আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আত্মকথন !!

ভালবাসা মানে অন্যের ভালত্বে বাস করা কাজল নদীর জলে ভরা ঢেউ ছল ছলে, প্রদীপ ভাসাও কারে স্বরিয়া সোনার বরণী মেয়ে বলো কার পথ চেয়ে আঁখি দুটি উঠে জল এ ভরিয়া ..................। । শান্ত বিকেল, নিয়ন বাতি জ্বলা ঘরে একা কী বোর্ড এ দ্রুত হাত চলছে কি লিখে মেয়েটি? জীবনের রেসে কি সে হেরে গেল ? একদিন প্রতিপক্ষ যে চেলেঞ্জ ছুড়ে দিল তার বিরুদ্ধে অবিরাম যুদ্ধ করছে, যতবারই মাথা উঠিয়ে দাঁড়াতে গেছে ততবার বাধাগ্রস্থ হয়েছে । ভাবছে পারব কি আমি ? আমি পরাজিত হতে আসিনি । কখনো প্রদীপ শিখা নিভু নিভু হয়ে জ্বলে কখনো উজ্জ্বল আলোয় আলোকিত হয় চারধার ।

আজ সকালেই দু চোখ এ জলের ধারা একাকী গাড়িতে বসে ভাবছিল এই কি জীবন !!.যাপিত জীবনের অনেক দৃশ্য ভেসে উঠলো চোখের সামনে । মনের তট রেখায় ঢেউ আছড়ে পরছে অপেক্ষা বর্ষণের। না আর হেরে যাওয়া নয় আবার উঠে দাঁড়াবই নিজেকে শক্ত করে । সবার জীবন একরকম হয়না কিন্তূ মনের ভেতর অনেক দিন আগের সংগপিত কষ্টেরা তো বাধ মানে না ভেঙ্গে পরে কান্নায় । কার্ড পাঞ্চ করে অফিস ঢুকে পাশের জনের সাথে কুশল বিনিময় হয় স্মিত হাসি খেলে যায় চকিতে মাথা হেলিয়ে সে সুপ্রভাত জানায় ।

আর্মি অফিসারটির পাশ কাটিয়ে দ্রুত আসে লিফটের জন্য । নিজ ঘরে ঢুকে ব্যাগ রাখে টেবিলে বসে কম্পুটার সচল করতে ব্যস্ত হয়ে পরে ,দেখে নেবে ইনবক্স । আর এক পশলা বৃষ্টি ঝরে যায় । আজ কিছুতেই পারছেনা নিজেকে ঠিক রাখতে। একজন ঢুকে হাত এ রিপোর্ট নিয়ে সেও হাসে সম্ভাষণ শেষে আবার ও সুপ্রভাত বিনিময় , দ্রুত ট্যিসু নিয়ে মুখ আড়াল করে ।

কারণ কান্না মানুষের দুর্বলতা এ সকলের সামনে প্রকাশ করা উচিত নয়। এমনি করে একে একে অনেক কাজ সারে সে । একাকী পায়চারী করে ভঙ্গি এমন পারবেনা আমার চোখ কে ফাঁকি দিতে ? কিন্তূ মন সে কোন সুদূরে ঘুরে বেড়াচ্ছে নিজেই জানে না মুখ এ হাসি, মনে এক আকাশ মেঘ নিয়ে হেসে কথা বলে কাজ করে সারাটি দিন । কয়েকবার অফিস কলিগও এসে ফিরে যায় দরজা থেকে । কি জানি আজ কেন এত গম্ভীর? ভাবে, জিজ্ঞেস করি।

আজ আর চা এর আড্ডায় যাওয়া হয় নি পেপার পরাও হয়নি । দিন শেষে বাড়ি ফেরার পালা । কিছুতেই ইচ্ছে হয়না ইচ্ছে গাড়ি নিয়ে এ ঘুরে আসি দুরে কোথাও শুধু চাই একটু সবুজের ছওয়া ! অথবা শান্ত কোনো নদীর ধারে একটুক্ষন বসা !! একটু আত্মকথন !! মনে মনে রবি ঠাকুরের কবিতা বলে , ওই মরণ সাগর-পারে চুপে চুপে এলে তুমি ভুবনমোহন স্বপনরূপে ! কান্না আমার সারা প্রহর তোমায় ডেকে ঘুরেছিল চারিদিকের বাধায় ঠেকে , বদ্ধ ছিলেম এই জীবনের অন্ধকুপে । আজ এসেছ ভুবনমোহন স্বপন রূপে !! জীবন কিছু স্মৃতির সমষ্টি যে মানুষটি চলো গেল ,তাদের পরিবারের অন্যতম সদস্য। তার জন্য কষ্ট হচ্ছে আক্ষেপ হচ্ছে ঠিক আবার ভাবছে ভালই হলো অনেক কষ্ট পাচ্ছিলেন তিনি ।

জীবন নদীর প্রতি বাঁকেই অপেক্ষা করে চমক । বাঁক নিয়েই সেই চমক আবিষ্কার করতে হয় সব চমকেই কাঙ্খিত হবে তার নিশ্চয়তা কোথায় ? তবুও যাই হোক তা মেনে নিতেই হয় মানিয়ে চলতে হয় । জীবন যেন জুয়াই তার চোখে । এই ভাবেই মনে মনে আত্মকথন এর মালা গেঁথে চলে । নেমে আসে সায়ান্নের অন্ধকার ধীর পদক্ষেপে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয় ।

সারাটি পথ আত্মমগ্ন থাকে নিজের ভাবনায় । একটি দিন শেষ। আগামীর শুরু আবার আসবে কর্ম মুখর একটি দিন । হে মঙ্গলময় সকলের জন্য সুন্দর করো সুখকর করো দিনটি । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।