বেশ কিছুদিন ধরে ফেসবুকে একটা পোস্ট আসছে। এক ব্যাক্তি নাকি ছোটবেলায় অন্ধকার ভয় পাইত, এখন ইলেক্ট্রিক বিল দেখার পর থেকে আলো দেখলে ভয় পায়।
আসলে ছোটবেলার সবকিছুই যে নিছক খেলো কল্পনা এইটা বুঝানোর জন্যই সরকারের এই ব্যাবস্থা।
আমার পরিচিত একটা বিদ্যুৎ বিহিন গ্রাম ছিল। মাথা না থাকলে যেমন বেথা থাকেনা, তেমনই,, বিদ্যুৎ ছিলনা বলে লোডসেডিং-ও ছিলনা।
। হঠাৎ একদিন বিদ্যুৎ আসলো। সবার ঘরে ঘরে টিভি। এইবার শুরু হইল ফাপরের খেলা। দিনে বিদ্যুৎ থাকে কিন্তু রাতে কেরোসিন শিখাই ভরসা।
ফলাফল দিগুন খরচ।
এইজন্যই কবি জগাই বলেছেন, "বাতি দেখে কেউ হাসিসনে ভাই, মাস শেষে তার বিল আসে"।
ছোটবেলায় মনে তো কত কিছু চাইতো। এখন তো মনটাই ছোটহয়ে গেছে। ছোটবেলায় ভাবতাম পরি না পাই পরির মত রাজকন্যারে পাইতে হবে।
ছ্যাকা খেতে খেতে এমন অবস্থা হয়েছে, এখন মেয়ে দেখলেই ভয়পাই।
তেমনই, ছোটবেলায় পড়তে বসলে খালি দোয়া করতাম কখন কারেন্ট যাবে। আর এখন দোয়া করি, কখন কারেন্ট আসবে।
অবস্য কবি জগাই এর মত আধাখেচড়া শহুরে কবিদের জন্য লোডশেডিং কিন্তু খারাপ না। নিভৃত আঁধারে মনে যে ভাব আসে তা কবিতার খাতায় কিংবা প্রেমিকার কানে উদ্ গিরন করার জন্য এরচেয়ে ভালো সময় আর কখন হবে? তবে জগাইএর মনে একটাই দুখঃ।
খাতা বাসার নিচের মুদির দোকানে পাওয়া গেলেও,, কোন রমনির কান এখনো পাওয়া যায়নি।
যাইহোক, এই সুত্রে বলা যেতে পারে,, ভবিস্যতে কোনদিন যদি লোডসেডিং মুক্ত বাংলা প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে কবি এবং প্রেম কবিদের, কাব্য এবং প্রেম-কাব্য চর্চা বিঘ্নিত হবে। দেখাগেল সেই সময় একটা লোডসেডিং রক্ষাকমিটি তৈরি হয়ে গেল। লোডসেডিং রক্ষাকমিটির আজকে পল্টনে জনসভা। কবি জগাই ভাসন দিচ্ছে___
"" ভাইসব।
আমাদের ঐতিহ্য বলতে আর কি আছে? কিছুনাই, সব শেষ। পদ্মায় এখন ইলিশ নাই , সব গঙ্গা আর সিন্ধুতে চলেগেছে। বিগত ২৫ টি সরকার বাংলার ঐতিহ্য রক্ষায় কিছুই করতে পারে নাই। মাছ গেছে, গাছ গেছে, এক রয়েল বেঙ্গল ছিল,, শাহরুক খান নতুন ট্যারিফ দেখিয়ে সেইটাও নিয়ে গেল। ওই পাশের রয়েল ট্রিটমেন্ট ফেলে তারা কি আর এই পারে আসে?
থাকার মদ্ধে ছিল এক লোডশেডিং, তাও আজ বিশ্বব্যাংক আর আই এম এফ এর প্রেসক্রিপশনে, বিলুপ্তির পথে।
আমরা জানি, এই লোডশেডিং বাংলার ঘরে ঘরে কি পরিমান কবি জন্ম দিয়েছে। আজ এই লোডশেডিং এর উপরে আঘাত আমাদের সবার উপরে আঘাত। অবশেষে বলতে চাই, এই ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে সকলে সচ্চার হন। দিনে কমপক্ষে এক ঘন্টা করে লোডশেডিং দেয়ার দাবি আমরা অতি-সত্তর সরকার বরাবর পেশ করবো। অবশেষে আরো বলতে চাই___ বাংলার মাছ, বাংলার বাঘ
বাংলার লোডশেডিং;
এসব নিয়ে সরকার তোমার
চলবেনা কোন চিটিং।
""
বিরোধি দল থেকে একটা বিবৃতি দিলে কেমন হয়?___
"" বাংলাদেশ আম টিম বাংলার ঐতিহ্য রক্ষায় বিশ্বাসী। আমাদের সরকারের সময় জনগন যেন লোডসেডিং ভুলে না যায় সেই লক্ষে আমরা দিনে দুই ঘন্টা করে লোডসেডিং দিতাম, আর এই সরকার এসে তাদের বিদেশি বন্ধুদের তাবেদারি করে লোডসেডিং বন্ধকরে দিয়েছে। জনগন এই সরকার কে চিনে ফেলেছে। জনগন এখন আর এই সরকারের সংগে নাই। ""
পলিটিক্যাল বিবৃতি আর পাল্টা বিবৃতি লিখে শেষ করা যাবেনা, তাই ওই দিকে আর না আগাই।
তার বদলে দুটো লোডসেডিং জোকস বলা যায়।
১। "" এক আমেরিকান বাংলাদেশে এসেছে বাংলা শিখতে। ১৫ দিন থেকে সে দুটো বাক্য শিখল।
(!) আহ্, বিদ্যুৎ আসলো।
(!!) অর মায়রে বাপ। আবার চলে গেল। ""
২। "" শিক্ষকঃ বলত বিদ্যুৎ কথ্যেকে আসে।
ছাত্রঃ আমার মামার বাসা থেকে।
শিক্ষকঃ কিভাবে?
ছাত্রঃ লোডসেডিং হলেই বাবা বলে, শালারা আবার লোডশেডিং
দিল। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।