আমার অনেক স্বপ্ন...আমি বাস করি স্বপ্নের মাঝে...রঙ্গিন রঙ্গিন সব স্বপ্ন... * ''আগামী বছর থেকে মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে আর ভর্তি পরীক্ষা না নেয়ার বিষয়ে অনড় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক।
........................................................................
কলেজের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে ঢাকা কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন করে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “আমি তাদের (ছাত্রদেরকে) এই ঝামেলা (ভর্তি পরীক্ষা) থেকে মুক্তি দিতে চাই। ”
.........................................................................
এবার পরীক্ষা নেয়া হলেও আগামী বছর থেকে জিপিএর ভিত্তিতেই মেডিকেলে শিক্ষার্থী ভর্তির ইংগিত দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নতুন পদ্ধতি নির্ধারণের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার আগে সবার সঙ্গে আলোচনা ও মতবিনিময় করা হবে।
“আগামী বছরে ভর্তির অনেক আগেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হবে। ”*
সূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
লিংক: Click This Link
কয়েক মাস আগে ঘটে যাওয়া মেডিকেলে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কথা নিশ্চই সবার মনে আছে।
অব্যাহত আন্দোলনের মুখে সরকার ভর্তি পরীক্ষা নিতে বাধ্য হয়। আজকে সারা বাংলাদেশে কোনো রকম আনাকাংখিত ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠু ভাবে পরীক্ষা নিতে সমর্থ হয়েছে সরকার। কিন্তু, সামনের বছর সরকারি মেডিকেলে পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিল করাটা কি ঠিক হবে?
আমার মতে এটা ১ম বার অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের প্রতি জুলুম করার শামিল হবে। ব্যাপারটা বিস্তারিত আলোচনা করলেই আমার অবস্থান আপনাদের কাছে স্পষ্ট হবে।
সরকার যেসব কারনে ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করতে চাচ্ছে সেগুলো হল:
১. ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে প্রকৃত মেধার যাচাই হয় না।
২. প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়
৩. কোচিং বাণিজ্যর কারনে শিক্ষার্থীদের বিড়ম্বনা
এখন আমার প্রশ্ন যে,
১.পরীক্ষা নিয়ে যদি মেধার যাচাই নাই হয় তাহলে এতদিন কি তাহলে মেধাহীনরাই ডাক্তার হয়েছে! এবার যারা চানস পাবে ওরাও তো তাহলে মেধাবী নয়?
২. এবার তো আপনারা সফলভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কেলেংকারী ছাড়াই পরীক্ষা নিতে সমর্থ হয়েছেন। তাহলে সামনের বার কেন পারবেন না?
৩. সবচেয়ে বেশী কোচিং বাণিজ্য হয় ইঞ্জিনিয়ারিং ভার্সিটি গুলোর ভর্তি প্রক্রিয়ায়। যদি বন্ধ করতেই হয় তাহলে বুয়েট, ঢা.বি সহ সব ভার্সিটিতে ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে দিন।
*যদি সামনের বার ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করা হয় তাহলে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের সমুক্ষীন হবে এবার মেডিকেল কোচিং করা শিক্ষার্থীরা। ২য় বারের পরীক্ষার্থীদের জন্য ১ম বারের পরীক্ষার্থীদের অনেকেই হয়তো চানস পাবে না।
ওদের অনেকেই সামনের বারের জন্য অপেক্ষা করত(বরাবরই তা হয়ে আসছে) কারণ মেডিকেলে ২য় বারে চানস পাওয়াদের সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশি। ২য় বারে অংশ নেয়াদের প্রিপারেশন অনেক ভাল থাকে। ওদের সঙ্গে 'গোল্লা ভরাটের' প্রতিযোগিতায় হয়তো একটা মেধাবী ছেলেও হেরে যেতে পারে। তার সঙ্গে ১ বছরের বড়রা পরীক্ষা দিয়ে চানস পেয়ে গেল তাহলে সে কি অপরাধ করলো যে তাকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হবে না?
আর যদি পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিল করতেই হয় তাহলে এখনই জানিয়ে দেওয়া উচিত। কিন্তু স্বাস্থ্যমন্তীর কথার ইঙ্গিতে বুঝা গেল যে, জলদি কোনো সিদ্ধান্ত হয়তো পাওয়া যাবে না।
এতগুলো শিক্ষার্থীর ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অধিকার উনাদের কে দিয়েছে? উনাদের প্রতি তীব্র ঘৃণা ও ক্ষোভ নিয়ে যে একটি প্রজন্ম বেড়ে উঠছে এটা কি উনারা জানেন? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।