ফাইটার , ইন্টারসেপটার , অ্যাটাকার এবং মালটিরোল ফাইটার কেন বলে? প্রথম কথা হল সবগুলোই ফাইটার প্লেন । কিন্তু এই ফাইটার বা যুদ্ধ বিমান গুলোর কার্য উপযোগিতা, অস্ত্র বহন উপযোগিতা এবং গতির উপর নিভর করে একেকটিকে একেকটি নাম দেওয়া হয় ।
ইন্টারসেপটারঃ সব ইন্টারসেপটার ই ফাইটার কিন্তু সব ফাইটার ইন্টারসেপটার না। তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন ইন্টারসেপটার এর ব্যাবহার এর প্রচলন করে । মার্কিন বম্বার গুলো যখন অ্যামেরিকা থেকে উড়ে যেয়ে সোভিয়েত ইউনিয়ন এর মাটিতে হামলা করার সম্ভবনা দেখা দেয় তখন সোভিয়েত ইউনিয়ন MiG-23 ইন্টারসেপটার ফাইটার বানায়।
ইন্টারসেপটার এর কাজ হল যে বম্বার অলরেডি দুর থেকে উড়ে এসেছে তাকে মোকাবেলা করা। অর্থাৎ ইন্টারসেপটার কে অনেক দূর উড়ে যাবার দরকার পড়বে না বরং শত্রু তার কাছে উড়ে আসবে । এটাকে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছাতে হবে, বম্বার প্লেন যে উচ্চতায় আছে সেই উচ্চতায় বা তার চেয়ে বেশি উপর পযন্ত যেন দ্রুত উঠতে পারে এ জন্য এর গতিও হয় অন্য যে কোন ধরনের ফাইটারের থেকে অনেক বেশি । এবং বম্বার এর মত বড় শক্তিশালী প্লেন কে মোকাবেলা করার মত যথেষ্ট অস্ত্র ও গলাবারুদ বহন করার ক্ষমতা থাকতে হবে। এই জন্ন্য একটি ইন্টারসেপটার অন্য ফাইটার গুলো থেকে বড় হয় যেন ভারি অস্ত্র বহন করতে পারে ।
তেলের টাঙ্ক ছোট হয় যেহেতু তাকে অনেক দূর উড়ে যাবার দরকার পড়বে না । এবং তেলের ভার কমিয়ে সেই জায়গায় ভারি অস্ত্র বহন করতে পারে । আর এই সমস্ত সক্ষমতা পেতে যেয়ে তাকে কম উচ্চতায় যে সব ডগফাইট হয় সেই ক্ষমতা সাক্রিফাইস করা লাগে । যেমন: MiG-31, MiG-25 ,Shenyang J-8, Tornado ADV.
বর্তমানে রাশিয়া, চিন এবং আরও কিছু দেশের কাছে একটিভ ইন্টারসেপটার রয়েছে কিন্তু এর ব্যাবহার এখন প্রায় নেই বললেই চলে । বম্বার এর জায়গায় যখন অন্তঃমহাদেশিও ক্ষেপণাস্ত্রর ব্যাবহার শুরু হয়েছে তখন থেকে ইন্টারসেপটার ফাইটার এর ব্যাবহার অযৌক্তিক হয়ে পড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র F-106 এর পর আর ইন্টারসেপটার ফাইটার ব্যাবহার করেনি।
ফাইটারঃ আকাশে দ্রুত গতিতে একটি প্লেনের সাথে অরেকটি প্লেনের যে ডগফাইট হয় সেগুলোতে এই ফাইটার প্লেন গুল সাধারণত অংশ নিয়ে থাকে। অর্থাৎ আকাশ থেকে আকাশে আক্রমণ চালনা করাই এর প্রধান কাজ । ডগফাইট এ অংশ নেবার জন্য এগুলোর ম্যানুভার ক্ষমতা বা দ্রুত গতি এবং দিক পরিবরতন এর ক্ষমতা অনেক অনেক বেশি হয় আর সেই জন্য এর আকৃতি ইন্টারসেপটার এর থেকে ছোট করা হয় । আসলে দ্রুত গতি এবং দিক পরিবরতন হল এর আসল ক্ষমতা।
