আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাগরের গভীরে-গুহার গহীনে কিংবা গভীর বনের মাঝে খুঁজে ফিরি গ্রের সেই এলিজি

aurnabarc.wordpress.com অনেক অনেক দিন আগের কথা। বড়জোর ক্লাস ফোর বা ফাইভে পড়ি। প্রকৃতি ভাষাজ্ঞান আর তত্ত্বকথা হজম করার বয়স সেটা নয়। যদিও কাউকে না জানিয়ে বড়দের বই বিশেষ করে থ্রিলার বা রোমান্টিক উপন্যাস পড়া আমার খুব বাজে একটা স্বভাব ছিল। বিশেষ করে সেবার বড়দের জন্য লেখা অনুবাদ পড়ার মধ্যে অন্যরকম আনন্দ পাইতাম।

ঠিক মনে পড়ে ক্লাস ফাইভে থাকতে এইচ দ্য ভের স্ট্যাকপোলের ব্লু লেগুন পড়ে রামপ্যাদানি খেয়েছিলাম। এর পরেও এমন কিছু ঘটনা ঘটতো যেগুলোতে সত্যি ভড়কে যেতাম। তখন বিপদের সাথী হিসেবে দাদুর সাহায্য প্রার্থনা করা বাদে কোনো পথ ছিলনা। তেমনি একদিন এলাকার এক রাজমিস্ত্রিকে সুন্দর ইংরেজি বলতে দেখে অবাক হলাম। দাদুর কাছে জানতে চাইলাম।

তিনি কোনো উত্তর দেননি শুধু আমার কাছ থেকে ডায়েরীটা নিয়ে সেখানে লিখেছিলেন... Full many a gem of purest ray serene The dark unfathom'd caves of ocean bear: Full many a flower is born to blush unseen, And waste its sweetness on the desert air. এই কঠিন দাতভাঙ্গা ইংরেজির অর্থ তখন বুঝতাম না। নিচে দাদু বাংলা অনুবাদটাও লিখে দিলেন সেটাও অনেকটা মাথার উপর দিয়েই গিয়েছিল। তবুও দাদু খুশি হবেন ভেবে বেশ কয়েকবার পড়েছিলাম। মুখস্থও হয়ে গেছিল কবিতাটা। পরে একটু বড় হলে সেভেন বা এইটে এই কবিতাটা চামে কোট করাও শুরু করেছিলাম।

বিশেষ করে এই কবিতা কোট করে ছিন্নমূল শিশু বিষয়ক উপস্থিত বক্তৃতায় প্রথম পুরষ্কারটাও বেশ সহজেই বাগিয়ে নিয়েছিলাম। কিন্তু গ্রের এই ছোট্ট চারটি লাইন কি বুঝাতে চেয়েছিল সেটা যখন বুঝতে পারি তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। যিনি এই লাইনগুলো আমায় চিনিয়েছিলেন। তিনি আমায় ছেড়ে অনেক অনেক দূরে চলে গেছে। এই লাইনগুলো এখন শুধুই স্মৃতি।

সত্যি বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এই কথা কতটা প্রযোজ্য সেটা নিজ চোখেই দেখেছি। শহুরে বাঙালির দু:বিলাসের মতিভ্রমের বিপরীতে দেখেছি আরজ আলী মাতুব্বরে কুপির আলোর জ্ঞানচর্চা। শহুরে ব্যান্ডের বিপরীতে হারিয়ে যেতে দেখছি গ্রামের মারফতি-মুর্শিদি-ভাটিয়ালি সহ দেহতত্ত্বের গান। শহুরে ধুলো আজ গ্রাস করেছে গ্রামের সবুজ ঘাস। তবুও প্রতিভার শেকড়টা যেনো ঐ গ্রামেই গেথেঁ আছে।

তাই বার বার ফিরে যেতে হয় গ্রামে। গ্রের ভাষায় ঐ মণিমুক্তোর খোজে। সামহোয়্যারের সকল ব্লগারের উদ্দেশ্যে শেয়ার কর্লাম এফিটাফ সহ গ্রের বিখ্যাত এলিজি ........ পোস্ট ভারি করতে চাচ্ছি না... তাই আগ্রহীদের জন্য লিংক দিলাম... এলিজি এপিটাফ পাবেন ঐ একই লিংকের নিচের দিকে গ্রের সেই এপিটাফ ১৭১৬ এর ২৬ ডিসেম্বর লন্ডনের কর্নহিলে জন্মানো গ্রে ছিলেন একজন বিখ্যাত ইংরেজ কবি, কেমব্রিজের বিখ্যাত স্কলার ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি চার্চের আঙিনায় এলিজি লিখে বিখ্যাত হয়েছিলেন। এলিজি এর ভাষাশৈলী ও চমৎকার বর্ণনাশৈলীর জন্য বিখ্যাত হয়েছিল।

কবি গ্রে এখানে বেশ কিছু তত্ত্বকথা সংকলনের চেষ্টা করেছিলেন যেগুলো ঐ সময়ের ইংরেজি সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছিল। ধারণা করা হয় ইরাসমাসের পর আর কোনো সাহিত্যিক এমন আলোড়ন তুলতে পারেননি। কবি গ্রের সেই মাস্টারপিস এপিটাফ.. এখানে উৎকীর্ণ বিশেষ তত্ত্বকথার বিষয়বস্তু ছিল.. "The Paths of Glory" "Celestial fire" "Some mute inglorious Milton" "Far from the Madding Crowd" "The unlettered muse" "Kindred spirit" বিষয়গুলো মনোদৈহিক ও দার্শনিক চেতনার উন্নয়নের ক্ষেত্রে সত্যি গুরুত্বপূর্ণ।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।