সব সময় সত্য কথা বলা জুন থেকে আগস্ট পযন্ত নিরবিচ্ছিন্ন আবাসিক বিদ্যুতের বিল যদিও ৫০০ কিংবা ৬০০ হয়েছিল তবে একই রকম বিদ্যুৎ ব্যবহার করার পরেও সেপ্টেম্বর মাসে বিলের কাগজে তিনগুণ বিল ধরা হয়েছে (৩৫০/৪৫০ ইউনিট) ২৫০০ থেকে ৫৫০০ টাকা। বিল দেখে আপনি মিটার রিডিং দেখবেন সেটাও ঠিক আছে। তাহলে এত বিল আসল কিভাবে? আপনি যখন মিটারের রিডিং দেখতে যাবেন সমপ্রতি আপনাকে যে বিলের কাগজ দেয়া হয়েছে সেটাতে মিটার রিডিংয়ের শেষ তারিখ দেখেন আর আজকের দিন থেকে হিসাব করেন, সমন্বয় করলে দেখা যাবে বিশাল পার্থক্য। কারণ সেপ্টেম্বর মাসে যদি বেশি বিদ্যুৎ খরচ করা হয় তাহলে দ্বিগুণ হতো, বর্তমানে মিটার দেখলে বুঝতে পারবেন আপনার অতিরিক্ত ১০/১৫ দিনে বিদ্যুতের ইউনিট হয়েছে ৩০/৩৫ ইউনিট তাহলে মাসে দাড়ায় ৯৫/১০৫ ইউনিট যার বিলের পরিমাণ হবে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। এটা হয়েছে বিদ্যুৎ অফিসের গাফিলতির কারণে তারা সঠিক ভাবে মিটার রিডিং না করায় যেমন ইউনিট বেশি হলে কম অথবা কম হলে বেশি করায় বিদ্যুতের ইউনিট জমে থাকে।
আর স্লাব পদ্ধতিতে তাদের চুরি করতে সুবিধা। বর্তমানে যে অতিরিক্ত বিদ্যুতের ইউনিট ধরা হয়েছে তা এখনকার নয়। এটা পূর্বের যা আমাদের বিলের কাগজে যোগ করে নাই। এগুলো প্রতিটা বিলের সাথে যোগ করলে আমরা প্রথম ধাপ (০-১০০) = ৩.৫০/- টাকায় বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে পারতাম। ঘরের বাহিরে মিটার থাকার কারণে কখন বিদ্যুৎ অফিসের লোক আসল গেল বোঝা যায় না।
এছাড়া আমরাতো আর মিটার দেখি না। এটাই তাদের সুযোগ। এবার আসুন দেখি আপনার মিটারে বিল বাড়ানো হলো। নতুন যে বিদ্যুতের ইউনিট ধরা হয়েছে তাতে ৩য় ধাপে বিদ্যুতের ইউনিট ধরা হয়েছে ৪.৫১ আর পূর্বের ৩য় ধাপ ৬.৩০ পয়সা। নতুন নিয়ম চালু হওয়ার আগেই তারা জমে থাকা ঐ সমস্ত বিদ্যুতের ইউনিট ৬.৩০ পয়সা দিয়ে উঠাতে চায়।
যার কারণে প্রতিটি গ্রাহকের বিদ্যুতের বিল বেড়ে যায়। আর অধিকাংশ বিদ্যুৎ বিল ৩০০ ইউনিটের উপরে রাখা হয়েছে। যাতে [৩য় ধাপ ২০১-৩০০) =৬.৩০] দিয়ে গুণ করা যায়। এভাবে পল্লী বিদ্যুৎ কোটি কোটি গ্রাহকের কাছ থেকে তিনগুণ বিল নিয়ে নিরবে প্রতারণা করছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।