আত্মমাঝে বিশ্বকায়া, জাগাও তাকে ভালোবেসে প্রিয় সঞ্জীব চৌধুরী অনন্তলোকে চলে যাওয়ার পর এই লেখা লিখেছিলাম। কীভাবে দিনগুলো চলে গেল। আজ পাঁচ বছর অতিক্রান্ত হলো। অথচ মনে হচ্ছে, এই তো সেইদিন... ১৯ নভেম্বর ছিল সঞ্জীবদার প্রয়াণদিবস। তাঁর অন্তর্ধানে শোক আর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ওই লেখাটি এই যান্ত্রিকপৃষ্ঠায় পত্রস্থ করলাম।
১
কার ছবি নেই কেউ কি ছিল
এই ভেবে ডুবে গেছে রাত
প্রশ্নেও নেই উত্তর নেই
মাঝরাতে ডুবেছে মাতাল
নেই কাছে নেই গল্প তোমার
চমকে ওঠে ডাকে আয় কাছে আয়
সঞ্জীব চৌধুরী যখন কোমায়, আশা ছিল। তাঁর হৃদপিণ্ড সচল ছিল, আশা ছিল। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, তবু কাজ করছিল, আশা ছিল। সমগ্র শরীরে রক্ত চলাচল বাধাপ্রাপ্ত, বাহ্যিক প্রতিক্রিয়ায় তা বোঝা যাচ্ছিল, আশা ছিল। মৃদু শ্বাস-প্রশ্বাস তখনও ছিল, আশা ছিল।
পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কাগজের শেষ পৃষ্ঠায় ‘সঞ্জীব চৌধুরী কোমায়’ শিরোনামে হাস্যোজ্জ্বল ছবিসহ ছাপিয়েছি, আশা ছিল। কিন্তু আশাবাদ আর বাস্তবতা হঠাৎ করে দুই মেরুর বাসিন্দা হয়ে গেল। সঞ্জীবদা, প্রিয় সঞ্জীবদা চলে গেলেন অনন্ত ঘুমের দেশে।
২
খোলা আকাশ একটি গাছ
সবুজ পাতা একটি গাছ
স্মৃতির বৃক্ষ পাতারা জানে
মেঘের চাষবাস
দলছুট’র প্রথম অ্যালবাম আহ্! রিলিজ হওয়ার পর সঞ্জীব চৌধুরী এবং বাপ্পা মজুমদারের বেশ নাম-ডাক হয়ে যায়। কয়েকটি গান ভীষণ জনপ্রিয়তা পায়।
সাদা ময়লা রঙিলা পালে, আউলা বাতাস খেলে....এরকম আরও বেশকিছু গান মানুষের মুখে মুখে ফিরতে থাকে। এরই মাঝে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মহুয়া ফোঁটার উৎসব’ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয় কবি ও শিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীকে। নির্ধারিত দিনে তিনি আসেন। উৎসবে বক্তব্য রাখেন কবি মোহাম্মদ রফিক ও নাট্যাচার্য সেলিম আল দীন। এরপর তরুণ কবিরা তাদের কবিতা পাঠ করেন।
আসে তাঁর পালা। সবাই গান শোনাতে বলে। তিনি সম্ভবত একটু অসংলগ্ন অবস্থাতেই সেখানে হাজির হয়েছিলেন। আর হতে পারে জাহাঙ্গীরনগরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও বাস্তবজ্ঞান হারাতে কিছুটা প্রলুব্ধ করেছিল তাঁকে। গিটারটি টেনে নিয়ে কিছুক্ষণ টিউন করার চেষ্টা করেন।
ব্যর্থ হয়ে অতঃপর হারমোনিয়াম বাজাতে চান। কিন্তু কোথায় যেন সুর তাল কেটে গেছে, পারছেন না। দর্শক-শ্রোতার মাঝে উসখুস শুরু হয়। সঞ্জীব চৌধুরী গিটার বাজিয়েই গান গাওয়ার চেষ্টা করেন। কিছুক্ষণ গেয়ে থেমে যান।
হয়তো তাঁর কেবলই মনে হতে থাকে, হচ্ছে না।
উপরের বর্ণনাটুকু সঞ্জীব চৌধুরীকে দেখার প্রথম অভিজ্ঞতা আমার। সে সময়ের প্রায় আট বছর পর ‘দৈনিক যায়যায়দিন’ এ সিনিয়র সহকর্মী হিসেবে তাঁকে পাই। সদা হাস্যোজ্জ্বল কম কথার মানুষটিকে সবাই পছন্দ করতো। গুনে গুনে কয়েকবার শুভেচ্ছা বিনিময় ছাড়া তাঁর সঙ্গে আমার তেমন আলাপচারিতা হয়নি কখনো।
