চলচ্চিত্রটিতে ইসলামের নবীকে অসম্মানজনকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে তীব্র প্রতিবাদ ওঠে বাংলাদেশসহ মুসলিমপ্রধান দেশগুলোতে।
এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ইনোসেন্স অফ মুসলিমস ইউটিউব থেকে সরিয়ে নেওয়ার রায় নতুন এক কপিরাইট ইস্যুর জন্ম দিয়েছে।
অন্যদিকে অভিনেত্রী গার্সিয়া গুগলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তার দাবি, ওই চলচ্চিত্রের যে চিত্রনাট্য তাকে দেওয়া হয়েছিল তাতে ইসলাম বা এর নবী বিষয়ে কোনো উল্লেখ ছিল না। চলচ্চিত্রটিও সে অনুযায়ী তৈরি করা হয়নি; বরং তার কণ্ঠস্বর ব্যবহার করে নতুন সংলাপ পরে কম্পিউটার এডিটিংয়ের মাধ্যমে যোগ করা হয়েছে।
গার্সিয়ার দাবি, এর ফলে তার প্রাণহানীর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
অপরদিকে গুগলের বক্তব্য ছিল, ইউটিউবে কোনো ভিডিও আপলোড করার ক্ষেত্রে গুগল যে নীতিমালা মেনে চলে, ওই চলচ্চিত্র সেগুলো মেনেই আপলোড করা হয়েছে। ফলে, আপলোডার নিজে চলচ্চিত্রটি ইউটিউব থেকে না সরালে গুগলের এ ক্ষেত্রে কিছুই করার নেই।
রায়ে বিচারক মত দেন, চলচ্চিত্রটির কপিরাইট নির্মাতার হলেও, ওই অভিনেত্রীর অভিনয়ের কপিরাইট অভিনেত্রীরই থাকবে, কারণ চলচ্চিত্রটি যেভাবে তৈরি হবার কথা বলা হয়েছিল তার তুলনায় অনেক ভিন্নভাবে তৈরি করা হয়েছে।
“একটি অপেশাদার চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তারকাখ্যাতি অর্জনের সম্ভাবনা খুব কমই থাকে।
কিন্তু ওই অভিনয় যদি অভিনয়শিল্পীর জন্য ফতোয়ার মাধ্যমে সাজার আশঙ্কা তৈরি করে তবে সেটি এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই”-রায়ে দেওয়া পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেছেন নবম সার্কিট কোর্ট অফ আপিলস-এর প্রধান বিচারক অ্যালেক্স কজিনস্কি।
ভিন্ন একটি মামলার রায়ে চলচ্চিত্রটির নির্মাতা নাকুলা বর্তমানে এক বছরের সাজায় মার্কিন কারাগারে আছেন এবং তার উপর পাঁচ বছরের জন্য ইন্টারনেট ও কম্পিউটার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।