আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কখনো কখনো হারটা মেনে নিতে হয়। ব্লগার ভাইদের বলছি এসব ব্যাপার না । নেক্সট টাইম।

আমি স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক। আমি কিছু বলতে চাই। আমাকে বলতে দিন.। ২০০৬ সালে ব্রেন্ডন টেলর এর এক অসাধারন ইনিংস এর জন্য বাংলাদেশ সিরিজ হেরে ছিল জিম্বাবুয়ের কাছে। প্রায় ৫ বছর পর আবার ব্রেন্ডন টেলর এর ক্যাপ্টেন্সিতে বাংলাদেশ সিরিজ হারল।

জানি অনেকেরই মেজাজ খারাপ লাগতেসে, অনেকেই ভাবতেসেন যে আজকের ম্যাচটা অন্তত জিততে পারত। জানি ভাই, আমারো প্রচন্ড খারাপ লাগতেসে। আমাদের মত যাদের রক্তে রক্তে ক্রিকেট তাদের সবার মনে এখন কি চলতেসে বুঝতে পারতেসি। প্রথম দুটো ম্যাচ আসলেই বাজে ভাবে খেলে হেরেছে। আজকের ম্যাচটা অনেক ক্লোজ হইসে তাও মুশফিক এর জন্য।

আজকের ম্যাচ হারার জন্য সিরিজটা হারালাম। অনেকেই ভাবতেসি যে ব্যাপার টা কি লজ্জার ! নাহ রে ভাই খেলার মধ্যে হার জিত থাকবেই। তাছাড়া দেখুন আমরা যেমন জিতার জন্য নামি প্রতিপক্ষ তেমনি জান প্রান দিয়ে জেতার জন্য খেলে। তাছাড়া নিজেদের কন্ডিশন এ যেকোন দলই শক্ত হয়ে মাঠে নামে। যখন নিউজিল্যান্ড বাংলাদেশে আসল খেলতে।

কেউই চিন্তা করিনি যে ওরা সিরিজ জিততে পারবে। অথচ সেখানে একটা একটা করে হোয়াটওয়াশ করে ছাড়ল ওদের। ওদের মত টিম আমদের দেশে এসে ১৭০/১৮০ রানের টার্গেট গুলো করতে পারেনি। দলে তখন তামিম-মাশরাফি কেউ ছিলনা। তখন আমরা বিজয়ে উল্লাস করেছি।

কিন্তু নিজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করসি বলে কি ওরা খারাপ টিম ?? ওরা ঠিকই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালিস্ট হলো। ভারত যে ৩-০ তে সিরিজ পিছিয়ে তাই বলে ওরা কি অনেক নিচে নেমে গেসে। কন্ডিশনকেই কাজে লাগিয়েছে ইংল্যান্ড। তাই যে যাই বলিনা কেন কন্ডিশন একটা ফ্যাক্ট। নিজে যদি কমফোর্ট না থাকে খেলবে কি করে।

অনেকেই হয়তোবা জানেন জিম্বাবুয়েতে আরেকটি ৩ দিনের ম্যাচ খেলার কথা ছিল কিন্তু জিম্বাবুয়ে তা খেলতে দিতে চাইনি। এবং তারা বলছে খেলতে হলে অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে এবং যেই টাকাটা ওরা ডিমান্ড করে ছিল সেটি ছিল অনেক। ওদের মেইন উদ্দেশ ছিলই কন্ডিশনের সাথে যাতে মানিয়ে নিতে না পারে। আর জিম্বাবুয়ে অনেক দিন খেলার মধ্যে ছিল না । ওরা এই সিরিজটার জন্য যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছে সত্য বলতে বাংলাদেশ তা নিতে পারেনি।

তাদের খেলার মধ্যে তাদের প্রস্তুতি বুঝা যাচ্ছে। বাংলাদেশ জিতবে আমরা সাপোর্টাররা সব সময় তাইই আশা করি । হারতে দেখতে আমদের কারোরই ভালো লাগে না। কিন্তু আমরা কি একটু এভাবে চিন্তা করি যে প্রতিপক্ষও জিততে নেমেছে। আজ আমরা পারিনি ওরা পেরেছে।

আর লিখতে পারছি না । বাংলাদেশ নিয়ে লিখা শুরু করলেই গুলায় ফেলি কোন ব্যাপারটা আগে লিখবো চিন্তা করি। কারন আমাদের কমতির শেষ নেই। যাই হোক একদিন লিখব। আমরা সবাই বাংলাদেশ টিমের পাশে থাকবো।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.