আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বহদ্দারহাট ট্রাজেডি

বহদ্দারহাটে গার্ডার ভেঙ্গে পড়ার ঘটনা হতাহতের সংখ্যা নিয়ে মিডিয়ায় লুকোচুরি চলছে বলে মনে হচ্ছে। আমি ঢাকায় থেকে চট্টগ্রামে ফোন দিয়ে জানতে পারলাম একশ মানুষ চাপা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে গার্ডারের নিচে। আর যারা হাসপাতালে আহত হতে ভর্তি তারা বাঁচলেও পঙ্গু হয়ে থাকার আশঙ্কা প্রবল। ফেসবুক থেকে কিছু স্ট্যাটাস কপি করলাম মোটামুটি নামসহ। কিছু প্রত্যক্ষদর্শীদের খবর, কিছু অনুভূতিশীলদের কথা, কিছু আক্ষেপ-হতাশা-ক্ষোভ।

সবাইকে জানানোর জন্য পোস্ট দিলাম। হৃদয়ে চট্টগ্রাম আজকের ফ্লাই ওভার ভেঙ্গে পড়ার ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী আমি , আজ হয়ত আমারও সলিল - সমাধি হতে পারতো শুধু ৪/৫ মিনিটের ব্যাবধানের জন্য । রাস্তার উপর ফ্লাই ওভারের নিচে , আজকেও পসরা সাজিয়ে বসে ছিল ৮/১০ জন দোকানী , গার্ডারের মাঝখানে ছিল রতন নামের এক কিশোরের চা-সিগারেটের দোকান। আমি আর আমার বড় মামা গিয়েছিলাম ভেঙ্গে পড়া গার্ডার ের বিপরীতে একটি স্টুডিওর দোকানে ওয়াশ করা ছবি গুলো নিয়ে আসতে । মামা আর আমি রাস্তার ডান পাশ(যে পাশে গারডার ভেঙ্গে পড়েছে) দিয়ে হেটেই গিয়েছি!! মামা এই রতন একটা সিগারেট দে বলায় বুঝতে পারি ছেলে টি রতন এবং মামার পূর্ব পরিচিত ছিল , সে সময়ে বহদ্দার বাড়ির পুকুর পাড়ের দেয়ালের উপর বসা ১৩-১৫ জন কে দেখেছি, যারা নশ্চিত ভাবে ভেঙ্গে পডা গার্ডার সহ পুকুরের জলে চির নিদ্রায় ঘুমিয়ে পড়েছে, আর দুটি গার্ডার ভেঙ্গে পড়েছে রতনের দোকানের উপর।

উল্লেক্ষ, সে সময় তার দোকানে চা পান করা অবস্থায় ৪-৫ জন ছিল , আর বাজারে ছিল ৮-৯ জনের মতো । সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ২০-২৫ এর বেশি নয়। গার্ডার ভেঙ্গে পড়া আর অলৌকিকভাবে বেচে ফেরাঃ- মামা রতনের কাছ থেকে সিগারেট নিয়ে বলেন , ভাগ্নে চল , আজকে হালকা শীত লাগছে, ছবি গুলো নিয়ে বাসায় চলে যাই, আমি বললাম ওকে মামা চলেন , গার্ডারের নিচ থেকে বেরিয়ে রাস্তা পার হলাম । মামা দোকানে ঢুকলেন আমি দোকানের বাইরে দাড়িয়ে রইলাম। হঠাত্‍ কচ কচ শব্দ শুনে উপরে তাকাতেই দেখি ভেতরের দিকে থাকা গার্ডার টা দু নম্বর গার্ডারের গায়ে আছড়ে পরল আর দু নম্বর টা পরল ৩ নম্বর টার উপর , ফলাফলঃ মুহূর্তেই বিকট শব্দ , ৩ নম্বর গার্ডারের অংশ বিশেষ পড়ল পুকুর পাড়ে বসে থাকা অই ছেলে গুলোর উপর, আর অর্ধেক অংশ উপরে, আর দুটি গার্ডার সোজা বাজারের উপর ।

