মানুষ আর প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য হলো-চেতনাগত ও সংস্কৃতিগত।
স্থলভাগের সম্পদ জনগণ বিদেশীদের দেয় নি, সমুদ্রবক্ষের সম্পদও দিবে না
-প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
স্থলভাগের সম্পদ জনগণ বিদেশীদের দেয় নি, সমুদ্রবক্ষের সম্পদও দিবে না। জনগণের সম্পদ জনগণই রক্ষা করবে। দেশের জাতীয় সম্পদ দেশের মানুষ বিদেশীদের হাতে কখনোই তুলে দিবে না। আমাদের দেশের সরকারগুলো ক্ষমতায় আসলে জনগণের কাচ্ছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভুলে যায়।
দেশের, জনগণের উন্নতির ভাবে না। নিজেদের উন্নতি নিয়ে ব্যস্ত থাকে। তাই সাম্রাজ্যবাদের দালালি করে। তাদের স্বার্থে এরা নানা চুক্তি মাধ্যমে দেশের সম্পদ পাচার করতে মরিয়া হয়ে ওঠে। তাদের নির্দেশে শিল্প, কৃষি, ব্যাংক-বিমাসহ রাষ্ট্রিয় প্রতিষ্ঠানগুলো ধবংস সাধন করে।
যার উদাহরণ- আদমজী জুট মিল। সরকার এখন সমুদ্রের গ্যাস পাচারের জন্য চুক্তির অনুমোদন দিতে যাচ্ছে। আমরা ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডমার্চে স্পস্ট জানিয়ে দিয়েছি, জনগণের স্বার্থবিরোধী কোনো চুক্তি চলবে না। আজ ফুলবাড়ি দিবসের এই সতস্ফূর্ত জনতার ঐক্য প্রমাণ করে যে, জনগণ দেশের সম্পদ কোনো বিদেশীকে দিবে না। অবিলম্বে ফুলবাড়ি চুক্তির ৬ দফা বাস্তবায়ন করুন।
ফুলবাড়ি আন্দোলনের অন্যতম নেতা নুরুজ্জামান বলেন, তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে ফুলবাড়িতে এসে ফুলবাড়ির মানুষকে সেলুট জানিয়েছিলেন এবং প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছিলেন যে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় গেলে ফুলবাড়ি চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নসহ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিবেন। কিন্তু আওমীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দীর্ঘ ৮ মাসেও আমরা সে বিষয়ে কোনো ধরনের পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছি না। আর গড়িমসি না করে অনতিবিলম্বে জনগণের স্বার্থের কথা চিন্তা করে ফুলবাড়ি চুক্তি বাস্তবায়ন করুন।
জাতীয় কমিটির উদ্যোগে ফুলবাড়িতে অনুষ্ঠিত সমাবেশ ফুলবাড়ির আহবায়ক সাইফুল ইসলাম জুয়েলের সভাপতিত্বে ও নুরুজ্জামানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন- জাতীয় কমিটির আহবায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ, ফুলবাড়ি আন্দোলনের নেতা নুরুজ্জামান, কমিউনিষ্ট পার্টির নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, ন্যাপ নেতা ইসলাম হোসেন, গণফ্রন্টের টিপু বিশ্বাস, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির মোশরেফা মিশুসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় প্রতিনিধিবৃন্দ।
আজ ঐতিহাসিক ফুলবাড়ি দিবস।
২০০৬ সালের ২৬ আগষ্ট ফুলবাড়িতে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলনের বিরুদ্ধে জনগণ শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন চালায়। এই আন্দোলন রত জনতার উপর তৎকালীন বিএনপি-জামাত জোট সরকারের পুলিশসহ যৌথ বাহিনী নির্বিচারে গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলে ৩ জন শহীদ হন। আহত এবং পঙ্গু হয় শত শত নিরীহ জনতা। সে সময় বিএনপি জামায়াত চার দলীয় জোট সরকারের কয়েকজন এমপি মন্ত্রীর সাথে তেল-গ্যাস-খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সাথে একটি বৈঠক হয়।
এই বৈঠকে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলনকরা যাবে না এবং ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণসহ আরও অনেক দাবি নিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু সেই চুক্তি আজ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয় নি। বরং ঘাতক এশিয়া এনার্জি এখনও বাংলাদেশে বহাল তবিয়তে নানা অপতৎপরতা চালাচ্ছে।
তেল-গ্যাস-খণিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ- বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহবানে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এদিবস পালিত হচ্ছে। সকাল ১০টায় দিনাজপুরের ফুলবাড়িতে হাজার হাজার সাধারণ জনতা কালো ব্যাজ বুকে নিয়ে শোক র্যা লিতে অংশ গ্রহণ করে।
র্যাালি শেষে প্রথমে জাতীয় কমিটির আহবায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লার নেতৃত্বে নির্মিত শহীদদের বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পন শুরু হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন-জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ, ফুলবাড়ি আন্দোলনের নেতা নুরুজ্জামান, কমিউনিষ্ট পার্টির রুহিন হোসেন প্রিন্স, ন্যাপের ইসলাম হোসেন, গণফ্রন্টের টিপু বিশ্বাস,গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির মোশরেফা মিশুসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।