আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পরকীয়ার শাস্তি কি!!!

চুশীল/প্রগুদিশীল/প্রচুদিশীল ব্লগার দ্বারা সাম্প্রদায়িক ঘোষণা করা হয়েছে। ঘটনা একঃ চানমিয়া, বিদেশে থাকেন, পরিবারের ভরণ-পোষনের জন্য বা পরিবারের প্রতি একান্ত দায়-বদ্ধতার জন্য, অথবা অন্য যেকোন কারণে বাধ্য হয়েই বিদেশে গেছেন। মাসে মাসে টাকা পাঠান, বউ/সন্তানের জন্য। বউ এদিকে তার একাকীত্ব দূর করার জন্য এই জন সেই জনের সাথে গল্প গুজব করে, পাছে অন্যদের কাছে সংকীর্ণমনা অপবাদ শুনতে হয় এই জন্য পরিবারের সবাই কোনরকম বাধা দেয়নি এই অবাধ আলাপ-চারিতায়। পেটের চাহিদা মেটার পর চ্যাঁটের চাহিদা শুরু হওয়ার এই প্রাকৃতিক নিয়ম তার উপর চেপে বসে।

অবশেষে, শরীরের চাহিদা প্রকট আকার ধারণ করার কারণে তাদের একজনের সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরিবারের অন্য সদস্যরা তাদেরকে "ভাল বন্ধু" হিসেবেই জানে। চানমিয়ার পাঠানো টাকায় তারা দুজন বেশ আনন্দে-উৎফুল্লে আছেন, মাঝে-মাঝে একসাথেও থাকেন। চানমিয়া চান তার বউকে বিদেশে নেবেন। প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র রেডি করে পাঠানো হয়।

বিমানবন্দরে এসে ফ্লাইটের ঠিক আগ-মুহুর্তে চানমিয়ার স্ত্রী পুলিশকে ফোন করে বলে যে, তার বাবা তাকে জোর করে বিদেশে পাঠাচ্ছে, পাচার করার অভিযোগ করে নিজের বাবার এবং শশুরবাড়ীর বিরুদ্ধে। পুলিশ ঐ মেয়ের বাবা এবং চানমিয়ার আত্মীয়দেরকে গ্রেফতার করে। সে পুলিশ কাস্টডিতে থাকার পর ঐ প্রেমিকের সাথে আলাদা এক বাড়ীতে ওঠে। ইহা পুরোপুরি সত্য ঘটনা, শুধু ছদ্মনাম ব্যবহার করা হয়েছে। ঘটনা দুইঃ আবার চানমিয়া, সে চাকুরী করে।

তার ফোনে অনেকগুলো মেয়ের নাম্বার, রাত-বিরাতে ফোন আসে, সে গোপনে কথা বলে। বৌ এর অনুপস্থিতিতে মাঝে-মাঝে বাসায়ও নিয়ে আসে, এখানে-সেখানে বেড়াতে যায়, কেউ জানে না। তাদের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপিত হয়। বউ একদিন জেনে যায় সব, হাতে-নাতে ধরে ফেলে। ঘটনা ধামা-চাপা দিতে বউকে প্রেসার দিতে থাকে, এক পর্যায়ের বউকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে।

ইহাও সত্য ঘটনা, শুধু নামটা ছাড়া। আমাদের সমাজে এইরকম বহু ঘটনা আছে। তো, উপরের প্রথম ঘটনায় আপনাদের রায় কি? উলটা নারী-নির্যাতন আইনেই ফেঁসে গেছেন মেয়ের বাবা আর স্বামীর পরিবার। উনারা সত্য প্রমাণ করে একদিন হয়তো ছাড়া পাবেন, কিন্তু ঐ মেয়ের পরকীয়ার বিচার কে করবে? মেয়েটা যে তার স্বামীর সাথে প্রতারণা করল তার কি হবে? সে যে তার স্বামীর টাকায় অন্যের সাথে আনন্দ-স্ফুর্তিতে মেতে থাকলো তার বিচার কি? দ্বিতীয় ক্ষেত্রে চানমিয়ার পরকীয়ার বিচার না হয়ে সে যে তার বউকে পেটালো এটার বিচার হবে নারী নির্যাতন আইনে। কিন্তু সে যে তার বউ এর সাথে প্রতারণা (পরকীয়া) করল তার বিচার হবে না, এমনকি এই পরকীয়ার বিচারের জন্য কোন আইনও নাই।

চারিত্রিক অবক্ষয়ের কারণ মানুষ ছিন্তাই/চাঁদাবাজী/খুন-খারাবি পর্যন্ত করে ফেলে, তার জন্য ফৌজদারী আইনে বিচারের ব্যবস্থা আছে। কিন্তু আরেক ধরণের চারিত্রিক অবক্ষয় আছে, যার জন্য মানুষ পরকীয়া/প্রতারণা করে, মিথ্যা বলে, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে। এই জাতীয় কাজের জন্য বিচারের ব্যবস্থা/আইন নাই। কিন্তু এর জন্য সমাজের অনেক ক্ষতি হয়, নির্যাতন হয়, মারা যায়, আত্মহত্যা করে, যার বিচার করা যায় না। আপনাদের কি মনে হয় না যে, আমাদের দেশে সামাজিক আইন/আদালত/বিচার ব্যবস্থা বলে কিছু থাকা উচিৎ!!! মানুষের প্রতি মানুষের সম্মান/ভালবাসা/মূল্যবোধ যদি না থাকে, সেক্ষেত্রে আইন/বিচার করে এর প্রতিকার করা উচিৎ।

ধন্যবাদ সবাইকে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.