রতনের সাথে আর আমার মামার দেখা হবেনা কোনোদিন। আজকের ঘটনা ঘটে যাবার পর গটল আরেক নাটক , পুলিশ , আর ব্রিজের লোকজন লাশ উদ্ধার করে সেগুলো কে কড়া পাহারায় পুকুরে ফেলে দেবার চেষ্টা করে । অনেক নাড়ি -ভুড়ি, ছিন্ন-ভিন্ন হাত পা ইত্যাদি ইত্যাদি । সাধারন জনতা এহেন কাণ্ড দেখে অবাক হয় , হঠাত্‍ ই বন্ধ করে দেয়া হয় বিদ্যুৎ। ফলে জনতা মারমুখি হয়ে পড়ে রক্ষাকারী বাহিনীর উপর ।

জনতা মিডিয়ার সামনে যখন জিজ্ঞেস করে , দশ গজের মধ্যেই তো পুলিশ ফাড়ি আপনারা বাজারের অনুমতি দিলেন কেন ? তখন লেলিয়ে দেয়া হয় দাংগা পুলিশ , উত্তেজিত জনতা বহদ্দার হাট পুলিশ ফাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়, অগ্নি সংযোগ করে পুলিশের মোটর সাইকেলে , এই সময় মুরাদপুর-কালুরঘাট+ চকবাজার টু টারমিনাল সব রাস্তায় যান চলাচলে নিষেদ্ধাজ্ঞা জারি করা হয়। এখন জানিনা রাস্তায় আমার মৃত্যু হলেও আমার লাশ পানিতে চেপে মৃতের সংখ্যা কমানো হবে কিনা , এটি কোন কপি-পেস্ট পোস্ট নয়, সো কেউ কোন বিরুপ মন্তব্য করবেন না দয়া করে। আজ আসলেই মনে প্রশ্ন জাগল এ কোন দেশে বাস করি আমরা ? পুলিশ কি উদ্ধার তত্‍পরতা চালানোর জন্য ? নাকি মরা লাশ গুলোকে বাঁশ দিয়ে চেপে চেপে পুকুরে পচিয়ে ফেলার জন্য ? আগে জানতাম পুলিশ আর ফায়ার ব্রিগেত ডুবুরি দিয়ে লাশ উদ্ধ্রার করে আর আজ জানলাম তারা লাশ পানিতে কাদা মাটিতে চেপে ফেলতে জানে!! [ লেখাটি পাঠিয়েছেঃ Shuaib Aktar ] Shawkat Alam 7 hours ago via mobile বাসার থেকেই আগুন দেখতেছি,আর হাজার মানুষের চিতকার গুন্জন। এর আগেও ৬ মাস আগে একবার গার্ডার ভেঙ্গে পরেছিল,ভেঙ্গে পড়া ঠিক না। একটা ভারি লম্বা জিনিস যদি পিলার এর উপর ব্যালেন্স করে যথাযথ ভাবে রাখা না হই এটা পড়ে যেতেই পারে।

তবে এর আগেও এরকম ঘটনা হোয়ার পর আবার একসাথে তিনটি গার্ডার পড়ে যায় কেমনে?এর আগেরবার যখন পড়েছিল তখন অবিশ্বাস্যভাবে কেও হতাহত হইনি। এইবার দুর্ঘটনা এড়ানো যায়নি। সরকার এর দোষ দিয়েও লাভ নেই। যেইসব ঠিকাদার এবং ইন্জিনিয়ার কাজ এ আছে তারাই দায়ী। এখন তাদের অদক্ষতা আর গাফেলতির জন্যে কিছু মানুষকে জীবন দিয়ে খেসারত দিতে হলো।

Shawkat Alam 5 hours ago via mobile অনেককিছুই জানতে পারলাম,খবর এ যা দেখাইতেছে তার চেয়েও ঘটনা অনেক খারাপ। মৃত ৫০ এর ছাড়াই যাবে। এমন অবস্থা যে মানুষের লাশ পুকুরে ভাসতেছিল। আহত যারা হইছে তারা বেশীরভাগ এ বাচবেনা। বেশিরভাগ এ এলাকার মানুষ।