কিন্তু এরপরও আপন মনে হতো। তাঁকে দেখলে ভেতরে আনন্দ জাগতো।
৩
সঞ্জীব চৌধুরীর সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি একজন কবিস্বভাবের শিল্পী। শিল্পী মাত্রই ভীষণ স্পর্শকাতর আর সংবেদনশীল বৈশিষ্ট্য ধারণ করেন। আমি-তুমি থেকে শুরু করে দেশজ ভূগোল ছাড়িয়ে সর্বমানবের জন্যেই নিবেদিত হয় শিল্পী মন।
প্রকৃত শিল্পী আপসকামী নন কখনই। কোনো না কোনো উপায়ে শিল্পী তাঁর মনের আবেগ, ক্ষোভ, ঘৃণা, প্রতিবাদ প্রকাশ করে ফেলেন। শিল্পী সমাজ ও রাজনীতি সচেতন হন, দায়বদ্ধতার তাড়না অনুভব করেন। সঞ্জীব চৌধুরীর গাওয়া গান মানুষকে আনন্দ দিত, ভাসাতো স্বপ্নে, ভাবাতো নিভৃতে, কাঁদাতো সমিলতা অনুভবে। কোন্ ধরনের গান তিনি গাইতেন? আধুনিক।
তবে সেগুলো মোটেও বস্তাপচা, রদ্দি কথা আর সুরের অনুগামী নয়। তাঁর গাওয়া গান কাব্যময় ভাষা আর সুসংবদ্ধ সুরে নির্মিত। প্রেমের গান, বিরহ-বেদনা, প্রতিবাদী কিংবা সামাজিক দায়বদ্ধতাসম্ভূত এবং ফোক এসব ঘিরেই ছিল তাঁর গানের জগত। তবে সঞ্জীব চৌধুরীর গাওয়া জনপ্রিয় গানগুলোর অধিকাংশই মানবীয় একমুখী প্রেম বিচিত্র ধারায় প্রকাশিত। এ প্রসঙ্গে কয়েকটি গানের উদাহরণ টানা যেতে পারে-
আমি তোমাকেই বলে দেব
কী যে একা দীর্ঘ রাত
আমি হেঁটে গেছি বিরাণ পথে
আমি তোমাকেই বলে দেব
সেই ভুলে ভরা গল্প
কড়া নেড়ে গেছি ভুল দরজায়
ছুঁয়ে কান্নার রঙ
ছুঁয়ে জোৎস্নার ছায়া
কিংবা
আমাকে অন্ধ করে দিয়েছিল চাঁদ
আমাকে নিঃস্ব দিয়েছিল চাঁদ
আমার চোখ কেন ধরেছে সুন্দর
অথবা
তোমার বাড়ির রঙের মেলায় দেখে ছিলাম বায়োস্কোপ
বায়োস্কোপের নেশা আমায় ছাড়ে না
ডাইনে তোমার চাচার বাড়ি বায়ের দিকে পুকুর ঘাট
সেই ভাবনায় বয়স আমার বাড়ে না
উপরের গানগুলোর কথা নিঃসন্দেহে চলতিস্রোতে গা ভাসানো নয়।
কবিতাধর্মী কথাগুলো নিয়ে নির্মিত এসব গান তাই রুচিবান শ্রোতার মনে বহুদিন ভালোলাগার স্পর্শ নিয়ে বেঁচে থাকবে।
আমাদের এ কালের অধিকাংশ শিল্পী কোনও ধরনের দায়বদ্ধতা অনুভব করেন না। যেন-তেন গেয়ে রাতারাতি তারকা (!) বনে যাওয়াই অধিকাংশের একমাত্র লক্ষ্য বলে মনে হয়। কিন্তু সঞ্জীব চৌধুরী সে ঘরাণার ছিলেন না। যেহেতু তিনি শিক্ষিত, রাজনীতি সচেতন এবং উদার মনের মানুষ ছিলেন, একারণেই নিজেকে প্রকাশের প্রধান মাধ্যম গানে সে ছাপ স্পষ্টরূপেই ধরা দেয়।
আর তাই, শহীদ তাজুল, কর্নেল তাহের উঠে আসেন পুনর্বার তাঁর গানের মধ্য দিয়ে। যে স্বদেশ অনেক স্বপ্ন অনেক সম্ভাবনা নিয়ে, অগণিত মানুষের প্রাণ আর অফুরান রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে, সে স্বদেশে যখন স্বপ্ন ভাঙে নিয়ত, যখন মৌলবাদী, স্বাধীনতাবিরোধী আর প্রতিক্রিয়াশীলদের দখলে চলে যায় দেশের মূল নিয়ন্ত্রণ, তখন সঞ্জীব চৌধুরী গেয়ে ওঠেন-
কথা ছিল মানুষ মিছিল পাহাড় নদী
আমাদের হবে, সাক্ষী শপথ
কথা ছিল ফুলের তোড়া মঞ্চজোড়া
বিজয় প্লাবন, সাক্ষী মানুষ
..............
