যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে উপমহাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা মানেই হিন্দু-মুসলিম দুই ধর্মের নাম শুনতাম। কখনও বৌদ্ধদের নাম শুনি নাই। একসময় সন্দেহ হতো তারা আছে তো দেশে!
বার্মার বিষয়েও আমার ভিন্ন ধারণা ছিলো। বৌদ্ধধর্ম মানেই আমার মনে হতো শান্তিপূর্ণ ধর্ম। কোনো দাঙ্গা-ফ্যসাদের কথা শুনি না - হিন্দু বনাম বৌদ্ধ বা মুসলিম বনাম বৌদ্ধ।
সাম্প্রতিককালে বার্মায় বৌদ্ধ ধর্মালম্বী আরাকানীদের মুসলিম ধর্মালম্বী রোহিঙ্গাদের উপরে নির্মম ও রক্তাক্ত আক্রমণ আমার ধারণাকে পরিবর্তন করে দিয়েছিলো। তারপরে বাংলাদেশের মুসলিম কর্তৃক বৌদ্ধ নির্যাতন মুসলিম বনাম বৌদ্ধ একটা আঞ্চলিক সংঘাতের বিষয় হয়ে উঠেছে। এক দেশের প্রভাব অন্য দেশে পড়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছিলো - যেটা ঘটে হিন্দু মুসলিম সম্পর্ক ও সংঘাতে।
বৌদ্ধদের উপরে বাঙালী মুসলমানদের আক্রমন রোহিঙ্গাদের উপরে বৌদ্ধদের আক্রমনের প্রতিশোধ হিসাবেই করা হয়েছে বলে আমি মনে করি না। এদেশে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের সাথে সংঘাতের ইতিহাস বিরল।
তবে পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর (যাদের বেশীরভাগ বৌদ্ধ) সাথে সমতলের (যাদের বেশীরভাগ মুসলিম) সংঘাতের যে জাতিগত সাংঘর্ষিক অবস্থান রয়েছে - সেটাকে এক হাত নেবার জন্য প্রকাশ্যে রোহিঙ্গাদের প্রতি বার্মিজদের অত্যাচারের প্রতিশোধ হিসাবে সাম্প্রতিক বৌদ্ধ নির্যাতনের অবয়ব দেয়া হয়েছে। আমরা খুব ভালো করেই দেখেছি বার্মিজরা যখন রোহিঙ্গাদের উপরে আক্রমন করেছিলো - বেশীরভাগ বাঙালিই রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধ করার বিষয়ে সোচ্চার ছিলো। তখন তাদের ভ্রাতৃত্ববোধের কোনো ছিটেফোটা দেখা যায়নি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।