আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মহানবী (সাঃ) এর দেহের এক খন্ড মাংস পিন্ড - খতমে নবূয়ত ।

আল্লাহ ছাড়া আর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই । হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল । মহানবী (সাঃ) এর দুই কাঁধের মাঝখানে কিছুটা উচু মাংসবিশেষ ছিলো যা শরীরের বর্ণের মতই ছিলো স্বচ্ছ ও নূরানী । উক্ত মাসংপিন্ডকেই মহরে নবুয়ত বা খতমে নবুয়ত বলা হয় । সেখানে আরবী অক্ষরে কালিমা 'লা ইলাহা ইল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসূলূ্ল্লাহ' লিখা ছিলো ।

সর্বশেষ নবী যে তিনি, তার প্রমাণ হচ্ছে মহরে নবূয়ত। 'খতেমুন্নাবিয়্যীন' হিসেবে উনাকে আখ্যায়িত করার কারণ এই যে, পূর্ববর্তী বিভিন্ন আসমানী কিতাবে উনার পরিচিতে এভাবেই প্রদান করা হয়েছে । সুতরায় মহরে নবুয়তখানি একটি নিদর্শন , যা দেখে মানুষ বুঝে নিতে পারে যে, তিনি ঐ আখেরী যমানার নবী যার সম্পর্কে পূর্বে সুসংবাদ প্রদান করা হয়েছিলো । মহরে নবূয়ত আল্লাহপাকের বিশেষ নিদর্শন যা মহানবী (সাঃ) প্রদান করা হয়েছিলো । আল্লামা হাকিম (রঃ) স্বীয় মুস্তাদরেক কিতাবে হযরত ওহাব ইবনে মুনাব্বাহ (রঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন, জগতে যত নবী রাসূল আবির্ভূত হয়েছেন সকলেরই ডান হাতে নবূয়ত এর নিদর্শন বিদ্যমান ছিলো ।

কেবল আমাদের নবী (সাঃ) এর দুই কাধের মাঝে বিদ্যমান ছিলো । শামায়েল-তিরমিযীর বর্ণনায় আমরা হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর সুন্দর যে ছুরতে যে বর্ণনা পাই তা হল- অতীব লাবণ্যময়, নূরানী, পূর্ণিমার চাদের মত শুভ্র দুধে ও আলতা মিশ্রণে যে রং হয় প্রিয়নবী (সাঃ) রং ছিল তেমনি । হযরত আলী (রাঃ) মহানবী (সাঃ) এর আকৃতি সম্পর্কে বলেন যে, খুব লম্বাও নয়, খুব বেটেও নয়, মধ্যম আকৃতির ছিলেন তিনি । উনার আগে বা পরে কখনো তার মত সুপুরুষ দুনিয়াতে জন্মগ্রহণ করেন নি । উনার মাথার চুল ছিল কানের লতি পর্যন্ত ।

কখনো কখনো কোঁকড়ানো ঢেউ খেলানো বাবরী চুল ঘাড় পর্যন্ত থাকতো । মাথা মোবারক আকারে বড় ছিল । তার ললাট ছিল প্রশস্ত । চক্ষুযুগলের মণি খুব কালো ছিল । তার উচ্চ নাসিকা অতীব সুন্দর দেখাতো ।

উনার দাতগুলো ছিল অতীব সুন্দর রজত-শুভ্র যা ছিল সামান্য ফাঁক এবং হাসির সময় মুক্তার মত চমকাত । দীর্ঘ মনোরম সুঠাম কাধের হাড় অল্প পরিমাণ ছিল । স্কন্ধদ্বয়ের মাঝে ডিম সাদৃশ মোহরে নবুয়ত নামে একটা উচ্চ মাংস ছিল, যেখানে কালিমা তায়্যিবাহ (লা ইলাহ ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাছূলুল্লাহ) খচিত ছিল । মোহরের উপর তিল ও পশম ছিল এবং ঈষৎ লাল ছিল । তার লম্বা ঘন দাড়ি প্রায় বুক পর্যন্ত প্রসারিত ছিল ।

নবীজীর বক্ষ ছিল বীর বাহাদুরের মত প্রশস্ত ও কিছুটা উচু । বক্ষস্হল হতে নাভি পর্যন্ত চুলের সরু রেখা ছিল । এছাড়া সর্বশরীর পশমে ভরা ছিল । মহানবীর শরীরের চামড়া রেশম থেকেও অধিক মসৃণ ও নরম ছিল । শরীরের ঘামের কণাগুলো মোতির মত থাকত যা ছিল অত্যন্ত সুগন্ধিযুক্ত ।

মহানবীর শরীর অত্যন্ত স্হূল ও ছিলোনা আবার অতিরিক্ত ক্ষীণও ছিল না । উনার দৈহিক গঠন অত্যন্ত কান্তিময় ছিলো। উনার পবিত্র দেহে নবুয়তের যাবতীয় লক্ষণ-ই বিদ্যমান ছিল । সূত্রঃ মাদরিজ উন নবূয়ত । ‘Philosopher, orator, apostle, legislator, warrior, conqueror of ideas, restorer of rational dogmas, the founder of twenty terrestrial empires and of one spiritual empire, that is Muhammad. As regards all standards by which human greatness is measured, we may ask, is there any man greater than he?’ – Lamartine, History of Turkey " Those who saw him, were suddenly filled with reverence, those who came near him loved him, they who described him would say, I have never seen like him either before of after" --Speeches of Mohammed-- Stanley lane pool, Macmillan and co, Page xziz 1882 মহানবী (সাঃ) বলেছেন- জ্ঞানীর কলমের কালি শহীদের রক্তের চেয়েও উত্তম ।

জ্ঞান মোমিনের হারানো বস্তু, যেখান থেকে পাও তা আহরণ কর । দোলনা থেকে মৃত্যু পর্যন্ত জ্ঞান অর্জন কর । জ্ঞানী ব্যক্তিবর্গ পয়গম্বরের উত্তরাধিকারী । প্রজ্ঞা সম্ভ্রান্ত ব্যক্তির মাহাত্ন বৃদ্ধি করে এবং গোলামের মর্যাদাও এত উচু করে যে, তাকে রাজা বাদশাহের আসনে বসিয়ে দেয় । আমার উম্মতের মধ্যে যে ব্যাক্তি চল্লিশটি হাদিস মুখস্ত করবে, সে কিয়ামতের দিন ফেকাহবিদ ও জ্ঞানী রূপে আল্লাহতায়ালা সাক্ষাৎ লাভ করবে ।

জ্ঞানী ব্যক্তির শ্রেষ্ঠত্ব এবাদতকারীর উপর এমনি, যেমন আমার শ্রেষ্ঠত্ব সাহাবীদের উপর । কিয়ামতের দিন তিন শ্রেনীর লোক সুপারিশ করবে- পয়গম্বরগণ, অতঃপর জ্ঞানীলোক, অতঃপর শহীদগণ । একশত রাকাত নফল নামায পড়া অপেক্ষা জ্ঞানের কোন অধ্যায় শিক্ষা করা উত্তম । জ্ঞান অন্বেষণ কর যদিও তা চীনে থাকে । যে উত্তম চরিত্রের অধিকারী সে পূর্ণ মুমিন আর তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যাক্তি সর্বাধিক উত্তম যে তার স্ত্রীর নিকট সর্বাধিক উত্তম ।

" (তিরমিযি) (উৎস-এহইয়াউ উলুমুদ্দিন- ইমাম গাজ্জালী-)  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৬ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.