ফাইটার গুলর লক্ষ বস্তু হল শত্রু পক্ষের আরেকটি ফাইটার। এবং নরমালি আরেকটি ফাইটার ও এটির মতই ছোট হয় অতএব তাকে ধ্বংস করার জন্য বড় অস্ত্র বহন করার দরকার পড়ে না। ছোট অস্ত্র বহন করাতে যে জায়গা বাচে সেখানে তুলনা মূলক বেশি তেল বহন করতে পারে। কারন এই ফাইটার গুলো কে অনেক দূর উড়ে যেয়ে শত্রু পক্ষের মোকাবেলা করা লাগে । অথবা শত্রু পক্ষের ফাইটার গুলকে তাড়িয়ে অনেক দূর নিয়ে যেতে হয় ।
অনেক উঁচুতে ওঠার দরকার পড়ে না কারন ডগফাইট গুলো ভুপিষ্ট থেকে ১৫০ ফুট উপর থেকে ৩০০০ হাজার ফুটের ভেতর হয়ে থাকে । যেমনঃ F-16 Fighting Falcon, Sukhoi Su-27,
অ্যাটাকার ফাইটারঃ অ্যাটাকার ফাইটার গুলো কাজ হল আকাশ থেকে ভুমিতে আক্রমণ চালনা করা । এগুলোর লক্ষবস্তু হল পদাতিক সৈন্য, আর্মি ট্রাক,এপিসি, ট্রাংঙ্ক,এবং অন্য লক্ষবস্তু যা ভুমিতে অবস্থিত । এই ফাইটার গুলোর গতি অন্য ফাইটার গুলো থেকে কম হয় । এগুলোর সবচেয়ে জরুরি গুণ হল খুব নিচু দিয়ে উড়তে পারে যেমন মাত্র ৬০ ফুট উপর দিয়ে উড়তে পারে।
কামান ফিট করা থাকে ব্যাপক এরিয়ায় বম্বিং না করে নিদিষ্ট অল্প জায়গায় আক্রমন করার জন্য এগুলো ব্যাবহার করা হয় । AV-8B Harrier II, A-10 thunderbolt . A-4 Skyhawk.
মালটিরোল ফাইটারঃ আগে যে তিন প্রকার বলেছি সেগুলো বর্তমানে ধিরে ধীরে বন্ধ করে দিয়ে তার জায়গায় মালটিরোল ফাইটার যুক্ত হচ্ছে । মালটিরোল ফাইটার আগে যে তিন প্রকার কাজ এর কথা বলেছি সেগুলো সব ই করতে পারে তাই এটির নাম মালটিরোল ফাইটার। আগে প্রযুক্তির অভাবে খুব উঁচুতে যে ফাইটার উড়তো তাকে খুব নিচুতে উড়ানো যেত না । ফলে কার্য ভেদে আলাদা আলাদা ফাইটার বানাতে হত ।
বর্তমানে প্রযুক্তির উন্নতির কারনে এ ধরনের মালটিরোল ফাইটার বানানো সম্ভব হচ্ছে । একি ফাইটার কে খুব নিচুতে নামানো যাচ্ছে আবার অনেক উঁচুতে উঠানো যাচ্ছে । খুব দ্রুত বা খুব ধিরে চালানো এমন কি হেলিকপ্টার মত ভারটিকালি ল্যান্ড করানো যাচ্ছে । অর্থাৎ বর্তমানের সবচেয়ে লেটেস্ট প্রযুক্তি হল এই মালটিরোল ফাইটার গুলো। সেই জন্য যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া সহ সব দেশ নতুন যত ফাইটার বানাচ্ছে সব মালটিরোল ফাইটার বানাচ্ছে এবং যাদের পক্ষে সম্ভব তারা তাদের পুরানো অ্যাক্টিভ ফাইটার গুলোর বেশির ভাগ কে মালটিরোল ফাইটারে কনভার্ট করার পরিকল্পনা করেছে ।
Shenyang J-10,
টীকাঃ
*** আধুনিক ফাইটার গুলোতে রাডার ফাকি দেবার প্রযুক্তি দেওয়া থাকে তাই এগুলো কে Stealth aircraft ও বলা হয় ।
** বর্তমানে সার্ভিসে আছে এমন সেরা ১০টি ফাইটার হলঃ, F-22 Raptor , Sukhoi Su-35, Eurofighter Typhoon, SU-30 MKI, Dassault Rafale, JAS 39 Gripen, F/A-18 Hornet, F-15 Eagle, MiG- 29, Mirage 2000 ।
** সবচেয়ে দ্রুত এবং উঁচুতে উড়তে পারে ইন্টারসেপটার ফাইটার গুলো। এবং বর্তমানে একটিভ যে ফাইটার সবচেয়ে দ্রুত এবং উঁচুতে উড়তে পারে তা হল একটি রাশিয়ান ইন্টারসেপটার MiG-25 । মিগ-২৫ সর্বউচ্চ ২১৭০ মাইল/ঘন্টা বেগে ৮০,০০০ ফিট উঁচুতে চলতে পারে যা রেগুলার টাইপ টার্বোজেট ফাইটার এর ক্ষেত্রে অতিত থেকে বর্তমানের সকল ফাইটার এর ভেতর দ্বিতীয় এবং বর্তমানে একটিভ ফাইটার গুলোর ভেতর প্রথম।
এগুলোকে নেক্সট মডিফিকেশন এ মালটিরোল ফাইটারে কনভার্ট করার পরিকল্পনা চলছে।