লাশগুলো সব থেত্লে গেছে। এমন কি শরিরের ভিতরের অংগুলা ও বের হয়ে গেছে থেত্লে। অনুভুতিটা বোঝানর মত নই। Saifuddin Saber 4 hours ago near Dhaka বছর বিশ কি ত্রিশ আগে, ইরানে একটা (চলমান) ব্রীজ ভেঙ্গে নদীতে পড়ে এক গাড়িচালক মারা গিয়েছিল। ফলে, ঐ ব্রীজের ঠিকাদার আর ইনজিনিয়ার, এই দুইজনকে ফায়ারিং স্কোয়াডে গুলি করে মৃত্যুদন্ড প্রদান করা হয়েছিল।

আমাদের দেশে একখানি নির্মাণাধীন ফ্লাইওভার, পরপর দুইবার ভেঙ্গে পড়েছে। প্রথমবার ভেঙ্গে পড়ার পরও সৌভাগ্যবশত কেউ নিহত হয়নি। ঠিকাদার পরিবর্তন হয়েছিল কি না জানি না। কিন্তু, এবার ১০০ কি ১৫০ সাধারণ মানুষ মারা যাওয়ায় দেখা যাক সরকার কি সিদ্ধান্ত নেন। CUET'০৬ এর এক ভাইয়ার Final Year এর Project ছিল "বদ্দারহাট FlyOver". তিনি PROJECT এ বলেছিলেন, Flyover টি ভেঙ্গে পড়বে।

