আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গোপনে যে বেইশ্যার ভাত খায় -তাতে জাতের কি আসে যায় ?

আমি নিতান্ত সাদমাটা মানুষ। বলারমত কোন পরিচায় নাই। নিরামিষ মানুষ । ফকির লালন শাই এর একটা গানে আছে- জাত গেল জাত গেল বলে একি আজব কারখানা? গোপনে যে বেইশ্যার ভাত খায় তাতে জাতের কি আসে যায়? আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো বর্তমান ক্রীয়া কর্ম দেখলে বড়ই অবাক লাগে। গত কাল ছিল স্বৈরাচার মুক্ত দিবস।

অথচ এ স্বৈরাচার এখন বর্তমান সরকারের কাধে ভর করে আছে। আর রাজকার বিরোধী দলের সাথে। সত্য সেলুকাস । কি বিচিত্র এ দেশ। সত্যই বাংলাদেশ বৈচিত্রময়।

সুযোগ মত যার যখন যাকে দরকার হোক সে স্বৈরাচার হোক সে রাজাকার দলে টেনে নেবো। আমার সাথে যদি না থাকে সে জম্মের খারাপ। যাদের ঘারে ভর করে এই স্বৈরাচার আর রাজাকর দম নিচ্ছে তারা কি? তারাতো খারাপের কোন ক্লাসেই পরে না। লালনজির গানের সেই কথা মতে- বেইশ্যাদের সাথে মেলামেশা করে মজা লুটে এখন আমাকে আর মজা দেয় না বলে ওরা খারাপ, নষ্টা বলে প্রচার। ওরা নষ্ট ওদের জাত গেল।

যারা এই কাজের আসল হোতা তাদের জাত যায়নি। এখানে বড়ই স্বার্থক লালনজির কথার প্রতিফলন ঘটেছে। সরকার কখনো জামাত নিষিদ্ধ করবে না। এতে তার কোন লাভ নেই। জামাত নিষিদ্ধ হলে তার ভোটাররা সব বিএনপিকে ভোট দিবে জোট ছাড়াই।

এতে করে বিএনপির লাভ হবে। যা আওয়ামী সরকার চাইবে ? বরং যতদিন জামাত থাকবে কোনমতে প্রেসার দিয়ে বা সমাঝোতা করে যদি তাদের নিজেদের পক্ষে আনা যায় তবেই তো লাভ। শুধু শুধু রাজনীতি নিষিদ্ধ করে রিক্স নিয়ে লাভ কি? এই হল চরিত্র। এহেন চরিত্রের কারনে জাত যায় না। কারন তাদের জাত ইনটেক করা।

শুধু রাজনীতি কেন? দেশের অর্থনিতিতেও একই কান্ড। একজন যুবক একজন মেয়েকে ধর্ষন করে পরে মেয়েটিকে বলে নষ্ট মেয়ে। যেমন সংসপ্তকে রমজান ফুলমতিকে ধর্ষন করে । আবার পরে তাকেই ছেকা দিয়ে শাস্তি দেয়। আমাদের দেশের মন্ত্রী আমলারা যুবক আর ডেসটিনির মত প্রতিষ্ঠান কে সুযুগে ভোগ করে একখন বলছে দুর্নিতিবাজ।

মজালুটার সময় মনে ছিল না। এরা দুর্নিতিবাজ এদের অনুষ্ঠানে যাবনা। এদের থেকে পয়সাকরি নিব না। মজা শেষ এখন এরা নষ্ট। তাদের আর রমাজন এর মধ্যে পার্থক্য কোথায়? হাউ ফানি-হাউ ফানি- জনগনের অর্থ নিয়া- একেমন টানাটানি? শেয়ার বাজরে লাখো বিনিয়োগকারী পথের ফকির।

শেয়ার কেলেংকারীর হোতাদের ধরা হল না। বলা হল মানুষের লোভের কারনে মানুষ ফতুর হয়েছে। না বুঝে শেয়ার ব্যবসায় বিনিয়োগের কারনে তাদের এ দশা। সব দোষ নন্দঘোষকে দিয়ে তারা খালাশ। এখানেও জাত গেল কার ? শেয়ার বিনিয়োগ কারীদের।

কিন্ত ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েগেল নাটের গুরুরা। তাদের জাত গেল না। এভাবে হলমার্ক কেলেংকারী, রেলমন্ত্রীর কেলেংকারী, পদ্মাসেতু কেলেংকারী চলছেই গোপনে বেইশ্যার ঘরে যাওয়ার উৎসব। জাত যাচ্ছে জনগনের। লাখো বেকারের দেশে কষ্টে অর্জিত চাকুরী বহুদিনি পর হারানো সেই যুবকের।

জাত যাচ্ছে লাখো বিনিয়োগকারীর। কেন কেন এখনো এভাবে জাত যাবে নিরিহ দূর্বলদের? আর কতকাল গোপনে বেইশ্যার ভাত খেয়েও জাতে আছে বলে দাপট দেখাবে দুবৃত্তরা। কেন জাত যায় না ভন্ড রাজনীতিবিদদের? কেন জাত যায় না দুর্নিতিবাজদের? কেন জাত যায় না শত কেলেংকারীর খলনায়কদের? বলতে পারবেন কেউ? ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।