** রেগুলার টাইপ টার্বোজেট ফাইটার এর ক্ষেত্রে অতিত থেকে বর্তমানের সকল ফাইটার এর ভেতর সবচেয়ে দ্রুত এবং উঁচুতে উড়তে পারার রেকর্ড যে ফাইটার টির সেটি হল Lockheed SR-71 Blackbird। SR-71 সর্বউচ্চ ২২০০ মাইল/ঘন্টা বেগে ৮০,০০০ ফিট উঁচুতে চলতে পারতো । এটি যুক্তরাষ্ট্রর একটি রিকোনেইসেন্স (পরিদর্শন) ফাইটার ছিল । ১৯৬৬ সাল থেকে এটি চলছিল এবং এটির ব্যাবহার বন্ধ করা হয়েছে ১৯৯৮ সালে ।
** বাকি রেকর্ডঃ
*X-15 যুক্তরাষ্ট্রর তিনটি ফাইটার এর পরীক্ষা মূলক প্রজেক্ট । এটি প্লেনের ডানায় করে নিয়ে আকাশে ছাড়া হত। সেখান থেকে উড়ে ল্যান্ড করা পযন্ত ভেতরে একজন পাইলট চালাত। X-15 সর্বউচ্চ ৪৫২০ মাইল/ঘন্টা বেগে ৩৫৪৩৩০ ফিট উঁচুতে চলতে পারতো । এটির পেছনের চাকার জায়গায় স্কি ছিল।
এবং এটি সাধারন টার্বোজেট এঞ্জিন এর জায়গায় রকেট ইঞ্জিন ব্যাবহার করতো । ১৯৭০ সালে এটির ব্যাবহার বন্ধ করা হয়েছে।
* MiG-Ye-166 সোভিয়েত ইউনিয়নের একটি পরীক্ষা মূলক ফাইটার। এটি একটি রেগুলার টাইপ টার্বোজেট ফাইটার, এর রয়েছে সর্বউচ্চ ১২৩০০০ ফিট উঁচুতে উঠার রেকর্ড । তবে এটিও পরীক্ষা মূলক ভাবে একটিই তৈরি হয়েছিল।
* * নাসার রেকর্ডঃ নাসার কিছু গতি এবং উচ্চতার রেকর্ড আছে কিন্তু সে গুলো ফাইটার প্লেন থেকে রকেট এর ভেতর বেশি পড়ে তাই উল্লেখ্য করলাম না ।
** ফাইটার এত এত গতি আর উচ্চতায় চল্লেও আমাদের যাত্রিবাহি বিমান গুলো চলে মাত্র ৫৪৫ থেকে ৫৭৫ মাইল/ঘণ্টা বেগে এবং ৩৬০০০ থেকে ৪৫০০০ ফুট উচ্চতায়।
** ডগফাইট কথাটা এখন অপ্রচলিত । প্রথম বিশ্বযুদ্ধর সময় থেকেই এটি চলে আসছে । তবে তখন এটি বেশির ভাগ পাইলট এর কৌশলের উপর নির্ভর করতো কিন্তু এখন ফাইটার প্লেনগুলোতে আরও মর্ডান টেকনোলজি যুক্ত হয়েছে ।
ফাইটার প্লেনগুলো আরও দ্রুত চলতে পারে এবং দ্রুত গতি এবং দিক পরিবরতন করতে পারে ফলে ডগফাইট কথাটা চেঞ্জ হয়ে গেছে। এখন বলা হয় এয়ার কমব্যাট ম্যানুভারিং ।
** ফাইটার প্লেন গুলর ভেতর আরও কয়েকটা ভাগ আছে যেমনঃ এয়ার সুপ্রিওরিটি ফাইটার,হেভি ফাইটার, নাইট (ব্যাড ওয়েদার) ফাইটার,এসকট ফাইটার, রিকোনেইসেন্স (পরিদর্শন) ফাইটার ইত্যাদি ।
** জার্মান Fokker E1 কে ধরা হয় প্রথম ফাইটার প্লেন । প্রথম বিশ্বযুদ্ধর সময় প্রথম ব্যাবহারিত হয় ।
এটি সর্বউচ্চ ৮১ মাইল/ঘন্টা বেগে ৯৮৪০ ফিট উঁচুতে চলতে পারতো ।
