অরুণালোক নিচের সংবাদটি আজকে (৩০ অক্টোবর, ২০১২) প্রথম আলোতে ছাপা হয়েছে। সংবাদটির জন্য আমার কোন দুঃখ নেই। মোগলরা প্রায় দু'শ বছর ভারতবর্ষ শাসন করেছে, বিলাসী জীবন যাপন করেছে এসব সত্যি। আরও সত্যি হলো ইংরেজরাও আমাদের এ ভারতবর্ষ প্রায় দু'শ বছর শাসন করেছে, সাথে সাথে শোষণও করেছে। লুঠ করে নিয়ে গেছে আমাদের উপমহাদেশের অজস্র সম্পদ।
তাদের এ লুণ্ঠন চলেছে দীর্ঘ বছর ধরে, একটু একটু করে। আজ তারা সে লুণ্ঠিত সম্পদেরই প্রদর্শনী করছে। ইংরেজদেরা জোর করে নিয়ে যাওয়া সে মূল্যবান সম্পদের প্রদর্শনী আমাকে তাই আনন্দ দিতে পারছে না। জানিনা আমার সাথে কেউ একমত হবে কিনা। আমার দুঃখে দুঃখিত হবে কি না।
যুক্তরাজ্যে মোগল আমলের ধনরত্নের প্রদর্শনী
আগামী মাসে মোগল সম্রাটদের ধনরত্নের এক বিশাল প্রদর্শনী হতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্যে। এতে শেষ মোগল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহের একটি মণিমুক্তাখচিত মুকুটসহ বেশ কিছু দামি জিনিস প্রদর্শিত হবে। গতকাল সোমবার দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
মোগল সম্রাটেরা প্রায় ২০০ বছর ভারতবর্ষ শাসন করেছেন। দ্য টেলিগ্রাফ-এর খবরে বলা হয়, ব্রিটিশ লাইব্রেরিতে এ প্রদর্শনী হবে।
এর মধ্যে থাকবে হীরা, চুনি ও রত্নপাথর বসানো অলংকার, দুর্লভ গয়না ও চিত্রকর্ম। আরও থাকবে সূক্ষ্ম ও জটিল অলংকরণে সমৃদ্ধ অমূল্য পাণ্ডুলিপি, যেখানে মোগল সম্রাটদের বিলাসবহুল জীবনযাপনের কথা বর্ণনা করা হয়েছে। ব্যক্তিগত সংগ্রহ থেকে ধার করা মাছি তাড়ানোর একটি ঝাড়নও থাকছে এ প্রদর্শনীতে। সবুজ মণিখচিত এই ঝাড়ন সপ্তদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ের। সম্রাট শাহজাহানের একজন সভাসদ এটি ব্যবহার করতেন বলে ধারণা করা হয়।
পিটিআই।
সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহের স্বর্ণমুকুট। ব্রিটিশ রাজপরিবারের সংগ্রহশালার ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া ছবি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।