আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড

আমি খুব জ্ঞান পিপাসু ।সবার শুভকামনা চাইছি হ্যা, পরিকল্পিতই তো। ভবনে কোন ফায়ার এস্কেপ না রাখা, সব গুলো সিড়ির মুখ বন্ধ করে বেজমেন্টকে সূতার গোডাউন বানানো, দাহ্য সূতা রাখার গোডাউনের পাশেই জেনারেটর রুম তৈরীর করা, শ্রমিকদের কাজের সময় প্রত্যেকটা ফ্লোরের কলাপসিবল গেইট তালা মেরে রাখা, আগুণ লাগলেও তালা না খোলা- এগুলোর প্রত্যেকটিই নিখুত ব্যাবস্থাপনায় বহুদিন ধরে চর্চিত “ মুনাফা সর্বোচ্চ করণ পরিকল্পনা”র অংশ। ঠান্ডা মাথায় দিনের পর দিন এই ধরণের “মুনাফা সর্বোচ্চকরণ পরিকল্পনা” বাস্তবায়নের কারণেই আগুনে এত জন শ্রমিক মরেছে, এই ধরণের পরিকল্পনার অস্তিত্ব না থাকলে, কোন ভবনে স্রে্ফ আগুণ লাগলেই(পরিকল্পনা বা দুর্ঘটনা – ভাবেই লাগুক) এতগুলো মানুষ পুড়ে মরে না। আগুণ কিভাবে লাগলো সেটা একটা প্রশ্ন কিন্তু মূল প্রশ্ন নয়। মূল প্রশ্ন হলো যেভাবেই লাগুক না কেন, আগুণ লাগার ফলে মানুষগুলো বের হতে পারল না কেন, মানুষগুলোকে এভাবে পুড়ে মরতে হলো কেন। এই প্রশ্নের উত্তর না খুজে, মুনাফা সর্বোচ্চকরণ পরিকল্পনাকারী ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা কারী মালিক, ম্যানেজার, কারখানা পরিদর্শক দপ্তর, ভবনের নকশা অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ, সরকার, সরকারের শিল্প ও শ্রম মন্ত্রণালয় ইত্যাদি ব্যাক্তি ও ব্যাবস্থাকে সনাক্ত না করে, শাস্তি না দিয়ে, পাল্টানোর ব্যাবস্থা না করে স্রেফ ‘আগুণ কে লাগালো’ জাতীয় প্রশ্নকে মুখ্য করে তোলা, ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব তালাশ করা বাস্তবে মূল অপরাধী ও অপরাধী ব্যাবস্থাকে আড়াল করা ও টিকিয়ে রাখারই আরেক পরিকল্পনা- যার বাস্তবায়নে আবারও এরকম গণহত্যার ঘটনা ঘটবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.