আল্লাহ ছাড়া আর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই । হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল । মহানবী (সাঃ) কে আল্লাহ তায়ালা মানব জাতির রহমতের জন্য প্রেরণ করেছিলেন । শুধু উনার শিক্ষা এবং আদর্শ ই কেবল মানুষের জন্য শান্তি ও বরকতের উৎস ছিলো না বস্তুত পক্ষে উনার সকল কিছূই ছিলো মানুষের জন্য উপকারী । আল্লাহপাক উনার মধ্যে অপকারী কোন কিছুই রাখেন নি ।
এমনি এক বিষয় হলো মহানবী (সাঃ) এর পবিত্র মূখের লালা । সাধারণতঃ দেখা যায় একজন মানুষের মুখের লালা আরেকজন মানুষের জন্য কোন উপকার বয়ে আনেনা । আর যদি মানুষটি অসুস্হ বা অপরিস্কার হয় তাহলে তো তা অবশ্যই ক্ষতিকর ।
মহানবী (সাঃ) এর লালা ছিলো ব্যতিক্রম বরং উনার লালায় রোগীদের জন্য শেফা বা আরোগ্য ছিলো ।
হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে - খাইবার যুদ্ধের দিন হযরত আলী (রাঃ) এর চোখে যন্ত্রণা হচ্ছিলো এবং লাল হয়ে ছিলো।
তখন হুজুরে পাক (সাঃ) স্বীয় মুখের লালা উনার চোখে লাগিয়ে দেন । সঙ্গে সঙ্গে হযরত আলী (রাঃ) সুস্হ হয়ে উঠেন ।
অন্য এক ঘটনা- একদা রাসূলূ্ল্লাহ (সাঃ) এর কাছে একটি পানির মশক আনা হলো । তিনি সেখান থেকে এক আজলা পানি নিয়ে কুলি করে তা আবার ঐ মশকের মধ্যে ফেলে দিলেন । এরপর উক্ত মশকের পানি যখন কূপে ফেলা হলো , তখন সেই পানি থেকে কস্তরীর সুঘ্রাণ ছড়াতে লাগলো ।
একবার হযরত আনাস (রাঃ) এর কূপের পানিতে তিনি স্বীয় পবিত্র মূখের লালা ফেলে দিলেন । এরপর দেখা গেলো যে মদীনা শরীফের সমস্ত কূপের পানির চেয়ে উক্ত কূপের পানিই অধিক সুস্বাদু ।
একবার হুজুর (সাঃ) এর নিকট কতিপয় দুগ্ধপোষ্য শিশুকে আনা হলো । তিনি স্বীয় পবিত্র মূখের লালা মোবারক তাদের মূখে দিলেন । অতঃপর শিশুগুলি এতই পরিতৃপ্ত হলো যে , সারাদিন তারা আর দুধই পান করলো না ।
ইমাম হাসান (রাঃ) একদা অত্যন্ত পিপাসার্ত হয়ে পড়লেন । হুজুর পাক (সাঃ) স্বীয় জিহ্বা মোবারক উনার মূখের মধ্যে পুরে দিলেন । তখন প্রিয় দৈাহিত্র নানা জানের জিহ্বা মোবারক চুষতে লাগলেন । এরপর সমস্ত দিন তিনি আর ক্ষূধা পিপাসা অনুভব করলেন না ।
এরকম অসংখ্য মোজেজা রয়েছে মহানবী (সাঃ) কে নিয়ে ।
আজ আমরা উনার উম্মত হয়েও উনার বরকতপূর্ণ সুন্নাত সূমহ পালনের প্রতি অবহেলা করছি আর ক্ষতিগ্রস্হ হচ্ছি । আল্লাহ পাক আমাদের উনার সুন্নত সমূহ পালন করা সহজ করে দিন ।
সূত্রঃ মাদরিজি উন নবুয়ত । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।