আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।
কিস্তি : ৪৮:
বিশ্ববিদ্যালয রিপোর্টাররা সব সময় সত্যের পক্ষেই ছিলেন, এখনো নিশ্চয় আছেন। দু একজনকে এর বাইরে রাখতে হবে। কারণ হাতের পাঁচটা আঙুল সমান হতে পারে না।
এ বহুল প্রচলিত প্রবচনটি এখানেও উল্লেখ করার মত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয শাখা ছাত্রলীগের সে সময় সভাপতি ছিলেন দেলোয়ার ভাই। সাধারণ সম্পাদক ছিলেন হিমু ভাই। এখন প্রবাসী। দুজনই ভালো মানুষ।
তবে দেলোয়ার ভাই একটু আবেগ তাড়িত।
এখন ছাত্রদল যে রকম ক্যাম্পাস ছাড়া, সে সময় ছাত্রলীগ এমনটা ছিলেন না। তারা ক্যাম্পাসে আসতনে, মধুতে আড্ডা মারতনে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘট ডাকতনে। সাধারণত ক্ষমতায় থাকলে ধর্মঘট হালাল না, না থাকলে হালাল।
এ রকম বিশ্বাস করেন আমাদের ছাত্ররাজনীতিকরা।
একবার ঘটলো উল্টো এক ঘটনা। ছাত্রলীগ বিজনেস স্টাডিজ অনুষেদের ইভিনিং এমবিএ ভর্তি পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ তুলল। এ জন্য একটা ধর্মঘটও ডাক দেয়া হলো। তবে অবশ্য সেটি সাংবাদিকদের কারণে পণ্ড হয়ে যায়।
কারণ সে সময় বিজনেস অনুষদের ডিন ছিলে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম স্যার। উনি সূর্যসেন হলের প্রভোস্টও ছিলেন। অত্যন্ত সৎ ও সজ্জন। তার বিরুদ্ধে যখন অভিযোগ, তখন আমরা সাংবাদিকরা এটা অনুসন্ধান করে দেখলাম। বিশেষ করে সম্রাট ভাই এ অনুসন্ধানের নেতৃত্বে ছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেলো, দেলোয়ার ভা্ই এমবিএ করার জন্য পরীক্ষা দিয়েছেন, টিকেন নাই, তাই এ অভিযোগ। তার খাতাও দেখানো হলো। তাকে গ্রেস মার্ক দিয়েও টেকানো যায়নি। তাহলে এ ধর্মঘটন কার স্বার্থে? সাংবাদিকরা এ প্রশ্ন উত্থাপন করলে, দেলোয়ার ভাই পিছু হঠতে বাধ্য হন।
আরেকবারের এক ঘটনা বলি, নূর উন নবী স্যার রমণী মোহন শিক্ষক হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বেশ পরিচিত ছিলেন।
সুদর্শন এ শিক্ষকের প্রেমে অনেক ছাত্রী এমনিতেও পড়তে পারেন বলে ধারণা করি, কারণ অনেক ছাত্রী শিক্ষকদের প্রেমে পড়তে এবং তাদের মনোরঞ্জন করতে পছন্দ করেন। এটা নানা কারণে করেন, এর মধ্যে প্রথম শ্রেণি পাওয়া বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার চেষ্টাও একটা কারণ।
কিন্তু সেবার নূর উন নবী স্যারের কোনো দোষ ছিল না। যেহেতু তিনি আগে এ সব করতেন, তাই এটাকে পুজি করে একটা সংবাদ সম্মেলন ডাকা হলো মধুর ক্যান্টিনে। সেবার আমি, কবির ভাই, সাবু ভাই, যাকারিয়া ভাই সহ অন্যরা সবাই মিলে সংবাদ সম্মেলকারীদের প্রশ্নবাণে জর্জরিত করে আসল সত্য বের করে আনি।
আসলেই সেবারের অভিযোগ ছিল উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং একজন শিক্ষককে অপমান করার চেষ্টা। তাই নীল দলের শিক্ষক হলেও তাকে রক্ষায় সব সাংবাদিক এক সাথে কাজ করেছেন। এটা ভালো লাগার কথা।
এ রকম নানান ঘটনা থাকে ক্যাম্পাসে। নানাজন নানা মতলব করে বেড়ান।
এ সব মতলব সফল করতে গণমাধ্যমকে বোকা বানানোর চেষ্টা করেন। তবে সুখের কথা হলো আমাদের সময় সব সাংবাদিকই ঘটনার পেছনের ঘটনা জানার চেষ্টা করতেন। সবার মধ্যে একটা অনুসন্ধিতসু মন ছিল। সে জন্য অন্যায় ভাবে কোনো কিছু চাপানো খুবই কঠিন ছিল। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।