জিএসপি সুবিধা স্থগিত করার পর এনিয়ে দেশে উত্তপ্ত রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যে বুধবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “রাজনৈতিক অস্থিরতা, হরতাল, সাংঘর্ষিক পরিস্থিতিও এ জন্য (সুবিধা স্থগিত) দায়ী। জাতীয় স্বার্থে আমাদের রাজনৈতিক বিভাজন বন্ধ হওয়া উচিত। ”
তবে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধা স্থাগিত করায় বিচলিত হওয়ার মতো নেতিবাচক প্রভাব দেশের অর্থনীতিতে পড়বে না বলে ধারণা সাবেক এই সরকারি কর্মকর্তার।
মসিউর বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র আমাদের মো্ট রপ্তানি পণ্যের মাত্র এক শতাংশের ওপর জিএসপি সুবিধা দেয়। সুতরাং জিএসপি সুবিধা বাতিলের ঘোষণায় ঘাবড়ানোর কিছু নেই।
”
তার মতে, “আমাদের কারখানাগুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে হবে, শ্রমিকদের স্বার্থে প্রণীত আইনগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। জাতীয় উন্নয়নের স্বার্থেই শ্রমিকদের যথাযথ অধিকার দিতে হবে। ”
সাবেক ইআরডি সচিব মসিউর মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি সুবিধা বাতিলের পেছনে তাদের নিজস্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও দায়ী হয়ে থাকতে পারে।
তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র এখনো মন্দা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ কাটিয়ে উঠতে পারেনি। বর্তমান সময়ে সেখানে বেকারত্বের হার ১৮ শতাংশেরও বেশি।
জিএসপি সুবিধা বাতিলের এটাও অন্যতম কারণ হতে পারে। ”
জিএসপি বাতিল আহবান জানিয়ে লেখা খালেদা জিয়ার কথিত চিঠি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “খালেদা জিয়া যে চিঠি লিখেছেন –এটা ওই পত্রিকাও স্বীকার করেছে। সুতরাং এটা মীমাংসিত যে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক পদক্ষেপে তার উস্কানি রয়েছে। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।