতো সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোর অত্যন্ত মধুর সম্পর্ক বিদ্যমান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।