আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অনন্তকাল পরে * (১৮ ++)

জীবনের মুহূর্তগুলো ভালবাসার স্পর্শে রঞ্জিত হোক,জীবনের মুহূর্তগুলো স্বাধীনতার স্পর্শে মুখরিত হোক ** কাজ করছি রান্নাঘরে । সন্ধ্যা সাতটা বাজে আর একটু পরেই তুমি চলে আসবে। গরুর মাংসের কিমা করেছি, কাবাব করেছি আর লাল শাক রেধেছি। ডাল ভাত রেধেছি। তুমি কলিংবেল টিপছ , আমি দরোজার লুকিং গ্লাস দিয়ে দেখলাম তুমি দাঁড়িয়ে আছ।

মনটা খুব খুশি হল। দরোজা খুললাম। তোমার চোখে চোখ রাখতেই তুমিও খুব খুশি হলে। শুধালে কি করছিলে। আমি আহ্লাদিত হয়ে উত্তর দিলাম,”কিছু না এই একটু রান্না করছিলাম।

" তুমি হেসে আমাকে বুকে জরিয়ে নিলে। তোমার ক্লান্ত শরীরে হালকা মাথা রেখে টি-শার্টের উপরই বুকে চুমু একে দিলাম বললাম”আমার সোনা পাখিটা। ” আস্তে করে তোমার কাছ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিলাম। উদ্দেশ্য তোমার হাত মুখ ধোয়ানো ফ্রেস করা। “যাও একটু ফ্রেস হয়ে আস লক্ষীটি।

” চা দিব নাকি কফি দিব হমম। তুমি শোবার ঘরে যেতে যেতে বললে “কফি দিও। ” আমি কফি চড়ালাম। চুলায় পানি আর কফির টগবগে যুদ্ধ দেখছিলাম। তুমি একটু পরে শোবার ঘর থেকে ডাকছ “জানু জানু ” হ্যা বল আমি রান্না ঘর থেকেই চেচাচ্ছি।

এদিকে একটু আস না। আমি চুলায় বসানো কফির মধ্যে দুধ দিয়ে জ্বালটা হালকা আচে রেখে আসলাম। ঢুকে দেখি তুমি টিশার্ট খুলে খালি গায়ে দাঁড়িয়ে আছ। আমি আড়চোখে তাকালাম। কেমন সেক্সি লাগছিল।

গতরাতের তোমার আর আমার ঝড়ের কথা মনে পড়ছিল। তুমি আমার চোখ মুখ দেখে কিছুটা আচ করলে। বললে “ আমার কোমরটা এত ব্যাথা করছে একটু মুভ লাগিয়ে দাও না। “ ব্যথা করছে আমি শুধালাম। তুমি বললে “খুব ব্যথা করছে।

এই সারাদিন ল্যাবে কম্পিউটারে বসে কাজ করি। কোমরটা ধরে গিয়েছে। ” আমি চিন্তায় পড়ে যাই। ব্যথাটা এবার আমার বুকেই টনটন করে বাজে। মুভ তো রোজ দাও ।

আমার আম্মাকে দেখতাম রসুনের তৈল গরম করে লাগাতো । দুতিনদিন রোজ মালিশ করলে আরাম পাবে। আর ব্যথা লাগবে না। “ রসুনের তৈল তুমি একটু অবাক হয়ে তাকালে। আমি আবার শুধালাম দিয়ে দিব ।

কি ভেবে তুমি হ্যা বলে দিলে। রসুনের তৈল গরম করে নিয়ে এসে দেখি তুমি বিছানায় উপুড় হয়ে শুয়ে আছ। ব্যথায় আর চিন্তায় তোমার মুখ কুকড়ে আছে। আমি রসুনের তৈল দিয়ে আধা ঘন্টা মালিশ করলাম। তোমার ডানা , পিঠ সব ঠিকঠাক করে দিলাম।

আগে থেকেই এরকম হাত টেপাটিপি , গা মালিশ বড়দের করে এসেছি। তাঁরা খুব আরাম পায়। তোমার ক্লান্ত মুখটা উজ্জ্বল হয়ে গেল । ব্যথায় কুকড়ানো মুখের বদলে সজীব তুমি। দাঁড়াও তৈলগুলি মুছে দেই।

তোয়ালে এনে তোমার সারা পিঠ , কোমর মুছে দিলাম। মুছে তোয়ালে নিয়ে যেই না নামতে যাচ্ছি পিছন থেকে আমাকে তুমি টেনে নিলে । চুমু একে বললে “tnx” আমিও তোমার চুমুর উত্তরে চুমু দিয়ে বললাম “welcome, দাঁড়াও কফি নিয়ে আসি। ” কফি দুজনে মিলে খেলাম। শুধুই দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে।

তুমি গান গাইতে বললে আমরা এই গানটি ধরলাম, ”তুমি যে আমার শুধু তুমি যে আমার। ” আমরা দুজনে হারালাম আটলান্টিক মহাসাগরে । রাত পেরিয়ে সকাল হল, সকাল গড়িয়ে দুপুর হল। তুমি তো আর আমাকে ছাড় না , দুষ্টু। অনন্তকাল পরে আমরা আবিস্কার করলাম, কেয়ামত পার হয়ে তুমি আর আমি স্বর্গে(ইনশাল্লাহ) আছি ।

আমরা একে অপরের দিকে তাকিয়েই আছি। “আচ্ছা ”আমি শুধালাম দুষ্টুমি করে“তুমি হুর পরীদের কাছে যাও না কেন ? ওরা তো আমার থেকে দেখতে অনেক সুন্দরী। ” “কি হবে গিয়ে “ মুখ বেকে উত্তর দিলে তুমি । আমি মুখ টিপে হেসে বললাম ,”বারে ওরা তোমাকে কত্ত খাতির যত্ন করবে” “আমার খাতির যত্নের দরকার নাই “ এবার তুমি রেগে গেলে। “ তুমি হুর ব্যাটাদের কাছে যেতে পার না যাদের সব কিছু আমার থেকে অনেক ভাল , চেহারাও সুন্দর।

“ কেন যাব ? আমি রেগে গেলাম। যাবানা ওই ব্যাটারা কত মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে তোমাকে কত উৎফুল্ল রাখবে। আমি বললাম “হ্যা আমি তো সবার সাথেই কথা বলি। হুরদের সাথে বাকি সবার সাথেই কিন্তু সবাইকেই যে আমার ভাই ছাড়া অন্য কিছু ভাবতে পারি না। কেন জানি পারি না।

“ তুমি হো হো করে হেসে উঠলে , “কি পার না । ” “জানি না “ আমি চোখ নামিয়ে উত্তর দিলাম। “তুমি কি আমাকে ছাড়া আর কাউকে নিয়ে ভাবতেই পারলে না ইহজনমেও পার নাই এই পরজনমেও পারলে না ?? “ হো হো করে হাসতে লাগলে তুমি “পারলাম নাতো কি করবে তুমি “ তুমি মুচকি হেসে আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরে বললে “সেইজন্যই তো আমি তোমাকে অনেক অনেক ভালবাসি। এমন পাগলী কি আর কোথাও পাব। যে শুধু আমাকেই ভালবাসে আর কাউকে বাসে না ।

বল। ”  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.