আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।
ভৌগোলিক দিক থেকে রামু বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে। কক্সবাজার থেকে মাত্র পনের কিলোমিটার উত্তরে রামু পাহাড় ও সমতলের মিশেলে একটি চমৎকার স্থান। পার্বত্য এলাকা ও সমতলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এটিকে বিবেচনা করা যায় নাভি হিসেবে। আর এ কারণেই রামুকে ঘিরে রয়েছে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর সুদীর্ঘ পরিকল্পনার জাল।
পাহাড় ও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকা থেকে রামুতে এসে কর্মকা- পরিচালনা করা যায় আবার নিরাপদে দ্রুত সটকেও পড়া যায় ভাল যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে।
বৌদ্ধ বিহারে অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসযজ্ঞে সব শেষ হওয়ার পর স্তম্ভিত সবাই। ঘুরে ফিরে প্রশ্ন কার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলো এমন নিখুঁতভাবে।
এতে কার লাভ, কার ক্ষতি?
পবিত্র কোরান অবমাননার খবরে সংখ্যাগুরু মুসলিমদের মনে ক্ষোভের সঞ্চার হবে এটি হয়ত স্বাভাবিক। অনেকে ছুটে গিয়েছিলেন মিছিলে।
তবে কেউ বুঝে, কেউ হুজুগে আবার অনেকে না বুঝে। কিন্তু প্রতিবাদের বহির্প্রকাশ এমনই ধ্বংসাত্মক হলো, যা ভেবে এখন হতবাক রামুর মানুষ।
কারা গান পাউডার সংগ্রহ করল, কারা আনল পেট্রোল, কোত্থেকে আসল অপরিচিত লোকজন, কারাই বা ছুড়ল হাতবোমা-এসব নিয়ে এলাকার লোকজন এখন বিস্মিত ও হতভম্ভ।
কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধমন্দিরে অগ্নিকাণ্ড, ভাংচুর, লুটপাটের ঘটনায় পরিকল্পনা ও হামলাকারীদের শনাক্ত করতে পেরেছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। ঘটনার দিনের ভিডিও ফুটেজ, ছবি, আটক ব্যক্তিদের দেওয়া তথ্য মতে এদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
জামায়াত ও ইসলামপন্থি কয়েকটি রাজনৈতিক দল, মিয়ানারের রোহিঙ্গা জঙ্গি পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনাটি সংঘটিত করে। এসব ব্যক্তিদের আটকের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
প্রাচীন বৌদ্ধ ঐতিহ্য রামুতে বেশি। মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত অনেক রোহিঙ্গা এই রামুতে আশ্রিত রয়েছে রোহিঙ্গাদের পৃষ্ঠপোষকও। একবার এ এলাকা থেকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল রোহিঙ্গা ৯ জন পৃষ্ঠপোষককে।
রামু এবং উখিয়ার মাঝামাঝি স্থানে রয়েছে জামায়াত নেতা মীর কাশেম আলীর প্রতিষ্ঠিত রাবেতা আল ইসলাম হসপিটাল। এছাড়া রয়েছে ইসলাম ধর্ম ভিত্তিক কিছু মিশন। এগুলো জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও সংস্থার দ্বারা পরিচালিত। তারা রামুর মতো একটি রিমোট এলাকাকে কেন বেছে নিল সে প্রশ্নের উত্তর খোঁজা প্রয়োজন।
ফেসবুকে ট্যাগ করে একটি ছবিকে কেন্দ্র করে ২৯ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত রামু উপজেলার বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের অধ্যুষিত এলাকায় অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, ভাংচুর চালিয়েছে কিছু লোক।