এই Flyover এর উচ্চপর্যায় এর কয়েকটা Engineer ( যারা ও CUET থেকে পাশ করা ) এর সাথে এই বেপার নিয়া তার ঝামেলাও হয়। ঐ বড় ভাইয়া আজ দুপুর ২ টায় দুইটা কিডনিই নষ্ট হয়ে মারা যান । আর আজ সন্ধ্যা ৭.৩০ এ FlyOver টা ভেঙ্গে পড়লো । :'( :'( :'( ভাগ্যিস উনি বেঁচে ছিলেন না আজ সন্ধা অবধি, নাইলে অনেক বেশি কষ্ট পেতেন... :'( :'( :'( তথ্যসুত্র : @Abdullah Al Ismile Mashiur Rahman Sabbir বর্ডারে মানুষ মারা পড়ছে... গার্ডারে মানুষ মারা পড়ছে... বেঁচে আছে রাজনীতি, দূর্নীতি, তদন্ত রিপোর্ট, মিডিয়ার ভেল্কি আর মিথ্যে বুলি... এ দেশে বেঁচে আছি বলে লজ্জা হয়... মোঃ মাইনুল ইসলাম একদিকে ফ্লাইওভার এর বিধ্বংসী গার্ডারের নিচে চাপা পড়া কয়েকজন কিংবা অসংখ্য মানুষ। একদিকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ও উদ্ধারকারী দলের তৎপরতা আর আরেকদিকে উত্তেজিত জনতার হাহাকার, সাথে প্রলয় রূপ! আমরা মানুষ... হ্যাঁ, নিঃসন্দেহে মানুষ! চরম আত্মত্যাগী মানুষ! একটা বিপর্যয়ের পর আমরা একপক্ষ জনতাকে উত্তেজিত করে তুলি, দোকানপাট- গা ড়ি ভাংচুর করা শুরু করি, পুলিস আর প্রশাসনের উপর হামলা করি! এসব করেই থেমে থাকিনা... এর সাথে চলে নির্মাণকাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সামগ্রী ও হামলা করা বিভিন্ন দোকানের সামগ্রী লুটপাট! রাজনৈতিক মাঠে ফায়দা হাসিলের জন্য উত্তপ্ত পরিস্থিতির ফায়দা নিয়ে জনতাকে করে দেওয়া হয় আরও উত্তাল... অশান্ত! ফলাফল চরম বিশৃঙ্খলা আর ভিড়ের কারনে উদ্ধারকাজ চরমভাবে বাধাগ্রস্ত! আর প্রশাসন ও মিডিয়া? সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় দুর্ঘটনার ফলাফল এখনও পর্যন্ত নাকি নিহত সাত ( কেউ কেউ ৩/৪/৫ জনও প্রচার করছেন!!!!) সাথে হতাহত বেশ কয়েকজন, আর চাপা পড়ে আসে ২০ জনের মত!!!! এক একটা গার্ডার ১৫০ মিটার করে ৩টা গার্ডার এ মোট ৪৫০ মিটার জায়গা, আর সেই জায়গাটাতে বহদ্দার পুকুর পাড়ে সন্ধ্যার পর না হলে ৩০-৪০ জন মানুষ নিয়মিত আড্ডা দেয়, সাথে এখন আছে কাঁচা বাজার... বাজার করতে আসা মানুষজন মিলে আর নয়া হয় ৪০-৫০ জন, হাঁটারত থাকেন আরও কমপক্ষে ৪০-৫০ জন ( নিজের মনকে বুঝ দেওয়ার জন্য আমি কিছুটা হলেও কম লিখসি ওই মুহূর্তে ওখানে অবস্থান করার মত আনুমানিক মানুষের সংখ্যা!!! ফ্লাইওভার এর কাজ শুরু হওয়ার পর অসংখ্য মানুষের শর্টকাটে বহদ্দারহাট যাওয়ার রাস্তা দুর্ঘটনাস্থলের ওই জায়গাটা...), সেখানে প্রসাশন আর মিডিয়ার প্রচার করা সংখ্যাটা কিসের ভিত্তিতে বলা সেটা নিয়ে কি প্রশ্ন আসেনা? থেঁতলে যাওয়া লাশগুলোও কি স্বজনেরা পাবেনা??? আর কতদিন এসব দেখতে হবে? এরপরও ফ্লাইওভার নির্মাণের সাথে সংশ্লিষ্ট চউক এর চেয়ারম্যান, প্রকৌশলী, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আইনের বাইরে রয়ে যাবে? শুরু দিয়েই শেষটা করি... একদিকে রয়ে যাবে ক্ষমতাসীন দলের প্রশাসনের কাল থাবা, যার দরুন হয়ত লাশও গুম হয়ে যাবে... আমরা আমজনতা জানব ৭/৮ জন মারা গেছে... এক লোক দেখানো তদন্ত শেষে ফাইলের নিচে চাপা পরবে এই ট্রাজেডি... আরেকপাশে জনতার অসহায়তার সুযোগে দুর্ঘটনাস্থলে তাণ্ডব চালিয়ে, জনতাকে উত্তেজিত করে, পুলিশ-দোকানপাট-গাড়ির উপর হামলা চালিয়ে রাজনৈতিক মাঠে ফায়দা লোটার সুযোগে থাকা স্বাধীনতা বিরোধীরা! আর এদের মাঝে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গার্ডারের নিচে চাপা পড়ে থাকে সেইসব মানুষেরা, যাদের এদেশে জন্মানোটায় হয়ে গেছে আজন্ম পাপ!!! Omar Rashid Chowdhury ফ্লাইওভারের গার্ডার ভেঙে পড়ল বহদ্দারহাটে।

এই নিয়ে দ্বিতীয়বার। চমৎকার! অনেকে অনেক কিছু বলবেন। আমিও বলব, আমিও বলার অধিকার রাখি। আসলে এ সবই কেয়ামতের আলামত। বললাম, কিছু বলার আছে আপনার।

নাই। এখন আমি আপনি কী বললাম, না বললাম তাতে কি আসে যায়? গার্ডার জোড়া লাগবে না, ভাঙা হাত পা জোড়া লাগবে না, ভাঙা জীবন জোড়া লাগবে না। আসলে আমাদের সমস্যা হচ্ছে দুইটাঃ ১. আমাদের চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে ২. বুদ্ধি ক্ষণিকের জন্য বাড়ে, পরেরবার চোর ধরার কাজে লাগানো হয় না। ফলাফল, একই চোর পালানোর দুষ্ট চক্র। ফ্লো চার্ট আঁকতে পারলে এঁকে দিতাম।

