আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হিযবুত তাহ্রীরের টার্গেট রাজনীতিকদের সন্তান

কদিকে অভিযান আরেকদিকে নতুন সদস্য সংগ্রহ শাহজাহান আকন্দ শুভ: নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহ্রীরের তৎপরতা থেমে নেই। র‌্যাব-পুলিশসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য একদিকে তাদের ধরতে ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে আসছে, অন্যদিকে সংগঠনটি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে নতুন সদস্য সংগ্রহ অব্যাহত রেখেছে। গত কয়েক মাস ধরে তারা টার্গেট করেছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সন্তান ও নিকট আত্মীয়দের সংগঠনের সদস্যভুক্ত করার। বাংলাদেশে সংগঠনের কার্যক্রম আরম্ভ হওয়ার পর থেকেই স্কুল,কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রদের তাদের মতাদর্শে দীক্ষিত করে আসছে। এজন্য রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে সংগঠনের পক্ষ থেকে ‘মগজ ধোলাই’ কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সূত্রে জানা গেছে।

সর্বশেষ গত সপ্তাহে সংগঠনটির সদস্য হিসেবে গ্রেপ্তার হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেলে ছেলে রিসাদ খান। মোহাম্মদপুর থানার ওসি মাহমুদুল ইসলাম বলেছেন, দেড় মাস আগে হিযবুত তাহ্রীরে যোগ দেন রিসাদ খান। এরপরই প্রথম এসাইনমেন্ট হিসেবে তাকে মোহাম্মদপুরে হিযবুত তাহ্রীরের পোস্টার লাগানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়। সূত্র জানায়, শুধু রিসাদ খানই নয়, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয়, মহানগর ও থানা পর্যায়ের নেতার স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়-য়া সন্তানদের সংগঠনের সদস্য করতে হাতে নেওয়া হয়েছে বিশেষ কর্মসূচি। এজন্য সংগঠনটির পলাতক নেতৃস্থানীয়রা তৈরি করেছেন একটি ছক।

সেই ছকানুযায়ী রাজনৈতিক দলের নেতাদের সন্তান ও নিকট আত্মীয়দের নতুন সদস্য করতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। আর টার্গেটকৃত মেধাবী ছাত্রের ‘মগজ ধোলাই’ করে বানাচ্ছেন সদস্য। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তারা বলছেন, এক্ষেত্রে সংগঠনটির লক্ষ্য দলীয় নেতাদেরও সমর্থন আদায় করা অথবা সংগঠনের শক্তি বৃদ্ধি করা। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, শ্রমিক থেকে শুরু করে, ছাত্র, শিক্ষক, চিকিৎসক, আমলা, ব্যবসায়ীসহ সব পেশাতেই সংগঠনটির অনুসারী রয়েছে।

তাদের লক্ষ্য দেশে খেলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং এর পরিচালক কমান্ডার এম সোহায়েল (তাজ) বলেছেন, হিযবুত তাহ্রীর বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই র‌্যাব সংগঠনটির পলাতক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ধারাবারিক চালিয়ে আসছে অভিযান। র‌্যাবের পক্ষ থেকে সংগঠনের নেতৃস্থানীয়সহ এ পর্যন্ত ৯২ জন নেতাকর্মী গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংগঠনের সদস্যরা মেধাবী হওয়ায় তারা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে নানা কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তবে আগের চেয়ে সংগঠনটির কার্যক্রম অনেকটাই দুর্বল হয়ে গেছে বলে জানান তিনি।

জানা গেছে, ২০০৯ সালে সরকার হিযবুত তাহ্রীর বাংলাদেশ সংগঠন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মহিউদ্দীন আহমেদসহ আরও বেশ কয়েকজন নেতাকে। এখনও সংগঠনটি সক্রিয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ ও র‌্যাবের অভিযান রয়েছে চলমান। অভিযানকালে এ পর্যন্ত দেড় শতাধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কারও বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা।

কিন্তু এখনও অব্যাহত আছে সংগঠনটির পলাতক সদস্যদের তৎপরতা। তারা কিছুদিন পর-পরই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে ঝটিকা মিছিল বের করে জানান দিচ্ছেন তাদের তৎপরতার। Click This Link ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.