এতে রামু উপজেলার ১৩টি বৌদ্ধ মন্দির, প্রায় ৩০টি বসত ঘর, দোকানে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এসময় আরো শতাধিক বাড়ি ও দোকানে হামলা, লুটপাট ও ভাংচুরও হয়েছে। এর পরদিন উখিয়া ও টেকনাফেও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর থেকে সরকারি, বেসরকারি ব্যক্তি, রাজনৈতিক মহল এ ঘটনাকে পরিকল্পিত বলে দাবি করতে শুরু করে। এতে গান পাউডার, পেট্রোলসহ নানা বিষ্ফোরণ দ্রব্য ব্যবহার করা হয়েছে ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে।
এ ঘটনার জের ধরে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে ব্যাপক তৎপরতা শুরু হয়। এর অংশ হিসেবে সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা ঘটনার নেপথ্যের সন্ধানে ব্যাপক অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।
সরকারি একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, এ ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত দল পুরোদমে তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে বিষ্ফোরণ দ্রব্যের নানা আলামত তারা জব্দ করেছে।
জানা যায়, তদন্তের অংশ হিসেবে শুক্রবার পুরোদিন সিআইডি ক্রাইমসিন ইউনিটের তদন্তদলের প্রতিনিধিরা ক্ষতিগ্রস্থ বৌদ্ধ মন্দির, বসত বাড়ি ঘুরে দেখেন।
এর পর প্রতিনিধিদলের প্রধান সিআইডির এএসপি হ্লাচিংপ্রু জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে ঘটনায় ব্যবহৃত হাতবোমার খোসা, পাউডারের পোড়া আলামত, রাসায়নিক তরল পর্দাথসহ বিভিন্ন আলামত জব্দ করেছে। এসব আলামত সিআইডি’র ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার রামু উপজেলায় বৌদ্ধমন্দির ও বসতঘরে আগুন, হামলা লুটপাটের ঘটনায় গান পাউডার, পেট্রোল ছাড়াও ব্যবহার করা ককটেলসহ বিভিন্ন বিস্ফোরক দ্রব্য আলামত জব্দ করে পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দল।
তদন্ত দলের প্রধান চট্রগ্রাম রেঞ্জের পুলিশের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. নুরুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, উত্তর মিঠাছড়ি বিমুক্তি বিদর্শন কেন্দ্রে পাওয়া কয়েকটি কৌটা (যেগুলো ককটেলের কৌটা বলে ধারণা করা হচ্ছে) সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষার পর ককটেল কিনা নিশ্চিত হওয়া যাবে।
তবে সহিংসতায় ব্যবহৃত যেসব বিষ্ফোরকের নাম শোনা যাচেছ এর কিছু কিছু আলামত সংগ্রহ করে ইতিমধ্যে পরীক্ষার জন্য এক্সপার্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষার পর রিপোর্ট আসলে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
গোয়েন্দা সূত্র বলছে, আলামত সংগ্রহের পাশাপাশি বিভিন্ন মাধ্যমে ঘটনার দিনের ভিডিও ফুটেজ, ছবি সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে। এর সূত্র ধরে প্রকৃত অপরাধিদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। একই সাথে ওই ঘটনায় আটকদের দেয়া তথ্য মতে ঘটনার পরিকল্পনাকারিদেরও শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে আইন প্রয়োগকারি সংস্থা।
