কোটা পদ্ধতি নিয়ে সবার মনে একটা ক্ষোভ আছে। সমান সুযোগ দেয়া না হলে অনেকেই তার প্রাপ্যটা যেমন পায়না তেমনি সে যদি তা পাবার যোগ্য নাও হয় তবু তার ধারনা থাকে সে এই কোটার জন্য তার প্রাপ্যটুকু পায়নি। তাই তারা বাকী জীবনটুকু হয় নিজেদের অযোগ্যভেবে হতাশায় ভোগে অথবা তাকে বন্ঞিত করার জন্য রাষ্ট্রকে দায়ী করে । বেশীরভাগই এ হতাশা থেকে কখনই তার কর্মক্ষমতাটুকু কাজে লাগায় না। কোটা পদ্ধতি বিলুপ্ত করা দরকার।
তবে রাজনৈতিক বিবেচনায় কোন সরকারই এটাকে বিলোপ করার সাহস রাখে না। তাই এটা সংস্কার দরকার। যিনি যে কোটা প্রাপ্ত তারা কেবল মাত্র একবারই এ কোটার সুবিধা নিতে পারবেন। দ্বিতীয়বার নয়। কেউ যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় এ সুবিধা নেন তবে চাকুরী পাবার জন্য তা নিতে পারবেন না।
চাকুরী পাবার জন্য নিলে চাকুরীতে পরবর্তীতে এ কোটার জন্য নতুন কোন সুবিধা তৈরী হলে তা প্রাপ্য হবেন না। একটি পরিবার থেকে কেবল এক জনই একটি মাত্র কাজের জন্য এ সুবিধা নিতে পারবেন। যেমন একটি সন্তান যদি এ সুবিধার আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয় তবে পরবর্তী কোন সন্তানই আর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্য এ কোটার সুবিধাপ্রাপ্ত হবেন না। অনেকে হয়ত পরবর্তী সন্তানদের অধিকার বন্ঞিত হবার কথা বলবেন। কিন্তু রাষ্ট্রে সিংহভাগ মানুষকে যে পদ্ধতি সম- অধিকার বন্ঞিত করে রেখেছে তাদের জন্য বোধ করি এ কথাটা খাটে না।
নায্য সম-অধিকারের মাধ্যমে অর্থনৈতিক মুক্তির জন্যই কি বাংলাদেশ সৃষ্টির আন্দোলনের সূচনা হয় নাই ? অনেকদিন অভূক্ত রেখে হঠাৎ বেশী খেলে বদহজম হয়। বেশী খাওয়াটাটুকু হয় মুখ দিয়ে। কিন্তু ভোগে পুরো শরীরটা । অভূক্ত রাখাও ঠিক না, বেশী খাওয়াও ঠিক না। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।