Try to learn আল্লহ পাক পবিত্র কুরআনে বলেছেন-“এবং আমি শুধু তোমাকে জগৎবাসীর প্রতি দয়া স্বরূপ প্রেরন করিয়াছি (আল-আম্বিয়া : ১০৭)” । তিনি দুনিয়াতে ক্ষমা আর মহত্ত্বের য়ে দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন কেয়ামত পর্যন্ত রক্ত-মাংসে গড়া কোন মানুষের পক্ষে তা কিছুতেই সম্ভব নয়। কারন তাঁকে আল্লাহ পাক রহমাতুল্লিল আল-আমিন হিসেবেই সৃষ্টি করেছেন।
তিনি যখন দ্বীন-এর দাওয়াত নিয়ে তায়েফে গেলেন এবং তাঁর দাওয়াত পেশ করলেন তখন নিষ্ঠুর তায়েফবাসীরা তাঁর দাওয়াত তো গ্রহন করলই না বরং তাঁর সাথে অবর্ননীয় ব্যবহার করল এবং তাঁর পবিত্র শরীর মুবারকে পাথর নিক্ষেপে রক্তাক্ত করল। নবীজী (সঃ) - এর পবিত্র রক্তে তার গায়ের কাপড় রঞ্জীত হল, পায়ের জুতাও রক্তে আটকে গেল।
যেই নবীকে (সঃ) আকাশের মেঘমালা ছায়া দিত, ফেরেস্তা থেকে শুরু করে গাছপালা পর্যন্ত সালাম দিত, তিনি ঐ বর্বর তায়েফবাসীর জন্য আল্লাহর কাছে বদদোয়া করেন নি। ফেরেস্তা এসে যখন তায়েফবাসীদের হালাক করার অনুমতি চাইল তখন তিনি আল্লাহর কাছে দু’হাত তুলে বললেন-“ আয় আল্লাহ আমি এই আশা রাখি যে যদি ইহারা মুসলমান নাও হয় তবুও ইহাদের সন্তানদের মাঝে এমন লোক পয়দা হইবে যাহারা আপনার ইবাদাত করিবে ”।
তিনি জীবিত থাকতে তাঁর পবিত্র আখলাকের উপর তাঁর শত্রুরা পর্যন্ত মিথ্যা অপবাদ দিতে পারে নাই। তাঁকে শত্রু মনে করা সত্ত্বেও তাঁর কাছেই আমানত রাখত। যিনি মৃত্যু পর্যন্ত দুনিয়ার প্রতিটা মানুষের কল্যানের জন্য, পরকালের জান্নাতের জন্য পেরেশান ছিলেন; অথচ এক জন চোর, মুনাফেক, আবু-লাহাব, আবু-জেহেলের প্রেতাত্না, ইবলিশের উরসজাত জারজ কুসন্তান, বর্তমান দুনিয়ার সবচেয়ে নিকৃষ্ট প্রাণী ইহুদীর বাচ্চা নাকোলা বাসিলি/স্যাম বাসিলি হুজুর (সঃ) এর পবিত্র আখলাকের উপর মিথ্যা কালিমা লেপনের জন্য ভিডিও তৈরী করে ইবলিশের আশ্রায় নিয়েছে তা কোন দিন বাস্তবায়ন হবে না।
পৃথিবীবাসী এই পবিত্র নবীর (সঃ) জীবনী জানার জন্য ব্যকুল হবে আর দলে দলে পতঙ্গের ন্যায় ইসলামের আলোকে মুসলমান হবে ইনশআল্লাহ।
হে দুনিয়ার সম্মানিত মুসলমানগন আসুন আমরা সেই পবিত্র নবীর শানে দরূদ পড়ি, তাঁর আনিন দ্বীনের অনুসরন করি আর সারা দুনিয়াবাসীর জন্য আল্লাহ পাকের দরবারে হেদয়েতের দোয়া করি।
তারপরেও যারা নবীর শানে মিথ্যারোপ করে আল্লাহ যেন তাদের ফেরাউন, কারুন, হামান, উবাই ইবনে খলফ এর চেয়েও খারাব পরিনতি করেন। - আমীন । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।