আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দু,টি কবর,সম্পূর্ণ কাল্পনীক

আমি কবিতা পড়তে ও লিখতে খুব ভালবাসি। ছেলেকে দুর দেশে দিয়ে মা ছেলের চিন্তায়,চিন্তায় অসুস্হ হয়ে পড়েন। মায়ের সেই অসুস্হ খবর পেয়ে সাজু শিশুর মতন কাঁন্না করেন। সবে মাত্র ৬মাস চলছে সাজু স্বদেশ ছেড়ে ডুবাইয়ের মাটিতে আসছেন। সাজুর বড় আশা,আকাঙাখা সে তার পরিবারকে অভাব মুক্ত করবেন।

মা,বাবার মুখে হাসি ফুটাবেন। আর মা,বাবার হাসি জড়ানো মুখ খানা দেখার জন্যই সাজু তার আত্বীয়ের নিকট থেকে সম্পূর্ণ টাকা(২৫০০০০টাকা) ধার করেন। কিন্তু,সাজু সে সবই তখন ভুলে যান। শুধু তার চোখের সামনে ভাসে মায়ের প্রতিচ্ছবি। সাজু,যে দিকে তাকান,সব কিছুর মধ্যেই সে শুধু মাকেই দেখতে পান।

কোন উপায় খুঁজে পান না সাজু। গভীর রাত্রী। রুমের বাহীর হয়ে সে পথে পাগলের মত ঘুরা-ফিরা করেন। কোথায় যাচ্ছেন সে ভাবনা নাই তার। শুধু মুখে তার মা।

হঠাৎ ,পুলিশের নজরে আসে সাজু। পুলিশ,সাজুকে হিন্দিতে জিঙ্গেস করে তুমার নাম কি?তুমার দেশ কোথায়?উত্তর করে সাজু,মা। পুলিশ ধারনা করেন সাজুর মেন্টাল সমস্যা। তাকে পাঠিয়ে দেন মেন্টাল হাসপাতালে। চিকিৎসকরা বলে দেন পুলিশকে তার মেন্টাল কোন সমস্যা নাই।

পুলিশ ভাবেন,তাহলে ওকে এখন কি করা যায়?। একজন বল্লেন,ওকে দেশে পাঠিয়া দেওয়াই উত্তম। উত্তর করে অপর এক পুলিশ বল্লেন,ঠিক আছে দেশে পাঠাইয়া দিব,কিন্তু কোন দেশে পাঠায়া দিব। সেতু নিজের নামই বলতে পারছে না,শুধু বলছে,মা। তখন এক পুলিশ বল্লেন,ও কোন দেশের আমি কিছুক্ষনের মধ্যেই তোদেরকে জানাচ্ছি।

পুলিশটি একটু,একটু বাংলা জানতেন। সে বাংলায় বাচ্চাদের মত ভেঙ্গে,ভেঙ্গে সাজুকে বল্লেন,ভাই তুমি তুমার মাকে পৃথিবীর চাইতে বেশী ভালবাস। সাজু মাথা নীচের দিকে নেড়ে বল্লেন,হ্যা। পুলিশটি উচ্চ স্বরে হাসি দিয়ে বল্লেন,ও,বাংলাদেশী। অন্য পুলিশরা বল্লেন,তুই যে সত্যি বলছিস,তা আমরা কি করে বুঝব।

পুলিশটি বল্লেন,পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র হৃদয়বান মানুষ বাংলাদেশী। ওরা মানুষকে সম্মান,শ্রদ্ধা,ভক্তি করে মাথা মাটির দিকে নীচু করে,কারোর মুখের দিকে চেয়ে নয়। উপস্হিত প্রত্যেক পুলিশই মেনে নিলেন ঐ পুলিশটির কথা। সাজুকে ওরা সবাই মিলে দেশে পাঠাইয়া দিলেন। সাজু বাড়ীত পৌছে দেখেন ওর মা মৃত।

সবাই মায়ের লাশ ঘীরে কাঁন্না করছেন। সাজু বলছেন,আপনারা আমার মাকে ঘীরা কাঁন্না করছেন কেন?আমার মা তু মরে নাই। আমার ঘোমিয়ে আছেন বলে সাজু মায়ের বুকের উপড় হাত দিয়ে পাশে শন। সবাই সাজুকে ধরে দুরে নেন। লাশ ধৌত করে যখন কবরে রাখেন সাজু সবাইকে ভেদ করে কবরে মায়ের পাশে শোয়ে বলেন,মা তোমি কোথায় যাচ্ছ আমাকে রেখে?আমিও তোমার সাথে যাব বলে সাজু মাকে বুকে জড়িয়ে ধরে মায়ের সাথেই দোনিয়া থেকে চীর বিদায় নেই।

সবাই পাশা-পাশী দুটি কবরে সাজুকে ও তার মাকে দাফন করলেন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।