আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাগরের ক্লিনার

কাজ-কাজ আর কাজ। ক্ষমতার আগ্রাসন হতে মুক্তি।
কত্তো কত্তো বিচিত্র প্রাণীই না ছড়িয়ে আছে আমাদের এই পৃথিবী জুড়ে। যেমনই এদের চলন-বলন তেমনি দেখতে এরা। আর এমনি একটি মাছ হলো ফ্লাইং গারনারড।

নামের এই বহর দেখে তোমরাও ভাবছো নিশ্চয়, মাছ আবার উড়তেও পারে নাকি। হ্যাঁ এরা উড়তে পারে তবে তা ডানা দিয়ে। হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ, পোলিনেশিয়র মাঝ বরাবর, মাইক্রোনেশিয়া ও মিলিনেশিয়ার পশ্চিমাংশ, জাপান ও ভারত সাগরে এদের দেখাও মেলে সবচাইতেই বেশি। মূলত সাগরের তলদেশেই বিচরণ করে এরা। দেখতে অনেকটা ব্যাঙের মতো।

তবে মুখটা কিন্তু ভারি ছোট। ঢ্যাপা ঢ্যাপা চোখ আর বিরাট আকৃতির মাথার দেখতে হলে কী হবে, সহজেই এরা নিজেদের শরীরকে আঁকিয়ে বাঁকিয়ে লম্বা, গোল যেকোন আকারই দিতে পারে। আবার মুহূর্তেই পেঁচিয়ে মুখসহ পিছনের লেজ বরাবর নিয়ে আসতে পারে পুরো শরীরকে। দেখতেও বেশ সুন্দর। যে কেউ এদের দেখলে মুগ্ধ হয়ে চোখ আর সরাতেই চাইবে না।

চোখ ধাঁধানো সব রং রয়েছে এদের শরীর জুড়ে। কোন কোনটি শ্যাওলার মতো সবুজ, কোনটি হালকা, কোনটি আবার গাঢ়। তবে পেটের দিকটা কিন্তু এদের তুষার ধবল। সঙ্গে চাকতির মতো বাহারি ছোপ তো আছেই। দেখেই মনে হবে রংতুলির আঁচড় বুলিয়ে দিয়েছে যেনো কোন শিল্পী।

সে জন্যই বুঝি একোরিয়ামে রেখে এদের পালার চিন্তা করে চলেছে অনেকে। গারনারডদের পালতে তেমন কিছুই ঝক্কি পোহাতে হয় না, একোরিয়ামের আকারটা একটু বড় হলেই হয়ে গেল। তড়বড়িয়ে বেড়ে ওঠে এদের শরীর। তবে কী জানো এই ধুমসো শরীরেও মনের খুশিতে লাফ-ঝাপ করে বেড়ায় এরা। তবে খাবার নিয়ে এদের তেমন ভাবতে হয় না।

নানা জাতের শুকনো মাছ, শামুক, ঝিনুকের খোল আর বড় বড় সব চিংড়ি পেলেই হলো! বেশ রসিয়ে খেয়ে নেয় গারনারডরা। এর মধ্যে নিজেদের থাকার জায়গাটিকেও পরিষ্কার রেখে চলে এরা। শুধু কি থাকার জায়গা, কোথাও কোন ময়লা দেখতে পেয়েছে কী সঙ্গে সঙ্গে সাফ-সুতরোও করে ফেলে। আর সে জন্যই নাকি এদের নাম হয়ে যায় ‘পরিচ্ছন্ন কর্মী’। শাপলা বড়ুয়া
 



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।