আমি কথা বললাম, আপনি কথা বললেন, সবাই বলল, কিছুই শেষঅব্দি হল না। এবং পরের বার আবার গার্ডার ভেঙে পড়ল। এ দেশে মুড়ি ঘি এক দর, মানুষের জীবন 'অমূল্য', এবং টাকা খোলামকুচির মত আকাশে ওড়ে। বুদ্ধিমানরা করে খাচ্ছে, বেশ ভালই করে খাচ্ছে। আর অন্যরা পাচ্ছে কাঁচকলা।

আর কাঁচকলার ছালে পা পিছলে দিনরাত আছাড় খাচ্ছে নিজেরাই। এ জিনিষ সব সময় হয়ে এসেছে। হবেও। যতদিন চোর পালানোর দুষ্ট চক্র থাকবে। চোরটাকে থাবা দিয়া ধরতে হইব।

একবার বুদ্ধি কইরা ধইরা ফেলেন। ভাঙা জিনিষ জোড়া লাগব না, মাগার আর কোন জিনিষ ভাঙবও না। "পরখ করেই দেখুন!" শেখ ওয়াহিদ বখ্শ্ একটা ভূমিকম্প হোক, খালি একটা। আমরা সবাই মারা যাই। সব্বাই।

মানে মরে গেলে কষ্ট পাওয়ার ও লোক না থাকুক। একদম সবাই! শুধু বেঁচে থাক দেশের রাজনীতিবিদরা, সব ঘুষখোর ইঞ্জিনিয়াররা, সব দালাল আইনজীবীরা, সব বেআইনী ব্যবসায়ীরা, সব মিথ্যুক বুদ্ধিজীবিরা, সব সন্ত্রাসীরা, সব চোর-ডাকাত আর তাদের জন্য হাজার হাজার কোটি কোটি টাকার সম্পদে ভরা সোনার বাংলাদেশ! একটি জীবনের মূল্য দেওয়ার মত সম্পদ দেশে এখনো হয় নাই। সেই সম্পদ চুরি করে তো বড়লোক হওয়া যায় না, ঐসবের দাম নাই। ইট-রড-সিমেন্টের দাম আছে। **চট্টগ্রামে ফ্লাইওভার দূর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা এখনো অজানা, শোনা যাচ্ছে শ'এর কাছাকাছি! আর কত টাকা চুরি করে টেন্ডার দিয়ে মানুষ মারা হবে? তৃপ্ত সুপ্ত বিশ্বাস হচ্ছেনা বেঁচে আছি, সুস্থ আছি।

নারকীয় তান্ডব এর মধ্যে ছিলাম। আমাদের বহনকারী বাসটাকে ভেঙে দিয়েছে। আমরা চার বান্ধবীর মধ্যে তিনজন চলন্ত গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে বেঁচেছি। একজন নামতে পারেনি। ওর কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিলাম।

এখন খবর পেলাম, গাড়ি ভাঙ্চুরের মধ্যে পরে ওর অনেক জায়গায় কেটেছিড়ে গেছে, ব্যাথা পেয়েছে খ ুব। ওয়েলফুড থেকে দশ কদম দূরে একটা গ্যারেজ কাম দোকানে আটকা পড়েছিলাম। আমাদের সামনেই ওয়েলফুড গুড়োগুড়ো করে ফেললো। সাধারণ গাড়িতো আছেই, দমকল, পুলিশের গাড়ি আর এম্বুলেন্সও ভাঙা হয়েছে। আগুন লাগিয়ে দিয়েছে গাড়িতে, দোকানে।

পুলিশ টিয়ার সেল আর গুলি ছুড়েছে বৃষ্টির মতো। টিয়ার সেল কতটা ভয়ঙ্কর আজকে টের পেলাম। চোখ জ্বলুনী আর মাথা ছিড়ে যাচ্ছে যন্ত্রণায়। নেটওয়ার্ক নেই, অসহ্য অবস্থা। আমরা যেখানে আশ্রয় নিয়েছিলাম, ওদেরই একটা ছেলের পা চাপা পড়ে আছে ফ্লাইওভারে।

