কোন পথে এগুচ্ছে দেশ প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা দেশপ্রেমিক (প্রধানমন্ত্রীর আগেই আমি বললাম) মসিউর রহমান আবার কাজে যোগ দিলেন। আবার হয়তো বেঁকে বসবে বিশ্ব ব্যাংক। কারন বিশ্বব্যাংকের ঋণচুক্তি বাতিলের পর এ প্রকল্পে ফিরে আসার ক্ষেত্রে তাদের চার শর্তের প্রথমটি ছিল, যেসব সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের ছুটিতে পাঠাতে হবে।
কী এমন অপরিহার্য মশিউর রহমান যে, এর কোন বিকল্প সরকার খুঁজে পাচ্ছেননা। তাকে কী অন্য কোন দায়িত্ব দেয়া যেতো না।
না হয় তাকে ওএসডি উপদেষ্টা করেই রাখা যেতো। ওএসডি মন্ত্রীর পর(কোন মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব না দিয়ে সুরজ্জিত সেন গুপ্তকে তো ওএসডি মন্ত্রী করে রাখা হয়েছিল) না হয় তিনি হতেন ওএসডি উপদেষ্টা। (অবশ্য ছুটিতে থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁর উপদেষ্টা মসিউর রহমানকে দেখা যায়)। এতে সরকারের দুকুল রক্ষা হতো। তা না করে তদন্ত কাজ চলা কালেই তিনি কিনা স্বপদে যোগ দিলেন।
যে আশা এতদিন আমরা সাধারণ জনগণ বুক বেঁধে ছিলাম এ সরকারই পদ্মা সেতুর নিমার্ণ কাজ শুরু করে যেতে পারবে এবং বিশ্বব্যাংকের সাথেও একটি সম্মান জনক সমযোতায় পৌঁছতে পারবে, তা কী আবার সূদুর পরাহত? বিশ্বব্যাংকের শর্ত বঙ্গ হওয়ায় বিশ্বব্যাংক যদি আবার বেঁকে বসে তাহলে কী সত্যিই নিজেদের টাকায় সরকার পদ্মা সেতু নির্মান করতে পারবে। অবশ্য এটি অবশ্যই মনে রাখা উচিত যে আমরা কোন অপমান জনক চুক্তির মাধ্যমে কোন ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠানের কাছ হতে সহযোগিতা নেয়া হোক তা চাইনা। তবে সরকার যতই বলুক না কেন? পদ্মা সেতু প্রকল্পে উপস্থাপিত দুর্নীতির তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। এমন অবস্থায় সরকার কঠোর অবস্থানে যেতে পারে না। এক মাত্র যদি প্রমাণিত হয় যে সত্যিই কোন দুর্নীতি হয়নি তাহলে বিশ্বব্যাংকের এই অপমান জনক অভিযোগের জন্য বাংলাদেশ ক্ষতি পূরণ চাওয়ার পাশাপাশি বিশ্বব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলাও করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বার বার বলছেন নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন করার। এখন সরকারের যে অবস্থা জনগণ কী সত্যিই সরকারের উপর বিশ্বাস রেখে সরকারকে আর্থিক সাহায্য করবে? যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের নিরপরাধ প্রমানিত হওয়ার আগ পর্যন্ত সাধারণ জনগণ কখনো স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে সরকারের নিজেদের অর্থে সেতু করার উদ্যোগকে মেনে নিবেনা। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী যদি সে চেষ্টা করেনও ছাত্রলীগকে কী তিনি সত্যি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।