পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাসের শেল ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়ার পর হেফাজতকর্মীদের একটি অংশ বায়তুল মোকাররমের ভেতরে অবস্থান নিয়েছে। মসজিদের সীমানার ভেতরে দুটি মোটরসাইকেলও পুড়িয়ে দিয়েছে তারা।
অবরোধ করে ঢাকা 'বিচ্ছিন্ন' করে রাখা হেফাজতে ইসলাম দুপুরে ঢাকার কেন্দ্রস্থল মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সমাবেশ করার অনুমতি পায়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদকরা জানান, মতিঝিলের শাপলা চত্বরে জড়ো হওয়া হেফাজতকর্মীদের একাংশ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ফাঁকফোকর গলে পল্টন মোড় পর্যন্ত চলে যায়। তখন পুলিশ টিয়ার গ্যাসের শেল ও ফাকা গুলি ছুড়ে তাদের সরিয়ে দেয়।
সাড়ে ১২টার দিকে দৈনিক বাংলা মোড়ের ব্যারিকেড সরিয়ে হেফাজতকর্মীরা পল্টন মোড় পর্যন্ত এসে পড়ে। তখন পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে। হেফাজতকর্মীরা পাল্টা ইট-পাটকেল ছুড়ে।
পুলিশের ধাওয়ায় বায়তুল মোকাররমের সামনে থাকা হেফাজতকর্মীরা দৈনিক বাংলা মোড়ের দিকে সরে যায়। আরেকটি অংশ মসজিদের ভেতর ঢুকে পড়ে।
এ সময় মসজিদের সীমানার ভেতর রাখা পুলিশের দুটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়।
অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশার আসাদুজ্জামান জানান, হেফাজতকর্মীরা দৈনিক বাংলার ব্যারিকেড ভেঙে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট ও পল্টন পর্যন্ত চলে এলে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়ে তাদের হটিয়ে দেয়।
হেফাজতে ইসলাম জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে রোববার জোহরের নামাজের পর রাস্তায় সমাবেশে করার অনুমতি চাইলেও শনিবার তা দেয়া হয়নি।
রোববার ভোর থেকে ঢাকা অবরোধের কর্মসূচি রাখার পর শাপলা চত্বরে দুপুর তিনটায় সমাবেশ শুরু করার অনুমতি পায় সংগঠনটি।
ব্লগারদের শাস্তি ও নারীনীতি বাতিলসহ ‘বিতর্কিত’ ১৩ দফা দাবিতে সরকারকে চূড়ান্ত চাপ দিতে হেফাজত ইসলামীর অবরোধে সারাদেশ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে রাজধানী।
ভোরে ফজরের নামাজের পরপরই ১৩ দফা দাবিতে হেফাজতকর্মীরা টঙ্গী ব্রিজ, যাত্রাবাড়ির কাজলা, ডেমরা, বাবুবাজার ব্রিজ, পোস্তগোলা ব্রিজ, নারায়ণগঞ্জ ও সাভারের আমিনবাজার ও গাবতলীতে অবস্থান নেয়। তাদের হেফাজতকর্মীদের ঢাকার কেন্দ্রে আসা ঠেকাতে বিভিন্ন স্থান ব্যারিকেডও দেয় পুলিশ। কিন্তু সমাবেশের অনুমতি দেয়ার পর ঢাকার প্রবেশপথগুলো থেকে ব্যারিকেড সরিয়ে নেয় পুলিশ। তখন অবরোধকারীরা মিছিল নিয়ে মতিঝিলের দিতে আসতে থাকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।