বহু কষ্টের পরও পা টা বের করতে না পারায়, ছেলেটা পা কেটে তাকে বাঁচানোর জন্য আর্তনাদ করছে। অবশেষে সবাই সেটাই মেনে নিলো। এই অবস্থার অনুভূতিটা যে কি ভয়ঙ্কর তা বর্ণনাতীত। সবাই পাগলের মতো কল করছে। আব্বু আটকে আছে মুরাদপুর।

দাঙ্গা পুলিশ নামার পর পিকেটার রা একটু সরা মাত্র অনেকখানি পথ হেটে আব্বুকে পেলাম। রাস্তার পরিস্থিতি এত ভয়ঙ্কর! দূর্ঘটনার আধাঘন্টার মধ্যে কমপক্ষে সত্তরজন মারা গেছে বলে নিশ্চিত খবর পেয়েছি। বাসায় ফিরে টিভিতে দেখছি নিহত দুই/পাঁচ, আহত পঞ্চাশ!!! ধিক মিডিয়া! Options Zimran Mohammad Saiek চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত যাদের সাথে কথা হয়েছে সবার বক্তব্য মোটামুটি একই রকম। মৃতের সংখ্যা ১০০ এর কাছাকাছি। আসলে ওরা কেউ দুর্ঘটনায় মারা যায় নি।

ওদের খুন করা হয়েছে। Hasab-Ul Alam Chowdhury শুধু মিডিয়াকে ধিক দিয়ে লাভ নেই, মিডিয়াকে যারা কভার করতে দেই নাই তাদের জন্য ও বহদ্দার হাটের দুর্ঘটনায় বাক রুদ্ধ । ১২টা পর্যন্ত হাসপাতালে ছিলাম । একের পর এক আহত মানুষ ঢুকতেসে ,অবস্থা দেখে হতাশ !হসপিটালে যখন ছিলাম তখন রাত ১১ টার দিকে আহত এক পুলিশ কনস্টেবলকে ক্যাজুয়াল্টি ওয়ার্ডে আনা হল । তার বাম পায়ের উরুতে গুলি খাইসে ,ক্রমাগত ব্লিডিং হচ্ছে ।

জানাল দুর্ঘটনার স্থানে হঠাত একদল মানুষ সাধারন জনগণকে উস্কানি দিয়া পুলিশের সাথে দাংগা বাঁধায় দিসে ,পাবলিক পুলিশ পিটাইসে !কথা হচ্ছে সাধারন জনগনের কাছে বন্দুক আসলো কোত্থেকে ?বাংলাদেশের সাধারন জনগন কি ইদানিং বন্দুক নিয়া রাস্তায় চলাফেরা করে নাকি ??নাইলে পুলিশরে গুলি করল কে ??আরও গুজব ছড়ান হচ্ছে সরকার নাকি ঘটনাস্থল থেকে লাশ গুম করার চেষ্টা করতেসে !আবার ঐদিকে গাঞ্জাম লাগায় দিয়া উদ্ধারকারী দলকেও ঠিক মতো কাজ করতে দিতেসে না !কাহিনী কি ??একটা মর্মান্তিক দুর্ঘটনাকেও পুঁজি করে এর ভিতর থেকে চান্স নেওয়ার নোংরামি শুরু হইল ! - রাফসান সালমান মাহমুদ (চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ). Mir Tazbinur Sharif ‎"উড়াল সড়কের গার্ডার ভেঙে নিহত ৩" - দেশের প্রধান দৈনিকে এইরকম biased fake নিউজ দেখে হতবাক হলাম!!! যে জায়গায় গার্ডার ভেঙ্গে পড়েছে জায়গাটা সব সময় লোকে লোকারন্য থাকে, সব সময় সেখানে কাঁচা বাজার বসে। তাছাড়া এক একটা গার্ডারের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। মোট ৩টি গার্ডার ভেঙ্গে পড়েছে। ৩*১৫০ মিটার= ৪৫০ মিটার। ফেসবুকে দেখলাম কোনমতে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া একজন নাকি বলছে সে নিজেই কমপক্ষে ৭০ জনের মৃতদেহের ব্যাপারে নিশ্চিত!!! কি সেলুকাস দেশে বাস করি... সরকার নিজের failure তো স্বীকার করেই না, উল্টা তা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে!!! Write a comment... Options টিনের চালে কাক, আমিতো অবাক সকল দেশেই যে কোন কন্সট্রাকশন কাজে মেনে চলা হয় "SAFETY FIRST" আর আমাদের দেশে হল "DURNITI FIRST" মানুষের জীবন বড়ই সস্তা এখানে।

