ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই ছোটো সে তরী!
জাতিগত উন্নতিতে এক্সপ্লয়টেশনের অবশ্যই একটা ভূমিকা আছে। ইংরেজ জাতি শীর্ষে উঠতে যে কেবল নৈতিক পথ অবলম্বন করেছে সেটা ভাবাটা মনে হয় 'নাইভ', অতিসরলীকরন। কিন্তু শুধুই অন্যায় পথে ওরা উঠেছে সেটা ভাবা আরো বড় ভুল মনে হয় আমার। তৃতীয় এবং বিশেষত মুসলিম বিশ্বে এই মনোভাব বেশ জনপ্রিয়। দোষারোপের সহজতা এর একটি কারন হতে পারে, যদিও আবারও বলে রাখছি, আমি মনে করি না ধারনাটি (পুরোপুরি) অমূলক।
যাহোক, সম্পদ বনাম জাতির ভূমিকা নিয়ে কথা হচ্ছিলো। সম্পদ বেশ নৈর্ব্যক্তিক এবং নিরাপদ একটা চলক, কিন্তু আমার মনে হয় না এটাই উন্নয়নের সব কারনের মূলে। তাই যদি হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার এই উন্নয়নগত তারতম্য কেন (রাশিয়া আমেরিকার দ্বিগুনেরও বেশি বড়, কিন্তু জনসংখ্যা আমেরিকার অর্ধেকেরও কম; ভূগোল বিবেচনা করলেও মাথাপিছু আয় প্রায় এক-পন্ঞমাংশ কেন)? আবার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং নেদারল্যান্ড, জার্মানী বা ব্রিটেনের এই উন্নয়নগত মিল কেন (জনঘনত্ব শেষ তিনটি দেশেরই আমেরিকা থেকে ১০-১৫ গুন বেশি)?
সম্পদের ব্যবহার, মানবসম্পদ উন্নয়ন, দর্শন, ইতিহাস, আন্চ্ঞলিক/পারিপার্শ্বিক উন্নয়ন এবং তারতম্য, ভূগোল এগুলো সবই উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ন নির্দেশক এবং 'জাতি' চলকটির মধ্যে ফেলা যায়, যদিও সম্পদ এবং জাতি চলক দুটি পুরোপুরিভাবে পৃথক করা অসন্ভব; বেশিরভাগ কারনই দুই চলকব্যাপী (ওভারল্যাপিং); এমনকি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একই চলকের অধীনের কারনগুলিও ভালভাবেই সম্পর্কিত। সামাজিক এবং গোত্রবদ্ধ জীব হিসেবে মানুষ 'জাতি'তে বসবাস করে, এবং ব্যক্তিগত ব্যতিক্রম প্রচুর থাকা সত্ত্বেও পরিসংখ্যানগত কারনে 'জাতি' আমার বিশ্লেষণের একটি কার্যকর একক হতে পারে বলে আমি মনে করি। (চলবে)
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।