আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হরতালে ডিএমপি’র নতুন অস্ত্র ‘নিরাপত্তা হেফাজত’!!

রাজধানী আজকের হরতালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বাহিনীর ছিল বিশেষ ব্যাবস্থা ‘নিরাপত্তা হেফাজত’। সেটা শুধু বিএনপি সাংসদ ও নেতা-নেত্রীদের নিরাপত্তা দিতে!! শুনলে বেশ রহস্য! রহস্য! লাগে বৈকি। সকালের দিকে সংসদ ভবন এলাকায় বিএনপি সাংসদরা যখন হরতালের পক্ষে বেশ কিছুক্ষণ শ্লোগান দিয়ে সংসদ এলাকা দিয়ে বাইরে আসাতে গেল ঠিক তখনই পুলিশের বেষ্টনী তাদেরকে ঘিরে ধরল। ঠিক তেমনি তাদের সেই নিরাপত্তা হেফাজতেই আহত হলেন সদ্য সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা। আর এই বেষ্টনীর প্রথম সারিতে ছিল মহিলা পুলিশের দল, পরের সারি পুরুষ পুলিশ তার পরে গোয়েন্দা পুলিশ ও র্যা ব।

প্রথম সারিতে মহিলা পুলিশ দেখে মনে পড়ল পুলিশ বাহিনী আবার ‘লেডিস ফাস্ট’ তত্ত্ব পালন শুরু করল কি? পুলিশের বাধায় বিএনপি সাংসদরা সেখানে বসেই শ্লোগান দিতে শুরু করল। সে সময় পুলিশের এক উধ্বতন কর্কর্াকে সাংসদদের বাধা দেয়ার কারন কি জানতে চাইলে, তিনি বলেন, হরতালের সময় তাদেরকে নিরাপত্তা দিতেই আমরা ঘিরে রেখেছি। হরতালের সময় কেউ যদি আবার তাদেরকে আক্রমন করে তবে তার দায় তো আমদেরই নিতে হবে। তখন মনে পড়ল হায়রে পুলিশের নিরাপত্তা! আগে থেকেই তারা জানেন নাশকতা হবে তাই নিরাপত্তা দিচ্ছেন! এমনটা যদি নগরবাসিকে দিত তাহলে নগরবাসি একটু সুখেই দিনপাত করত। ঠিক তেমনি সদ্য সাবেক মেয়র খোকাকে আটকের কিছুক্ষন পরে ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে ঘোষনা করা হল তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তাকে বাসায় পৌছে দেয়া হবে। নিরাপত্তা হেফাজতে কেন নেয়া হয়েছিল!! হরতালের সময় নাশকতার আশঙ্কায়। তার উপর হামলা হতে পারে এই আশঙ্কায়!! তার মানে তার উপর হামলা হবে পুলিশ জানতো। তার পরেও নিরাপত্তা হেফাজতে তিনি আহত হলেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।