শান্ত...। তাজউদ্দীন আহমদের ৭৪তম জন্মবার্ষিকীতে তারই ইংরেজিতে লিপিবদ্ধ ১৯৪৭-৪৮ সালের ডায়েরীর প্রায় সোয়া নয় মাসের অনুবাদ প্রকাশ করেছেন সিমিন হোসেন রিমি।
বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০০১ সালের জুলাই মাসে। বর্তমানে আমার কাছে যেটি রয়েছে তা দ্বিতীয় মুদ্রণ ২০০৫ সালের এপ্রিল মাসে প্রকাশিত। প্রতিভাস থেকে প্রকাশিত এর প্রচ্ছদ করেছেন গুনী শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী।
বইটির মূল্য বাংলাদেশী টাকায় ২০০ টাকা।
সংক্ষিপ্ত পরিচিতি:
তাজউদ্দীন আহমদ (জুলাই ২৩, ১৯২৫ - নভেম্বর ৩, ১৯৭৫ ) বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম নেতা। তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সাফল্যের সাথে পালন করেন। একজন সৎ ও মেধাবী রাজনীতিবিদ হিসেবে তাঁর পরিচিতি ছিল।
তাজউদ্দীন আহমদ মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন যা মুজিবনগর সরকার নামে অধিক পরিচিত।
স্বাধীনতা পরবর্তীকালে তিনি বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী হিসাবে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপরিবারে নিহত হবার পর আরও তিনজন জাতীয় নেতাসহ তাঁকে বন্দী করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়। সেই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারেই ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর বন্দী অবস্থায় ঘাতকের বুলেটে তিনি নিহত হন। তাজউদ্দীন আহমেদ
প্রকাশকের কথাঃ
তাজউদ্দীন আহমদের ডায়েরীর সাথে আমার প্রথম পরিচয় ঘটে ১৯৭০ সালে বদরুদ্দীন উমরের 'পূর্ব বাংলার ভাষা আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতি' নামক গবেষণালব্ধ বইটির মাধ্যমে। তারপর প্রায় দেড়যুগের ব্যবধানে প্রকাশিত হয় বদরূদ্দীন উমরের 'ভাষা আন্দোলন প্রসঙ্গ কতিপয় দলিল'. এই গ্রন্থে তাজউদ্দীন আহমদের ডায়েরীরর কিছু অংশ প্রকাশিত হয়।
এটি প্রকাশের পর বদরুদ্দীন উমর তাঁর কাছে রক্ষিত ডায়েরীগুলোতাজউদ্দীন আহমদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। এই গ্রন্থের ভুমিকার এক অংশে জনাব উমর বলেন: "তাজউদ্দীন আহমদ ১৯৪৬ থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত প্রতিদিনের ডায়েরী নিয়মিত রেখেছিলেন। তাঁর সঙ্গে আলাপের সময় তিনি কথায় কথায় তাঁর এই ডায়েরীর উল্লেখ করেন, কিন্তু সেই সঙ্গে বলেন যে, তার কোনো গুরুত্ব নেই। আমি তৎক্ষণাৎ ডায়েরীগুলি দেখতে চাইলে তিনি আমাকে সেগুলি দেন। আমি কিছু কিছু পাতা উল্টিয়ে বুঝতে পারি যে, তৎকালীন রাজনৈতিক আন্দোলনের ইতিহাস ঠিকমতো লেখার ক্ষেত্রে ডায়েরীটি খুব সাহায্য করবে।
সেই অনুযায়ী আামি সেগুলি তাঁর থেকে নিয়ে যাই এবং পরে ১৯৪৬ সাল এবং ১৯৫৩ থেকে ৫৬ সারের ডায়েরী তাকেঁ ফেরত দিয়ে ১৯৪৭ থেকে ১৯৫২ পর্যন্ত নিজের কাছে রাখি।
(চলতে পারে...)
নিজের কথাঃ
তাজউদ্দীন আহমদকে নিয়ে আমার সংগ্রহে দুটি ডায়েরী গ্রন্থ সহ আরো একটি বিশালাকৃতির বই রয়েছে। পড়তে পাচ্ছিলাম না বলে অপরাধবোধে ভুগছিলাম। বইগুলোকে একেবারে হৃদয়ে, স্মৃতিতে গেঁথে রাখার জন্য আলাদা করে পড়া শুরু না করে এখানে পোস্ট আকারে দেওয়ার চেষ্টা, যেন এই মহান মানুষটি সম্পর্কে আমি সহ আর সবাই আরো জানতে পারে।
জানি না এটিতে কপিরাইট লংঘন করা হবে কি না।
কিন্তু এমন মহান মানুষ সম্পর্কে অন্যকে জানাতে মৌলিক কোন কিছু লেখার সুযোগ নেই।
হয়তো নিজের ভাষায় লেখা যেতে পারে। সে চেষ্টা পরে করার আশা রাখি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।