আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আত্মকথন -৬

আমি বিশ্বাস করি ... .. .

13th july,10 2250 আজ অনেকদিন পর আবার লিখতে বসলাম । একদিন কেন লিখিনি ? আসলে হয়ে ওঠেনি ? নাকি লিখতে ইচ্ছে হয়নি ? নাকি লিখবার সুযোগ পাইনি ? লিখতে পারিনি ? নাকি লিখতে ভুলে গিয়েছিলাম ? যেকোন কিছুই হতে পারে । আবার হয়তো এগুলির কোনটাই আসল কারন নয় । আসলে কেন এইকদিন লিখিনি সেটা খুব বেশি important না । নাকি important ? World cup football শেষ হল ।

নতুন এক champion দেখলাম এবার । মন খারাপ হয়েছিল semifinal দেখে । স্পেন জার্মানিকে কোন সুযোগ না দিয়েই match টা হেসে-খেলে জিতে নিল । পুরো tournament এ যে জার্মানিকে দেখলাম , semifinal এ গিয়ে তাদেরকে আর খুঁজেই পেলাম না । match এ ছিল অবশ্য খানিক সময় , কিন্তু তা যথেষ্ট ছিল না ।

নির্ধারিত সময় শেষে হতাশাজনক একটা পরাজয়ই কেবল দেখা গেল । তৃতীয় স্থান নির্ধারনী match এ অবশ্য জার্মানিকে পাওয়া গিয়েছিল । খর্বশক্তির জার্মানিই হারিয়ে দিল উরুগুয়েকে । সান্ত্বনাসূচক তৃতীয় স্থান পেল তারা আরকি । আরেকটা সান্ত্বনা পেলাম মুলার golden boot পাওয়াতে ।

এরপর আর final match এ আমার তেমন আগ্রহ ছিলনা । তবুও final বলে কথা । দেখলাম । দেখলাম স্পেন এর জয় । জয়ের পর ক্যাসিয়াসের আনন্দের কান্না ।

নেদারল্যান্ডের এত কাছে এসেও না পাবার কান্না । স্প্যানিশদের বিজয়ের আনন্দ । Europe champion রা এবার বিশ্বটাকেও জয় করে নিল । World cup তো শেষ । এবার ? এবার কি নিয়ে বাঙ্গালী আবার মাতামাতি করবে ? English দেরকে বাংলাদেশ প্রথমবারে মত যেকোন ধরণের cricket এ হারালো ।

দেখে ভালো লাগল । কিন্তু আসল চিত্র পরের match এই আবার দেখা গেল । এরা বাঘের বাচ্চাই রয়ে গেল । বাঘ আর হলনা । আজও বরাবরের মতই দুপুরবেলা ঘুম থেকে উঠলাম ।

তিনটের পর আর ভালো লাগছিল না । মন খুব খারাপ ছিল । একটু refreshment এর দরকার class এও যেতে পারবনা আজ । maths করা সম্ভব না । ডাক দিলাম এক বন্ধুকে ।

এলো । কিন্তু ঘরে ভালো লাগেনা । শেষে বের হলাম বাসা থেকে । কিন্তু কোথায় যাব জানিনা তখনো । অবশেষে ঠিক করলাম হাঁটাই বড়ং ভালো ।

শুরু করলাম উদ্দেশ্যবিহীনভাবে হাঁটা । শুরুতে হাঁটতে খারাপ লাগছিলনা । একটু যেন ভালোই লাগছিল । কিন্তু কিছু সময় পরেই শুরু হল বিপত্তি । রাস্তায় জায়গায় জায়গায় কাদা জমে আছে ।

তার সাথে আছে পানি । একসাথে কাদা-পানি । এই কাদা-পানি থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে হাঁটতে থাকলাম । রাস্তায় অনেকের সাথেই দেখা হল । দাঁড়িয়ে কথা হল ।

কিন্তু হাঁটা আর থামল না । হাঁটতে হাঁটতেই চলে গেলাম আমার school এর সামনে । মানে s.s.c পরীক্ষার আগে শেষ যেই school এ পড়েছি আর কি ! আল্লাহর দয়ায় school কম পাল্টাইনি । যাহোক , school এর সামনে গিয়ে কি মনে হল ভাবলাম ভেতর থেকে ঘুরে আসি । অনেকদিন যাওয়া হয়না ।

আজ একটু ঘুরে দেখা হবে । তো গেলাম ভেতরে । অনেকদিন পর school এ ঢুকে ভালই লাগল । সেই পরিচিত school gate , building , মাঠ , corridors , classrooms , পরিচিত মুখগুলি । সেই পরিচিত school uniform এ ছাত্ররা , যেই uniform এ এক সময় আমিও class করেছি ।

সেই পরিচিত corridors যেখান দিয়ে একসময় আমিও হেঁটেছি , দৌড়েছি । সেই পরিচিত classrooms , benches , যেখানে বসে class করেছি । দেখলাম ছেলেরা এখনো বোতল দিয়ে football খেলে । পরিবর্তনও চোখে পড়ল কিছু । দেখলাম সব ছাত্রের গলাতেই ID card ঝুলছে ।

আমাদের সময় ID card কি জিনিস তাই জানতাম না । school building অনেক জায়গাতেই অসমাপ্ত ছিল । সেসব জায়গার কাজ দেখলাম ভালোভাবেই শেষ হয়েছে । building এর গায়ে নম্বর দেয়া হয়েছে । এমনকি gate গুলোতেও নম্বর দেয়া দেখলাম ।

hostel টা আলাদা করা হয়েছে একটা gate দিয়ে । ছোট ছোট অনেক পরিবর্তনই দেখলাম । তবু সব মিলিয়ে যেন সেই আগের school টাকেই খুঁজে পেলাম । খুব বেশি nostalgia তে আক্রান্ত হবার আগেই বেরিয়ে এলাম school থেকে । আবার হাঁটা শুরু করলাম ।

আবাএ সেই কাদা বাঁচিয়ে হাঁটা । পথে এক মসজিদে নামায পড়ে নিলাম । এরপর হাঁটতে হাঁটতেই চলে গেলাম ধানমন্ডিতে । সেখানে আরেকজনকে পাওয়া গেল । ক্ষুধা ছিল ।

এক জায়গাতে বসে তিনজন তেহারি খেলাম । এরপর গেলাম pool খেলতে । সেখানে আরো অনেককে পাওয়া গেল । খানিক্ষণ খেললাম । আড্ডা দিলাম ।

এরপর আবার বের হলাম । এবারো হাঁটতেই থাকলাম । তবে এবার হেঁটে বাসাতে ফিরলাম । মোটামোটি এই হচ্ছে আজকের diary । খুব একটা খারাপ না ।

এখন বাকি সময় কি হয় দেখা যাক । নীল.১৭

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।