আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হরতালে আমার লাভ-ক্ষতির সারমর্ম । এটা শুধুমাত্র আমার ব্যাক্তিগত মতামত।

আসুন অন্যের বিচার করার আগে আয়নায় নিজের চেহারাটা দেখি। হরতালে আমার কি কি লাভ হয় এবং কি কি ক্ষতি হয় তা নিম্নবর্তিতঃ লাভ সমূহঃ ১) সাধারণত আমার অফিস ৯টা থেকে শুরু হয়। কিন্তু হরতালের দিন জমিদারের মত ১০টা কি ১১ টায় অফিসে আসি। ২) সাধারণত ৭টার পরে অফিস থেকে বের হতে হয়। কিন্তু হরতালের দিন ৪টা ৫টার দিকেই বের হতে পারি।

৩) অন্যান্য দিন রাস্তাঘাতে ভীষণ ট্রাফিক জ্যাম থাকে। তাই অফিসে আসতে অনেক সময় লাগে এবং কষ্ট হয়। কিন্তু হরতালের দিন আরামে যাতায়াত করা যায়। ৪) অন্যান্য দিন রিক্সাওয়ালাদের সাথে ভাড়া নিয়া কথাই বলা যায়না। কিন্তু হরতালের দিন অন্তত ভাড়া নিয়া দরকষাকষি করে কিছুটা কমে রিক্সাভাড়া করা যায়।

৫) দেরিতে অফিসে আসায় ও আগে আগে চলে যাওয়ায় বাড়তি কিছু সময় সেফ হয়। ৬) হরতালে অফিসের বিভিন্ন ক্লাইন্টসদের অফিস বন্ধ থাকায় অফিসে কাজের তেমন চাপই থাকেনা। তাই সারা দিন আরাম আয়েস করা যায় এবং রিলেক্স মোডে সামুতে ব্লগিং করা যায়। ক্ষতি সমূহঃ ১) জীবনের ঝুকি নিয়া রাস্তায় চলাচল করতে হয়। পিকেটারদের নিয়া আমার তেমন ভয় নাই।

ভয়পাই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীরে দেইখা। ২) ব্যাপক কুইরামি ধইরা যায় শরীরে। হরতালের পরের দিন আর কাম কাইজ করতে মন চায় না। আসলে ব্যক্তিগতভাবে হরতালে আমার সুবিধার পাল্লাই ভারি। তারপরেও হরতাল দেশের উন্নতির অন্তরায়।

তাই আমাদের দেশে ঘনঘন হরতাল কাম্য নয়। তেমনি, সরকারি দলকেও সেসব কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে যাতে বিরোধীদল হরতাল ডাকার ইস্যু না পায়। যার যার দায়িত্ব সে সে ঠিক মত পালন করলেই কেবল দেশের উন্নতি সম্ভব। সবাইকে ধন্যবাদ। ।

। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।