জীবন কখনোই সংগ্রাম বিহীন হতে পারে না বর্তমানে আমরা দেখতে পাই আমাদের দেশে বাঙালি সংস্কৃতির নামে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে। যেমন: পহেলা বৈশাখ, বসন্ত উৎসব, নবান্ন উৎসবসহ আরো কতো উৎসব। যার কোনোটাই মুসলমানগণ উনাদের সংস্কৃতির অন্তর্ভুক্ত নয় এবং এসব অনুষ্ঠান পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ সম্মতও নয়। আর এসব অনুষ্ঠান পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ সম্মত না হওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই এসব উৎসবে দেখা যায় নাচ-গান, বেপর্দা-বেহায়াসহ হাজারো হারাম কাজের সমারোহ।
পবিত্র মুহররম শরীফ মাস উনার দশম তারিখ হচ্ছে ‘ইয়াওমুল আশূরা’ শরীফ।
যা স্মরণীয় ও মর্যাদাম-িত দিন। আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে শুরু করে প্রথম নবী ও রসূল হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার পর্যন্ত প্রায় সকল হযরত নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের কোনো না কোনো উল্লেখযোগ্য ঘটনা এ দিনেই সংঘটিত হয়েছে। ফলে উম্মাহর জন্য এ দিনটি এক মহান আনুষ্ঠানিকতার দিন এবং রহমত, বরকত ও সাকীনা মুবারক হাছিলের দিন।
তাই এ দিনে বেশকিছু আমলের কথা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে- ১. পবিত্র আশূরা শরীফ বা ১০ই মুহররম শরীফ উপলক্ষে দুটি রোযা রাখা। অর্থাৎ ৯, ১০ অথবা ১০, ১১ তারিখ।
শুধু ১০ তারিখ রোযা রাখা মাকরূহ। সম্ভব হলে উক্ত দিনে যারা রোযা রাখবে তাদের এক বা একাধিকজনকে ইফতার করানো। ২. সাধ্যমত পরিবারবর্গকে ভালো খাওয়ানো। ৩. গোসল করা। ৪. চোখে সুরমা দেয়া।
৫. গরিবদেরকে পানাহার করানো। ৬. ইয়াতীমের মাথায় হাত বুলানো। এসব প্রত্যেকটি আমলই সুন্নত এবং অশেষ ফযীলত লাভের কারণ। অথচ আফসুসের বিষয়; বর্তমানে মুসলমানগণ উনাদের মধ্যে এসব রহমতপূর্ণ ইবাদত-বন্দেগী চর্চা দেখা যায় না। পাশাপাশি আলিম নামধারীরাও বর্তমানে মুসলমানগণ উনাদের মধ্যে এসব বিষয়ে কোনো আলোচনা করে না; ফলে মুসলমানরা এসব বিষয়ের ইলিম না থাকার কারণে আমল থেকেও বঞ্চিত হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।