** সারা পৃথিবীতে মোটামুটি ২৮৬০০ র কিছু কম বা কিছু বেশি একটিভ যুদ্ধ বিমান আছে। যুক্তরাষ্ট্রর আছে ৪২২৮ টি রাশিয়ার আছে ২৫৩১ টি একটিভ ফাইটার প্লেন। আসলে ঠিক ভাবে বলা একটু কঠিন কারন প্রতিদিনি কিছু নতুন যোগ হচ্ছে কিছু বাদ দেওয়া হচ্ছে ।
** শুরু থেকে আজ পযন্ত ১২৭৯ রকম নামের বা মডেলের ফাইটার প্লেন তৈরি অথবা প্লান করা হয়েছে এবং টোটাল ৬৫১৩৬৯ ফাইটার প্লেন তৈরি অথবা প্লান করা হয়েছে।
** জার্মানির Messerschmitt Bf 109 মডেলের এই প্লেন ৩৩৯৮৪ টি তৈরি করা হয়েছিল । একই মডেলের প্লেন বেশি তৈরি করার এটিই রের্কড।
** প্রথম জেট ফাইটার প্লেন হল জার্মানির Messerschmitt Me 262 Schwalbe এবং যুক্তরাজ্যর Gloster Meteor। উভয়টি এভারেজ ৬০০ মাইল/ঘন্টা বেগে ৪০,০০০ ফিট উঁচুতে চলতে পারতো ।
** নতুন কি হচ্ছে? রাশিয়া Sukhoi PAK FA (T-50) এবং চীন Chengdu J-20 ফিফথ জেনারেশন ফাইটারের টেস্ট চালাচ্ছে ২০১৬-২০১৭ নাগাদ সার্ভিসে প্রবেশ করবে।
যুক্তরাষ্ট্র ,তাদের ফিফথ জেনারেশন ফাইটার F-35 Lightning II এর টেস্ট অলমোস্ট শেষ করে ২৪৪৩ টি বানানোর পরিকল্পনা করছে এই প্রজেক্টে যুক্তরাষ্ট্রর সাথে আরও ১১ টি দেশ যুক্তরাজ্য, ইতালি , নেদারল্যান্ড, অস্টেলিয়া, কানাডা, ডেনমার্ক, নরওয়ে, টার্কি, ইসরায়েল, সিঙ্গাপুর এবং জাপান যুক্ত আছে । বাকি ১১ টি দেশ ৩১০০ টি কিনবে জানা গেছে । এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র অলরেডি ঘোষণা দিয়েছে ৬ষ্ট প্রজন্মর ফাইটার বানানোর । তবে মডেল বা নাম ঘোষণা করেনি।
** বাংলাদেশের এর মোট ৬৩ টি ফাইটার প্লেন আছে ।
৮ টি MiG-29 , ৪২ টি Chengdu J-7 (Mig-21 China Variants ), ৭ টি Nanchang Q-5 ( MiG-19 Attack, China Variants ), ৭ টি Aero L-39 Albatros ( ট্রেনিং এবং লাইট অ্যাটাক ) এবং ৬ টি Shenyang J-6 (ট্রেনিং এবং MiG-19,China Variants)।
** আগেই বলেছি আমাদের MiG-29 সেরা ১০ টি বিমানের ভেতর আছে। উকির তথ্য অনুযাই MiG-29 যুক্তরাষ্ট্রর F-15 এবং F-16 এর সমতুলনিও। এবং মজার তথ্য হল খোদ যুক্তরাষ্ট্র ৩টি MiG-29 এবং ২ টি Sukhoi Su-27 কিনেছিল যা এখনো তারা একটিভ রেখেছে।
**বেসরকারী মালিকানায় ফাইটার জেট রাখা সম্ভব।
এখন পযন্ত কমপক্ষে ৫০০ বেসরকারী মালিকানায় ফাইটার জেট এর হিসাব পাওয়া গেছে। এর বেশিরভাগ যুক্তরাষ্ট্রে এবং এর ভিতর উল্লেখযোগ্য ১টি F4 Phantom II ৫ টি MiG-29, ১ টি Sea Harrier ,২ টি Su-27, বেশ কিছু F86, MiG-21, MiG-19, MiG-17, MiG-15, L-39C ALBATROS, ইত্যাদি এবং প্রচুর ট্রেনিং জেট। শর্ত হল এগুলোর অস্ত্র ফাংশন থাকবে না।
শেষতথ্যঃ ফাইটার প্লেন এর বাংলা যুদ্ধবিমান কিন্তু যুদ্ধবিমান মানে কিন্তু শুধু ফাইটার প্লেন না কারন বোম্বার ও যুদ্ধবিমান ।
সুত্রঃ সকল ছবি নেট থেকে নেওয়া ।
সকল তথ্য উইকি থেকে নেওয়া । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।