গোয়েন্দাদের তথ্য মতে, পবিত্র কোরআন অবমাননাকর ছবিটি ২৭ সেপ্টেম্বর `ইনসাল্ট আল্লাহ` নামে ওই বিতর্কিত `পেজ` উত্তম বড়ূয়ার ফেইসবুকে ট্যাগ করা হয়েছিল। আর ওই ছবিকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে বৌদ্ধ উপাসনালয়ে হামলার ঘটনার রোহিঙ্গা এবং মৌলবাদী শক্তির ইন্ধন ছিল। এর জন্য স্থানীয় লোকজনকে আগে থেকে ম্যানেজ করে চক্রটি। এ ম্যানেজ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে স্থানীয় আওয়ামীলীগ, বিএনপি সহ বিভিন্ন পেশাজীবী লোকজনকে দিয়ে মিছিল সংঘটিত করা হয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে রামুতে খণ্ড, খণ্ড মিছিল বের করার পর থেকে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রাক, মোটরসাইকেল, মিনিবাস যোগে বহিরাগত লোকজন রামুতে গিয়ে পৌঁছে।
আর ওই বহিরাগত লোকজনের হাতে ছিল ওই সব বিস্ফোরণ দ্রব্য।
গোয়েন্দা সূত্র বলেছে, ইতিমধ্যে রামুতে বহিরাগত লোকজন বিভিন্ন পরিবহন যোগে রামুতে তাণ্ডব চালানো জন্য সমাগমের সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর ভিডিও ফুটেজ ও ছবি দেখে ব্যবহৃত অনেক গাড়িও প্রশাসন আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, ৩০ সেপ্টেম্বর ভোরে রামুতে থেকে হামলা শেষে ফেরার সময় ৩২ জন হামলাকারীসহ একটি গাড়ি আটক করা হয় নাইক্ষ্যংছড়িতে। বিজিবি সদস্যরা গাড়িটি আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
শুক্রবার (৫ অক্টোবর) রাত পর্যন্ত আটক হয়েছে আরো ২টি ট্রাক। এর মধ্যে কুমিল্লা থেকে একটি ট্রাক আটক করা হয়। অপর গাড়িটি আটক করা হয় চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড থানায়।
সীতাকুন্ড থানায় আটক ট্রাকটির নম্বর হলো, চট্ট মেট্টো ট ১১-০২৭২। ওই সময় ট্রাকটির হেলপার রমজান আলীকেও আটক করা হয়েছে।
গোয়েন্দা তথ্য মতে, রামুতে তাণ্ডব চালানো মূল পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য কক্সবাজার শহরে পৃথক বৈঠক করেছে মৌলবাদী সংগঠনের লোকজন। তার মধ্যে ২৯ সেপ্টেম্বর দিনব্যাপী শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সংলগ্ন লারপাড়া এলাকার জামায়াত নেতা মনিরের বাড়িতে বৈঠক করে একটি দল। একসময়ের শিবির ক্যাডার বাহাদুরসহ ওই বৈঠকে কক্সবাজার সরকারি কলেজের দায়িত্বশীল নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিল। এমন কি ওই বৈঠক জামায়াতের শীর্ষ নেতাদেরও উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়েছে।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত মতে, কক্সবাজার শহর থেকে ১০টি ট্রাক ভাড়া করা হয়।
আর ওই ট্রাকগুলো ভাড়া নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয় লারপাড়া এলাকার মনিরকে। ওই সব ট্রাক ভাড়া করে সন্ধ্যার আগেই পৌঁছে দেওয়া হয় খরুলিয়া, গর্জনিয়া, নাইক্ষ্যংছড়ি, ঈদগাঁও, ঈদগড়, কচ্ছপিয়া ও চকরিয়া এলাকায়। একটি ট্রাক রেখে দেয়া হয় বাস টার্মিনাল এলাকা। আর ওই ট্রাকটি ছিল কক্সবাজার শহরের বৈদ্যঘোনা এলাকায় বসবাসকারী জে কে এন্টার প্রাইজের জাকারিয়ার মালিকাধিন।
স্থানীয় লোকজনের দাবি, ওই জাকারিয়া মিয়ানমারের নাগরিক ছিল।
গত ২০ বছর ধরে শহরে বসবাস করে আসছে।
গোয়েন্দা সূত্র বলেছে, ওই রাতে বাস টার্মিনালে দাঁড়ানো ট্রাক যোগে রামু যান প্রায় ৭০ জন বিভিন্ন বয়সের লোক। ট্রাকের পর পরই শিবির ক্যাডার বাহাদুর মোটরসাইকেল যোগে রামুতে যায় বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জানা যায়, ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে কক্সবাজার শহরের হলিডে মোড় থেকে শুরু করে লিংক রোড পর্যন্ত এলাকায় জামায়াত ও শিবিরের নেতা-কর্মী তৎপর ছিল। তার মধ্যে ৪০/৫০ লোকসহ জেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক আবু হেনা মোস্তফা কামাল, শিবিরের সাবেক জেলা সভাপতি কামরুল হাসানকে ভোলবাবুর পাম্প এলাকা দেখা গেছে।
