আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অপ্রয়োজনীয় কিছু কথা (না পড়াই শ্রেয়)

আমি অন্যকিছু নই, আমি সবাই...। বুঝতেছি না কি লিখব? কিন্তু কি হচ্ছে এই সব? মানুষ কেন মারা যাচ্ছে? কেন এত রক্তা-রক্তি , হানা-হানি হচ্ছে। উদ্দেশ্য কি শুধু সায়দী সাহেবের ফাসি ঠেকান নাকি অন্য কিছু? আমাদের পরিচয় কি? আমরা আওয়ামিলীগ, বি এন পি , জামাত নাকি অন্যকিছু? আরে ভাই সবার আগে আমরা তো মানুষ। সবার ভেতর এক রক্ত বহমান। কিছু কি করা যায় না এই রক্তা-রক্তি বন্ধ করার জন্য? দিনে দিনে এটা তো আরো বেরেই যাচ্ছে।

কি করা যায়? সায়দী সহ সকল যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসী যেমন আমাদের কাম্য, তার চেয়ে-ও বেশী কাম্য হচ্ছে দেশের সাধারন মানুষের নিচ্চিন্ত জীবনযাপন। দিন শেষে কাজ শেষ করে নিজের প্রিয় মানুষের কাছে ফেরার আনন্দটা , ক্লান্তিভরা চোখে ঘুম দেয়ার মত আনন্দটা কিন্তু হারিয়ে ফেলছি দিনে দিনে। সরকার কি পারছে না এই সহিংসতা বন্ধ করতে? নাকি চাচ্ছে না? বিরোধী দল কি পারছে না অন্তত এই ব্যাপারে কথা বলার জন্য আমাদের সংসদে আসতে? একবার শুধু যদি আপনারা আমাদের কথা ভাবেন, তাহলে তো কোন সমস্যা থাকার কথা না। সকালে এক বন্ধুর সাথে ফোনে কথা হল। তার বক্তব্য হল ঃ আজকের এই পরিস্থিতির জন্য শাহাবাগ আন্দোলন দায়ি।

কারন শাহাবাগ আন্দলোন জামাতকে উস্কানি দিয়েছে, এর চেয়ে নাকি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবি না করলে অন্তত এত মানুষের জীবন বাঁচত। আমি উত্তর দিতে পারিনি। কি উত্তর দিব ভাবতেছি,পারলে আপনারা কেউ আমাকে হেল্প করবেন। গত রাতের কথাঃ অনেক রাতে ছোট মামা ফোন দিয়ে ঘুম ভাঙ্গিয়ে জানালো চাঁদের বুকে সায়দীর ছবি। যদিও জানতাম, তবু-ও জানালয় গিয়ে বোঝার চেষ্টা করলাম ব্যাপারটা কি।

সবার মত আমিও নিশ্চিত হলাম ব্যাপারটা ফাজলামো ছাড়া আর কিছু-ই না। কিন্তু এই ধরনের মিত্থাচারের মানে কি? শুনলাম, বগুরার কোন মসজিদে নাকি এই ব্যাপারে ঘোষনা দেয়া হয়েছে। হাসব না কাদব বুঝতেছি না। সবচেয়ে অবাক ব্যাপার হলঃ যারা -ই কিনা এই মিথ্যাচারের পেছনে আছে তারা কিন্তু তাদের উদ্যেশ্য হাসিল করে ফেলেছে। আমার পরিচিত এক প্রচন্দ ইবাদাতকারী ভদ্র মহিলা দাবী করছেন তিনি এবং তার স্বামী ২ জন-ই নাকি ব্যাপারটা দেখেছেন।

আমি জানি এই মানুষগুলো কোন রাজনৈতিক দলের নয়। তারা কোন এক সময়ে সায়দির ওয়াজ শুনেছিলনে এবং খুব সাভাবিক কারনে-ই তাদের বধ্যমুল ধারনা সায়ীদী খুব উচু স্রেনীর ধার্মিক ব্যাক্তিত্য। আমরা জানি সমাজের নিন্ম আয়ের মানুষগুলো এক ধরনের ফ্যান্টাসির ভেতর থাকতে পছন্দ করে। এই কারনে-ই তাদেরকে খুব সহজে প্রভাবিত করা সম্ভব। সুতরাং বলা যায় যারাই কিনা এই মিথ্যাচার করেছেন, তারা ১০০% সফল।

কিন্তু এত মানুষ মারা যাচ্ছে কেন? আমরা আন্দোলন করে ৪২ বছর আগের গনহত্যার বিচারের রায়ের ব্যাপারে সফল হচ্ছি। কিন্তু আজকের যে সাধারন মানুষ গুলো মারা যাচ্ছে তাদের কি হবে?! কোন ভাবে-ই কি বন্ধ করা যায় না এই হত্যাকান্ড? আমি জানি না এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে কার বা কাহাদের হাত আছে? আমার জানার দরকার-ও নাই। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হবে। আমি শুধু জানি আমরা মানুষ। মুসলমান, হিন্দু, আস্তিক -নাস্তিক যাই হই না কেন ধমনীতে আমাদের একই রক্ত প্রবাহমান।

এইভাবে তো আর চলছে না। চলা উচিত না। কখনো-ই না.। । যখন সব রাজনৈতিক দল এই অস্থির সময়কে নিজেদের পুঁজি হিসেবে ব্যাবহার করছে তখন আমাদের সাধারন মানুষদেরকেই নিজেদের জন্য কিছু করতে হবে।

(আমি জানি যা লিখতে চেয়েছিলাম তার কিছু-ই লিখতে পারিনি, কিন্তু সত্যি মন খুব খারাপ হয়ে আছে এই হত্যাকান্ড গুলো দেখে.। ) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.