। তবে যার যায় সেই বোঝে বাকিরা ভুলে যায় এক সপ্তাহের মধ্যেই। দোষটা কার জানি না, আমরা যারা ভোট দিয়ে জেনে শুনে প্রতিবার অপদার্থদের ক্ষমতায় বসাই তাদের নাকি যারা ক্ষমতায় গিয়ে ঘুমায় ঘুমায় দিন পার করে তাদের। ‎"... বরাবর চারটায় বাস টা ছাড়ল, ৮টায় বহদ্দারহাট এর খানিক কাছে পৌঁছুলাম আর দেখি মানুষ খালি দৌড়ায়... কেউ বলে আগুন লাগসে, কেউ বলে ফ্লাইওভার ভাইঙ্গা পড়সে, বাস ঘুরান হইল... এই দিকে আর যাওয়া যাবেনা... পরে ঘটনা নিশ্চিত হইলাম আর বাস থেকে নাইমা ভাবলাম যাই ওই দিকটায়, দোস্ত রিমন বলল যদি সাহায্য কিছু করা যায় তো ভালো... হায় খোদা, ক ারে কে সাহায্য করবে... কদ্দুর সামনে গিয়া আমাদেরই সাহায্যের দরকার হইয়া পড়লো... গার ্ডার ভাংসে, কিছু মূল্যবান প্রান আর নাই, সবই অত্যন্ত দুঃখের বিষয়... কিন্তু শত শত কুত্তার বাচ্চা যে উইড়া আইসা দোকানপাট ভাঙ্গা শুরু করলো, আগুন লাগাইল সেইটা কি ধরণের বিষয় হিসাবে নিমু মাথায় ঢুকতেসেনা... নিজের চোখের সামনে অসহায় ভাবে দেখলাম শুয়োর গুলান এই ঘটনার সুযোগ নিয়া রড চুরি করতেসে আর ইচ্ছামত লুটপাট চালাচ্ছে... খবরে দেখায় বিক্ষুদ্ধ জনতা নাকি অগ্নি-সংযোগ করসে, সব মিথ্যা আর ফালতু কথা... সব কয়টা চোর... এরা চোর-জনতা... কথায় কথায় খালি সরকারের দোষ দেই আমরা... আমরা কি আসলে?... আমাদের মতো নোংরা মানসিকতার জনগন আর হয়না... পাথরের নিচে চাপা পড়ে আছে আরেকজনের লাশ অথবা আহত শরীর... তাঁর উদ্ধারের ব্যাবস্থা না কইরা বরং আগুন লাগায়া কার স্বার্থসিদ্ধি হইল... বুঝি না... কিসসু বুঝি না...হাতে সদ্য চুরি করা মোটা মোটা রড নিয়া আরেকজনের সম্পদ ক্ষতিতে বড় সুখ পাওয়া যায় মনে হয়...!!!!!......" Length: ‎1:05 Raihanul Alam 3 hours ago · যার বা যাদের ভুলে, অসততায় এবং দায়িত্ববোধের অভাবে বহদ্দারহাটের দূর্ঘটনা ঘটে এত মানুষ মারা গেল তাদের মনে কি এখন কষ্ট হচ্ছে? মানুষের জীবন ভাই এটা...এটার উপরে কিছু আছে? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.