বোরহান উদ্দিন আহমেদ (মাসুম)
(১) যিনি কামেল মোকাম্মেল পীর হবেন, হাদিস, তফছির, ফিকাহ ইত্যাদিতে তাহার জ্ঞান থাকিবে। কমপক্ষে শরীয়তের বিধান সমূহ ভাল রুপে জানা থাকিবে।
(২ )শরীয়তের আদেশ নিষেধ পালন ও তদনুযায়ী কাজ করিবেন। শরীয়ত বিরুদ্ধ কাজ হইতে দূরে থাকিবেন। খোদাকে ভয়কারি লোক ও পরহেজগার হইবেন।
(৩) কামেল বা মোকাম্মেল পীরের ভিতর এই তিনটি গুন থাকা একান্ত অবশ্যক - পীরের নিকট হতে ছবক সমূহ আয়ত্ত করা, ফায়েজ হাছিল করা ও মুরিদ দিগকে ফায়েজ পোঁছানোর ক্ষমতা থাকা।
(৪) যিনি কামের হইবেন তিনি লোভ শুন্য হইবেন। কেননা লোভী ব্যক্তি কখনো ফকির হইতে পারেন না।
(৫) কত্তলুল জামিল কিতাবে আছে, কামেল পীর হলে বার মাস রোজা রাখিতে হইবে, স্ত্রি হইতে দূরে থাকিতে হইবে, খানা খাইবেনা ও জঙ্গলবাসী হইতে হইবে এই সব শর্ত নহে।
(৬) রসুলুল্লাহ (দঃ) এর জামানায় যেমন অজদ, গোলবা, ছকুর ও বেখুদী ইত্যাদি নানা প্রকার জজবা ছিল, কামেল পীরের মুরিদানের মধ্যেও রসুলুল্লাহ (দঃ) এর জামানার ন্যায় মাঝে মাঝে দুই এক জনের ঐ হালাত হইবে।
কেন না আওলিয়াগন রসুলুল্লাহ (দঃ) এর গুন পাইয়া থাকেন।
*এহহিয়া উলুমদ্দিন কিতাবের দ্বিতীয় খণ্ডে অজদের বয়ানে দেখুল যে আছহাবগনের কি রুপ অজদ হইয়া ছিল। এই জমানার মমেনগনের তাহাদের চেয়ে ছবুরের শক্তি শত শত গুন কম মানে (আত্মার শক্তি কম থাকার কারনে ফায়েজের ও এশকের তেজ ধৈর্য ধারন করার শক্তি কম। ) কাজেই এ জামানার জেকেরকারিগনের তাহাদের ছেয়ে শত শত গুণে বেশী বেকারর মানে অস্তির হওয়ার কথা।
ভন্ডপীর চিনার উপায়
বর্তমান সময়ে ভন্ডপীর হইতে রক্ষা পাওয়া বড়ই কঠিন হইয়া দাঁড়াইয়াছে।
কারন এক দল নামদারি পীর আছে, যাহারা আমেল সিফলি আম্লিয়াতের সাহায্যে জিন পরী আবদ্ব করিয়া উহার সাহায্যে কাশফ, বা কেরামত ও বিভিন্ন আলোকিক ক্ষমতা ও বুজরগি দেখাইয়া লোকদিগকে বাধ্য করিয়া থাকে, এবং রোগ ব্যাধির জার-ফুক করিয়া জনসাধারনের নিকট(অশিক্ষিত মূর্খ লোকের) পীর সাজিয়া রুজির পথ করিয়া থাকে। আর বলিয়া বেড়ায় রোজা নামাজ কিছু না, এই সকল ইবাদত কোন অবশ্যক নাই, আমার নিকট মুরিদ হইলে এইসব ইবাদত করা লাগবেনা। এবং এই সম্বন্দে নানা প্রকার কুতর্ক করিয়া থাকে। ইবাদতের দায় হইতে রক্ষা পাওয়া যাবে ভাবিয়া অনেক অশিক্ষিত লোক তাহাদের মুরিদ হইয়া থাকে। কেবল গান বাদ্যই তাহাদের ইবাদত ধারনা করে থাকে।
বেশরিয়া লোক দিগকে কখনো কামেল বলিয়া বিশ্বাস করিতে নাই। তীর যেমন ধুনুক হইতে ভাগে , তাহাদের হইতে ও এইরুপ ভাগা একান্ত অবশ্যক। কিতাবে আছে কেহ যদি বাতাসের উপর দিয়া ও উড়িয়া যায়, অগ্নির ভিতর ও বসিয়া থাকে বা পানির উপর দিয়া ও হাঁটিয়া যায় আর যদি সর্বদা শরীয়তের খেলাফ কাজ করে তবুও তাকে বিশ্বাস করিও না। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।