তুই ভালো থাকিস, আমি সুন্দর থাকবো ২০০৪ এর জানুয়ারীর শীতের সকাল, নতুন সেমিষ্টার মাত্র শুরু হলো, ১ম ক্লাশটা শেষ করেই পিয়া কে সীল মেরে বটতলা থেকে বিচি সিঙ্গারা খেয়ে জাহাঙ্গীরের দোকানে এসে আড্ডা মারছিলাম আর সিগারেট কেক খাচ্ছিলাম (আমার আর পলিনের মাঝে একটা অলিখিত চুক্তি ছিল, জাহাঙ্গীরের দোকান থেকে যেই কেক নিক আরেকজনকে অর্ধেক দিতে হবে। বাকি ছেলে পেলে যখন সিগারেট ভাগাভাগি করে খেত আমি আর পলিন খেতাম কেক, তখনো সিগারেট খাওয়াটা শুরু করিনি)। দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে বাচ্চা বাচ্চা নতুন মেয়েদের আসা যাওয়া দেখছিলাম এসময় হন্তদন্ত হয়ে রুমেল এসে হাজির। মুখে এভারেষ্ট জয়ের হাসি দিয়ে বলে জাহাঙ্গীর তোর মুত বানাইয়া (জাহাঙ্গীরের মুতের মত সুস্বাদু চা) সবাইরে দে। ঘটনা জানতে চাইলেই বলতে শুরু করলো, “বাসে করে আসছিলাম, কাছাকাছি আসার পর যখন বাস থাইকা নাইমা যামু এই সময় কন্ট্রাক্টার কয়, যারা যারা ভাড়া দেন নাই ভাড়া দিয়া যাইয়েন, নাইলে বাসর রাইতে বউ মইরা যাইব। আমি দরজা থেকে ফিরে গিয়ে ৫ টাকার ভাড়া ২০ টাকা দিয়া কইলাম, মামা আগে ২/৩ দিন ভাড়া দেইনাই, পুরাটাই রাইখা দাও, তাও আমার বৌ মাইরো না। “ --টাকা শোধ কইরা দিয়া আসছি, এখন আর আমার বৌ বাসর রাইতে মরবো না। আমরাও মহা আনন্দে বৌ না মরার খুশিতে সত্যিকারের চা খাচ্ছি এমন ভাব ধরে জাহাঙ্গীরের মুত খেতে লাগলাম ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।