আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সময়টা ১৯৯১/৯২ হব.....

সময়টা ১৯৯১/৯২ হবে। দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে অপেক্ষাকৃত ভালো কোন প্রার্থীকে জিতিয়ে আনার চেষ্টা করছিলাম। গ্রামের চাচাতো ভাইয়ের মেয়ের শশুর। সেই সুবাদে বেয়াই। তুখোর ভিলেজ পলিটিশিয়ান।

তাকে বাসায় ডেকে এনে বললাম, বেয়াই সাব, অমুক প্রার্থী মদ, জুয়া, পতিতালয় এমন কোন খারাপ কাজ নাই যেটা করে না। তাকে ফেল করাতে হবে। আর অমুককে জেতাতে হবে। কথামত কাজ শুরু করলেন। কিছুদিন পর এসে বললেন দেখুন আপনার সমর্থিত প্রার্থী কোন কাজের না, পান বিড়ি সিগারেট দেয় না, একেবারে কৃপণ।

তাকে বলে দিবেন যাতে আমাদেরকে একটু খাতির যত্ন করে নইলে কিন্তু আমাদের ভোল পাল্টাতে একটুও সময় লাগবে না। আমি রসিকতা করে বললাম, বেয়াই সাব, গত দু সপ্তাহ একজনের পক্ষে ক্যাম্পেইন করলেন, এখন আবার ভোল পাল্টাবেন কেমনে? তিনি হাসতে হাসতে বললেন, এতদিন জনগনকে একভাবে বুঝিয়েছি, এখন আবার যেয়ে বলবো, দেখুন ভাইসব, মনে করেছিলাম এই ক্যান্ডিডেট ভালো, কিন্তু কিছুদিন কাজ করে দেখলাম এ লোক বেশি সুবিধার না। সে এই করে না, সেই করে না......ব্লা, ব্লা, ব্লা। ১৯৯৬ সালে ত্বত্তাবধায়ক সরকারের দাবী মানতে খালেদা সরকারকে বাধ্য করতে তৎকালীন বিরোধী নেত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় পার্টি, জামাতকে নিয়ে যে যুক্তিগুলো দেখাতেন, তিনি এখন ওটা না দেবার জন্য ঠিক তার বিপরীত কু-যুক্তিগুলো দেখাচ্ছেন, ঠিক ঐ সময় খালেদা জিয়া যে কু-যুক্তিগুলো দেখাতেন। মানুষের একই অংগে যে কতরূপ তা বাংলাদেশের পলিটিশিয়ানদের না দেখলে বুঝা যাবে না।

আর সর্বশেষ একজন 'ভাড়' মানবাধিকার কমিশনার জুটেছেন তার সাথে। গত সাড়ে চার বছর দুর্নীতি আর অপকর্মে যারা জড়িত ছিলেন তাদের পিঠের চামড়া বাচানোর জন্য তারা অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন ত্বত্তাবধায়ক সরকারের অধীনে না চাইলে অবাক হবার কিছু নাই। কারন ঐসব 'রাবিশ' ও 'বোগাস' লোকজন ছাড়া দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ আগামী জাতীয় নির্বাচন ত্বত্তাবধায়ক সরকারের অধীনেই চান। আর আমার ব্যাক্তিগত মতে এই 'অসাংবিধানিক' ব্যবস্হাকে অতি দ্রুত সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করে 'সাংবিধানিক' করা উচিত, এবং সেটা শুধু একবারের জন্য নয়, চিরদিনের জন্য। ত্বত্তাবধায়ক সরকারের প্রধান সহ সকলেই হবেন জনগনের নির্বাচিত প্রতিনিধি।

এটা ভবিষ্যতে সকল সরকারের সময়ই প্রযোজ্য হবে, সেটা খালেদা, হাসিনা, এরশাদ যেই হোক না কেন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।