একই সঙ্গে একদল শিবির কলেজ গেইট এলাকা ভোর রাত সাড়ে ৩ টায় দেখতে পান এক জনপ্রতিনিধি। বিষয় আইন প্রয়োগকারি সংস্থাকে অবহিত করার পর এরা ওই স্থান ত্যাগ করে।
গোয়েন্দাদের তথ্য মতে, শহরের তৎপর থাকা ওই সব ব্যক্তি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটানোর চেষ্টাও চালিয়ে ছিল। কিন্তু আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজনের কারণে তা সম্ভব হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ২৯ সেপ্টেম্বর দিনে কক্সবাজার শহরের একটি আবাসিক হোটেলে বৈঠক করে অপর একটি মৌলবাদী দলের নেতারা।
গত জুন মাসে কক্সবাজারের হোটেল পালংকিতে বৈঠককালে আটক ৯ জন এবং ওই বৈঠক থেকে পালিয়ে যাওয়া লোকজন এ বৈঠকে উপস্থিত ছিল্। বৈঠক থেকে ফিরে রামুর আবদুল হক নামের এক মৌলভী রামুর ফকিরাবাজারে অবস্থান করে পরিকল্পনাকারিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
জানা যায়, ২৯ সেপ্টেম্বর রামুর ফকিরাবাজারের অবস্থিত ‘ফারুক কম্পিউটার টেলিকম’ নামের একটি দোকানে এসে মুক্তাদির নামের চট্টগ্রাম পলিটেকলিকেল কলেজের এক শিবির নেতা উত্তম কুমার বড়–য়ার ফেসবুক পরিদর্শন করে বির্তকিত সেই ছবিটি বের করে। এরপর পেজের ছবিটি শত শত কপি প্রিন্ট করে সরবরাহ করা শুরু করা হয়। এ কাজটি করে আবদুল হক, রোহিঙ্গা জঙ্গি হাফেজ আহমদ, শিবিরের সাবেক কর্মী খোরশেদ আলমসহ অনেকেই ।
ইতিমধ্যে ওই ‘ফারুক কম্পিউটার টেলিকম’ এর মালিক ফারুককে আটক করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার দোকানের কম্পিউটারসহ অন্যান্য মালামালও জব্দ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে ওইসব তথ্য ফারুক স্বীকারও করেছে। নাইক্ষ্যংছড়িতে আটক ৩২ জনও পরিকল্পনাকারিদের নাম প্রকাশ করছে বলে আইন প্রয়োগকারি সংস্থার লোকজন নিশ্চিত করেছে।
একই সঙ্গে এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট রামু, উখিয়া ও টেকনাফে আটক ১৮৯ জনকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রেখেছে।
এরা প্রাথমিকভাবে ব্যাপক তথ্য প্রকাশও করছে বলে জানা গেছে। ঘটনার পর থেকে পরিকল্পনাকারীরা আত্মগোপনে রয়েছে।
ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, রামুতে বৌদ্ধবিহার ও বসতিতে সহিংসতা রোধে প্রশাসনের চরম ব্যর্থতা রয়েছে। .... বৌদ্ধভিক্ষুরা অভিযোগ করেছেন— এ সহিংস ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত।
আমি এক মত তবে ব্যর্থতা হলো মৌলবাদী, দেশ বিরোধী, রাজাকার নির্মূলনা কারে অতীগনতান্ত্রীক ব্যবস্থায় সরকার পরিচালনা করে তাদের মূল উৎপাটনে ব্যার্থ হয়েছে।
তাই তারা বিভিন্ন পূর্বপরিকল্পিত সহিংস ঘটনা ঘটিয়ে বার দেশে আস্থীতিশীল পরিস্থীতি তৈরি করছে। গনতান্ত্রীক প্রকরিয়ায় সন্ত্রাসবাদ নির্মূল সম্ভব নয়, আর সরকার সেই আর্থে চরম ব্যর্থ। আর তার সুযোগে মৌলবাদী, দেশ বিরোধী, রাজাকাররা বার বার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে দেশে বিদেশে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।