জড় এক প্রসঙ্গ কাঠামোর নিবিড় পর্যবেক্ষক :P সম্প্রতি নোটিশবোর্ডের স্টিকি পোষ্টএর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কয়েকজন যুক্তিবাদী ব্লগার। তাদের মতে এই স্টিকি পোস্ট বাকস্বাধীনতাকে ভুলুন্ঠিত করেছে । তাদের জানা উচিত বাকস্বাধীনতা মানে এই নয় যে আমি ইচ্ছা মত গালিগালাজ করতে পারব। বাকস্বাধীনতা মানে এই নয় আমি অপরের অনূভুতিকে আঘাত করতে পারব। যখন আমাদের কোন স্বাধীনতা দেয়া হয় আমাদের উপর এই দায়িত্ব ও বর্তায় যেন আমি ঐ স্বাধীনতার অপব্যাবহার না করি।
সমাজের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর অনুভুতি যে কথায় আহত হয় সে কথা প্রকাশ্যে বলা হল বাকস্বাধীনতার অপব্যাবহার। এখানে অনুভুতি বলতে আমি সুস্থ অনুভূতির কথা বলছি। কোন অসুস্থ ধারনা পোষন করা কোন অন্যায় নয়। কিন্তু অন্যায় হচ্ছে যখন এটা সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। আপনি হতে পারেন ফেডোফিলিক, নেক্রোফিলিক, সমকামী।
কিন্তু বাকস্বাধীনতার ধুঁয়া-তুলে যখন আপনি এই কাজগুলো সমাজে প্রকাশ্যে করতে চাইবেন, এগুলো নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে চাইবেন তখনই দেখা দেবে বিপত্তি। এবং এক্ষেত্রে আপনার তথাকথিত বাকস্বাধীনতা খর্ব করা হবে। এজন্যই প্রতিটি সুস্থ ব্লগসাইটে রিপোর্ট করার একটি অপশন থাকে। এটা ব্লগের সুস্থতার জন্য বাকস্বাধীনতা খর্ব করার জন্য নয়।
সম্প্রতি সামুতে আসা একটি কুৎসিত পোষ্ট ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সামুর বেশিরভাগ ব্লগারকে আহত করেছে।
এক্ষেত্রে সকল ব্লগারদের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করা সামু পরিবারের অংশ হিসেবে মডারেশন প্যানেলের নৈতিক দায়িত্ব হয়ে দাঁড়ায়। মডারেশন প্যানেল সেই দায়িত্ব পালনও করেছে। এটা প্রতিক্রিয়াশীলতা কিংবা মৌলবাদের কাছে মাথা নত করা নয়। এটা স্রেফ শিষ্ঠাচারের অংশ। বাংলাদেশে প্রতিক্রিয়াশীলতা নিয়ে যারা মাথা ঘামাচ্ছেন তাদের একটা কথাই বলতে চাই এদেশটা আফগানিস্থান হয়ে যায়নি, কখনো হবেওনা।
আমরা এখনো হিন্দু মুসলিম একই টেবিলে বসে চা-খাই, গল্প করি। একে অপরকে পূজা-ঈদে শুভেচ্ছা জানাই। আমরা জানি কিভাবে অপরের অনুভুতিকে সম্মান করতে হয়, এবং এটা জানতে পেরে আমরা আসলেই গর্বিত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।