আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্বাধীনতা যুদ্ধে বিদেশী মুক্তিযোদ্ধা

সত্য প্রকাশে সংকোচহীন

বাংলাদেশের যখন অস্তিত্বের লড়াই শুরু হয়, তখন ওডারল্যান্ড বাটা সু কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে কর্মরত ছিলেন। মনের তাগিদে ঝাঁপিয়ে পড়েন মুক্তিযুদ্ধে। যোগ দেন সেক্টর-১ এ। পরবর্তীতে সেক্টর-২ এ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন। যোগাযোগ রক্ষা করতেন সকল মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে।

শত্র“দের পরাজিত করার জন্য কৌশল উদ্ভাবন করতেন। কঠিন দিনগুলোতেও হাসি ঠাট্টায় মাতিয়ে রাখতেন সহযোদ্ধাদের। বলতেন অতীত ইতিহাসের কথা। শোনাতেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথা। অনুপ্রেরণা জোগাতেন, উতসাহ দিতেন।

সকল মুক্তিযোদ্ধাকে ভালবাসতেন নিজের সন্তানের মতো। উইলিয়াম এ এস ওডারল্যান্ড এদেশের জন্য যে ত্যাগের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তা সত্যি ইতিহাসে বিরল। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ওডারল্যান্ড টঙ্গীস্থ বাটা কোম্পানীতে কর্মরত ছিলেন। বাংলাদেশের শ্যামল প্রকৃতি ও সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের সরলতার ভালবাসায় উদ্বুদ্ধ হয়ে তিনি বাংলাদেশের সাহসী সেনাদের সাথে যুদ্ধে যোগ দেন। সে সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ প্রদান ও যুদ্ধ পরিচালনায় উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি তিনি নিজেও দখলদার পাকিস্থানী বাহিনীর বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন।

রণাঙ্গনে স্বক্রীয় অংশ গ্রহণের সাথে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার, ঔষধ, অর্থ দিয়ে ফান্ড গঠনের চেষ্টা করেন। এভাবেই তিনি কখনো গোয়েন্দা, কখনও গেরিলা, কখনও ট্রেনার এবং সর্বশেষ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে প্রত্যক্ষ ভুমিকা পালন করেন। দ্বিতীয় স্বাধীনতা যুদ্ধের সৈনিক জীবনের পুরো অভিজ্ঞতা কাজে লাগান তিনি বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে। নিজের নিরাপত্তায় ব্যবহৃত অস্ত্রটিও দান করেন মুক্তিযোদ্ধাদের। পরবর্তীকালে ওডারল্যান্ড পাকিস্থানী বাহিনীর গণহত্যা ও নৃশংসতার ছীব ও ঘটনা আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে তুলে ধরতে চেষ্টা করেন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.