..............
কথা ছিল আকাশছোঁয়া বুকের ভেতর
চাঁদের উঠোন, সাক্ষী জোৎস্না
কথাছিল সূর্যগুলো মুঠোয় পুরে
আসবো ফিরে, সাক্ষী প্রতীক্ষা
আবার যখন মানবতা যখন ভূলুণ্ঠিত, দিনাজপুরের ইয়াসমিন ধর্ষিতা হন, নিহত হন, যখন কোথাও লজ্জায় মুখ লুকাবো বলে আশ্রয় খুঁজি ঠিক তখনি প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন সঞ্জীব চৌধুরী। তিনি কথক এবং গায়ক হিসেবে বর্ণনা করেন সেই ক্ষণটির ভয়াবহতা, কিশোরী ইয়াসমিনের কষ্ট আর লজ্জা যেনবা একটি গানের মধ্যেই মূর্ত হয়ে ওঠে। কথকরূপী সঞ্জীব চৌধুরী বলেন,
ঘরে ফিরতে চাইলেই কি ঘরে ফেরা যায়, সবাই কি ঘরে ফিরতে পারে? ইয়াসমিন, দিনাজপুরের ইয়াসমিন, কিশোরী ইয়াসমিন ঘরে ফিরতে চেয়েছিল। কিন্তু কি অন্ধকার সে পথ, কি নিষ্ঠুর সে পথ।
ইয়াসমিনের আর কোন দিন বাড়ি ফেরা হয় না। ঢাকা টু দিনাজপুর অন্ধকারে লোপাট হয়ে যায়। আর রক্ষকের মুখোশ পড়ে কসাইগুলো হাসে, পুুলিশের ব্যাটন হাতে কসাইগুলো হাসে। আর তাকে ধর্ষন করা হয়, তাকে ধর্ষন করা হয়। তাকে মেরে ফেলা হয়।
ইয়াসমিন আহ!
এই প্রারম্ভযোজনা শেষে শুরু হয় গান, যে গান আমাদের রক্তে আলোড়ন তোলে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর আহ্বান জেগে ওঠে নিজের অভ্যন্তর হতে-
ওরে রক্তচোষা ডাকল পেঁচা অলুক্ষুণে রাত
আসে অন্ধকারে চুপিসারে ভীষণ কালো হাত
লোল ঝড়ে তার লোলুপ জিহ্বা ছিঁড়ল হৃদয় বিণ
আহ ইয়াসমিন আহ ইয়াসমিন আহ ইয়াসমিন
হাত বাড়ালেই বন্ধু মেলে হাত বাড়ালেই সুখ
সুখের ঘরে ভাঙলে পড়ে নিষিদ্ধ অসুখ
রক্তে ভেজা উত্তরই পায় স্বপ্ন হয় বিলীন
আহ ইয়াসমিন আহ ইয়াসমিন আহ ইয়াসমিন
সঞ্জীব চৌধুরী অন্যের লেখা ও সুরে গান করার পাশাপাশি নিজের লেখায়ও গান করেছেন। তবে অন্যের লেখা গান নির্বাচন করার মধ্যেও ছিল রুচিশীলতার ছাপ। সস্তাদরের গান তাঁর কণ্ঠে তেমন একটা নেই বল্লেই চলে। এখানেই প্রাধান্য পেয়েছে কবির সততা, শিল্পের আপসহীনতা। সঞ্জীব চৌধুরী তাই আমাদের গানের ভুবনে বিরলপ্রজ গুণী শিল্পীর কাতারে অনন্তকাল সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত থাকবেন।
৪
চলুন সঞ্জীব চৌধুরী অসুস্থ হওয়ার আগে পড়ে কয়েকদিনের পরিস্থিতি স্মরণ করার চেষ্টা করি। মনে পড়ে, ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানবে বলে সারাদেশ টানটান আতঙ্কে মজ্জমান। ঠিক যেদিন ‘সিডর’ আঁছড়ে পড়ে উপকূলজুড়ে, সেদিন রাতেই অসুস্থ হন সঞ্জীব চৌধুরী। রাজধানী ঢাকাও বাতাসের তাণ্ডবে অস্থির। তিনি কি তবে তাঁর অন্তিমরাতের কথা আগেভাগেই জানতেন? তাই এমনতরো বর্ণনায় গেয়েছিলেন-
কোথাও বাঁশি বাজচ্ছিল
হাওয়ারা খুব হাসছিল
আমার ছিল বন্ধ কপাট
অন্ধ চোখে রাত ছিল
সঞ্জীব চৌধুরী বিনা চিকিৎসায় মারা যাননি।
