আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রকৌশলীদের প্রতিসঠান আইইবি (Institute of Engineers, Bangladesh) নির্বাচন–অভিজ্ঞতা ও প্রত্যাশাঃ

হতাশা আর দু;খ ব্যাথা যাদের দেখে থমকে দাঁড়ায় আজকে তাদের খুব প্রয়োজন, বিশ্ব এসে দু হাত বাড়ায়।

আইইবি নির্বাচনে ভোট দেবার জন্য আইডি কার্ড লাগবে কারন আগেরটি হারিয়ে ফেলেছি। এক শুভাকাংখী (তার ভোট দরকার, তাই তিনি আমার শুভাকাংখী)মেইলে একটি ফর্ম পাঠিয়েছিলেন, সেটি পূরণ করে কোন এক সুন্দর সন্ধ্যায় হাজির হলাম আইইবি ভবনে। কাউন্টারের ভদ্রলোক বললেন তিন কপি ফর্ম লাগবে। কিন্তু ঐ অফিসে কোন ফর্ম পাওয়া গেল না।

ফটো কপি মেশিনে কাগজ নেই। বাইরে ধারে কাছে ফটোকপি নেই, বাইরে করতে হলে প্রেস ক্লাব অথবা শাহবাগ যেতে হবে। পাশের কাউন্টারে এক ভদ্রলোক চিল্লাচ্ছেন, “আমি তের-দশে (অর্থাত অক্টোবরের ১৩, আমি যেদিন গেছি সেদিন ডিসেম্বর ৪) ফর্ম জমা দিলাম, আমার কার্ড এখনো হল না কেন?” আরেক কর্ণারে আরেকজন কে বলতে শুনলাম কাকে যেন বলছেন, “কোন ভদ্রলোক কে আইইবি তে আসতে দেখেছেন?” আরেক কোনায় একদল লোক তাদের কার্ড খুজছে হন্যে হয়ে। অনেকটা মাছের বাজারের মত অবস্থা। আমি হতাশ হয়ে বের হয়ে যাচ্ছিলাম, এবার আর ভোট দেয়া হবে না......কিন্তু আরেক শুভাকাংখীর (শুভাকাংখী বুঝেছেন তো, মানে তার ভোট দরকার) সাথে দেখা।

সমস্যা বলতেই ফর্মটি নিয়ে রেখে দিলেন, বললের আপনাকে কার্ড পৌঁছিয়ে দেব, আমি হাঁফ ছেড়ে বাচি। খোজ নিয়ে জানলাম শুধু কার্ড দিতে দেরী হচ্ছে তাই নয়, বিভিন্ন রকম ভুলে ভরা কার্ড দেয়া হচ্ছে...কারো নামের বানান ভুল, কার কার্ডে নাম ঠিক আছে কিন্তু ছবি আরেক জনের, কেউ লাইফ মেম্বার হয়েছেন কিন্তু তার কার্ডে মেয়াদ দেয়া হয়েছে দুই বছর ইত্যাদি। প্রকৌশলীদের এই পেশাদার প্রতিসঠান থেকে আরো আধুনিক পেশাদার ব্যাবস্তা আশা করেছিলাম বলেই এই লিখাটির অবতারণা। জুন ২০১০ এর মধ্যে যারা মেম্বার হয়েছেন তারাই ভোটার হয়েছেন। এই বছর নতুন মেম্বার হয়েছেন ধরে নিলাম ৩০০০ জন।

এদের সবারই কার্ড দরকার, সেজন্য সদস্য পদে আবেদনের সাথে ছবিও নেয়া হয়েছে। তাদের কার্ড ছাপিয়ে তাদের ঠিকানায় পাঠিয়ে দিলেই ল্যাঠা চুকে যেত...তা করা হয় নি। এখন এদের প্রত্যেককে একদিন যেয়ে দরখাস্ত করতে হয়, আরেক দিন কার্ড আনতে যেতে হয়। একবার যেয়ে আবার অনেকে কার্ড পাচ্ছেন না। যার ফলে কয়েক বার হয়ত যেতে হচ্ছে—এতে অফিসের উপর বাড়তি চাপ পড়ছে।

নতুন মেম্বারদের কার্ড কুরিয়ারে দিলে যারা হারিয়ে ফেলেছেন তারাই শুধু অফিসে যেতেন, কাজটি খুব সহজ ভাবে সম্পন্ন হত। প্রার্থীদের তালিকা (যেখানে প্রার্থীরা সংক্ষিপ্তভাবে নিজের পরিচিতে লিখতে পারেন, যাতে ভোটার রা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন)নিয়ে আইইবি একটা বই বের করে সকল মেম্বারদের ডাকে পাঠিয়ে দেয়, যেটি দেখে সদস্যদের প্রার্থী বাছাই করার কথা। নির্বাচনী বিধিমালা অনুযায়ি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রচারণা নিষিদ্ধ। প্রায় মাস দুয়েক আগে মনোনয়ন চুড়ান্ত হলেও আজ পর্যন্ত (আজ ০৬ ডিসেম্বর, আগামী ০৯ তারিখে ভোট) সদস্যদের কাছে এই বই আসেনি। এই লিস্ট টি ওয়েবসাইটে দেয়া যেত, তাও দেয়া হয় নি।

আইইবি ভোট গ্রহণ সরাসরি কম্পিউটারে বসে দেয়া যেতে পারে...এখানে ব্যালট পেপারে ছাপানোর দরকার আছে কি? এইটুকু প্রযুক্তিগত অগ্রসরতা আশা করা কি খুব বেশি কিছু? ভবিষ্যতে ওয়েব ভিত্তিক ভোট গ্রহন করা যেতে পারে......যাতে পেশাগত কারণে ব্যাস্ত প্রকৌশলীরাও তাদের ভোট দিতে পারবে। আইইবি কে হেয় করার জন্য এই লিখা নয়। আমিও নিজেও একজন প্রকৌশলী, তাই আইইবির এ সমস্ত ব্যার্থতা বা পশ্চাতমুখিতা নিজের গায়ে এসেও লাগে। কিন্তু এই কথা গুলো আইইবির দ্বায়িত্বশীল ব্যাক্তিদের কাছে পৌঁছানোর মত বড় আমি নই। তাই ব্লগে লিখা।

যারা আইইবির দ্বায়ত্বশীল কাউকে চিনেন, তাদের কে যদি লিঙ্ক টা পাঠান হয়ত তাদের চিন্তার খোরাক হবে।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.