ঘ প্রেক্ষাপট হল ইনোসেন্স অব মুসলিমস। থার্ড ক্লাস নির্মাণশৈলীর একটা ভিডিও যাকে কিনা মুভি বললে ভুল হবে,হ্যাঁ ইহূদীরা এইটাকেই মুভি বলেই প্রচার করল কিছু মুমিন মুসলমানদের মাথা গরম করার জন্য। আর তাতেই হয়ে গেল কাজ,দেশে দেশে বিক্ষোভ কোথাও কোথাও যা এক সময় সহিংসতায়ও পরিণত হল। পাকিস্তানে ১৫ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে,ইয়েমেন লিবিয়া মিসরে ও আফগানিস্থানে অনেক হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
শুরুর দিকে আমাদের দেশে বিক্ষোভের ব্যাপকতা না থাকেলেও গত দুই একদিনে তো হরতাল পর্যন্ত হল।
আর তার আগে ত সরকার অতি মাত্রায় মহৎ একটা কাজই করে ফেলল ইউটিউব বন্ধ করে। দেশের মোটামুটি সব পর্যায়ের মানুষই ভুক্তভুগী এইসবের জন্য,কেউ হয়ত হরতালের কারনে আবার কেউ গুগোল ইউটিউব বন্ধের কারনে।
কিন্তু কেন???মহানবী (সাঃ) এর অবমাননা সহ্য করা হবে না বলে?কিন্তু আমাদের পথ প্রদর্শক মহানবী (সাঃ) এর স্থান হল মানব জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বোচ্চ আসনে যা আমরা প্রত্যেক মুসমান মাত্রই জানি। যা কিনা ওই ইহূদী নাসারা কি বলল কি করল তাতে কিছু আসে যায় না,এতে বরং যারা এই বাজে কাজ গুলো করে তাদের চরিত্রের দিকটা ফুটে উঠবে। কিন্তু আমরা কেন সেই ইহূদীদের উস্কানীতে নিজেদের শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ট করব?যেন পাশের বাড়ির কোন কুকুর ঘেউ ঘেউ করলেই নিজের ঘরেই ভাংচুর!!!
ইসলাম শান্তির ধর্ম।
আমাদের মহানবী (সাঃ) ও সবসময় সেই পথে ছিলেন তার পথে কাটাঁ বিছিয়ে রাখা বুড়ি কিংবা তাকেঁ পাথর ছুড়ে মারা তায়েফবাসীদের প্রতি উদ্ধত আচরণ করেননি। সৌদি আরবকে দেখি আমরা,কই ইসলামের তীর্থভূমি দেশটিতে তেমন কিছু হচ্ছে না। হবেও না।
আর এই বিষয়টা যে পশ্চিমা কুটরাজনীতির চাল তা বুঝতে না পারার কোন কারণ নাই। কিন্তু কিছু ধর্মান্ধ উগ্র মুসলমানের দেশ পাকিস্তানে আফগানিস্থানে সহিংসতা চলবেই।
আল্লহ তাদের হেদায়েত করুক।
আর আমার দেশের মুসলমানরাও যাতে ইহূদীদের টোপ গিলে প্রতিবাদ বিক্ষোভের নামে হরতাল সংঘর্ষের পথে না যায় এবং এসব থেকে যাতে কেউ রাজনৈতিক ফায়দা না লুটতে পারে সেই প্রত্যাশা করি।
আর সরকার দ্রুত ইউটিউব খুলে দিক। নইলে আমার মত বান্দাদের বিনোদন বা প্রয়োজন কোনটার ফারাই কাটবে না ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।