আপাত দৃষ্টিতে সরল অর্থে এ কথা সবাই মেনে নেবে নিশ্চিত। কিন্তু যথাসময়ে যথাচিকিৎসা না পাওয়া, বিনা চিকিৎসা থেকে খুব বেশি দূরবর্তী কি? ঐদিন রাতে দেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, টেলিযোগাযোগ ভেঙে পড়েছিল। সঞ্জীব চৌধুরী ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’ হয়ে যাওয়ার পর যথাযোগ্য চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা চালানো হয়। কিন্তু কেন পাননি তিনি প্রয়োজনীয় মুহূর্তে জরুরি সেবাটুকু? আমাদের সর্বোচ্চ চিকিৎসায়তনে কয়েকঘণ্টা নিজস্ব বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা নেই। নেই অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি।
ঐদিন রাতে কয়েকটি শিশু বিদ্যুতহীনতার অজুহাতে পৃথিবীর আলো বুঝবার আগেই চলে গেছে অন্ধলোকে। এ খবর আমরা শুনেছি। জরুরি অস্ত্রোপচারের অভাবে বেদনায় কাতরাতে কাতরাতে জীবন থেকে পরিত্রাণের প্রার্থনা করেছেন অনেকে। কিন্তু ঐ যে, বিদ্যুৎ নেই তাই চিকিৎসা ব্যাহত! অথচ আমাদের উপাসনালয়ের কোনো কমতি নেই, আমাদের হর্তাকর্তাবৃন্দ বাইরে যান আর উপাসনালয় নেই বলে ক্রন্দন করে অনুদান নিয়ে আসেন। অথচ প্রতিটি মহল্লায় অত্যাধুনিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র নেই কেন এ জন্যে কোনও মাননীয়র চোখে অশ্র“ কেউ দেখেনি কখনো।
উপাসনালয়ে আলোর কমতি নেই, হাওয়ার কমতি নেই, আবার সর্বসাধারণ্যের যখন-তখন প্রবেশাধিকারও নেই, তালা ঝোলে। কিন্তু আমাদের চিকিৎসায়তনে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ভালো নয়, রোগীর পথ্য অপ্রতুল, ওষুধ দুর্লভ এ বিষয়ে তেমন কোনও ভ্র“ক্ষেপ নেই কারো!
আগুনের কথা বন্ধুকে বলি, আর কাকেই বা বলবো! যদি বলি সঞ্জীব চৌধুরী প্রকৃতঅর্থে বিনা চিকিৎসাতেই মারা গেছেন, কতটুকু ভুল বলা হবে! আমাদের বড্ড ঋণী করে, মানবীয় ঔদার্যে নিজের দেহটাও দান করে গেছেন মেডিকেলে। তবুও যদি যথাযথ শিক্ষা আমাদের চিকিৎসকগণ, আমাদের মাননীয়গণ উপার্জন করতে পারেন, হয়তো এই আকাক্সক্ষায়!
এ লেখা লিখতে লিখতে আমার চোখ বেয়ে লবণাক্ত ধারার স্রোত টের পাই। টের পাই সঞ্জীব চৌধুরী নিজের কণ্ঠে এমনতরো এক কবিতা লিখেছিলেন, ভাষা, চিত্রকল্প আর উপমায় যা আত্মমগ্ন চৈতন্য স্পর্শ করে যায় নিমিষেই-
চোখটা এত পোড়ায় কেন
ও পোড়া চোখ সমুদ্রে যাও
সমুদ্র কি তোমার ছেলে
আদর দিয়ে চোখে মাখাও
বুকজুড়ে এই ভেজাল শহর
হা হা শূন্য আকাশ কাঁপাও
আকাশ ঘিরে শঙ্খচিলের
শরীরচেঁড়া কান্না থামাও
আমি তোমার কান্না কুড়াই
কান্না উড়াই কান্না তাপাই
কান্নাপানি পান করে যাই
এমন মাতাল কান্না লিখি
সঞ্জীবদা বড় অসময়ে চলে গেছেন। তাঁর এই অকাল চলে যাওয়া, আমাদের কী ভাবাবে, অন্তত কিছুটা?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।