হঠাৎ শুন্যতা ...................
মজার ধাঁ ধাঁ...আসেন দেখি মগজ ধোলাই করি...
দুই বন্ধু কেরামত ও রহমত পদব্রজে দূর দেশে যাচ্ছিল। পথে ক্ষিদা লাগলে তারা এক গাছের ছায়ায় থামলো। দুজনে ঝুলি থেকে খাবার বের কলে দেখা গেল রহমতের কাছে ৫ টি রুটি এবং কেরামতের কাছে ৩ টি। তারা খাবার ভাগ করতে যাবে এমন সময় আরো এক জন পথিক এসে হাজির হলো তাদের কাছে। এই পথিকের কাচে কিন্তু খাবার নেই।
দুই বন্ধু বল্ল, কুছ পরোয়া নেহী...সবাই মিলে সমান ভাগ করে খাবো। তো, দুই বন্ধু আর পথিক সমান ভাগে খাওয়া-দাওয়া সারলে পথিক দুই বন্ধুর প্রতি খুশি হয়ে আট (৮) টাকা দিয়ে বিদায় নিলেন। এখন গোল বাধলো টাকা ভাগ নিয়ে। কেরামত বলে সমান ভাগ হোক, ওদিকে রহমত বলে রুটির অনুপাতে মানে ৫:৩ ভাগ হোক। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ, পরে তারা ঠিক করলো তারা কাজির কাছে গিয়ে সমাধান নিবে।
কাজির দরবারে গিয়ে সমাধানের আর্জী জানালে কাজী দুই প্রকৃয়ার কোনটাতেই না গিয়ে যুক্তি সঙ্গত ভাবে ভাগ করে দিলেন যা দুই বন্ধু মেনে নিতে বাধ্য হলো।
প্রশ্ন হলো, কে কত টাকা পেল? এবং কেন পেল?
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
উত্তরঃ রহমত ৭টাকা আর কেরামত ১ টাকা।
যুক্তিঃ রহমতের ছিল ৫টি রুটি আর কেরামতের ছিল ৩ টি। যদি পথিক সহ তিন জনে সমান ভাগ করে রুটি খায় তাহলে প্রতিটি রুটি তিন ভাগ হয়েছে। তার মানে ৫+৩=৮ টি রুটি ৩ ভাগ করে হলে ৮x৩=২৪ টুকরা।
এখন ২৪ টুকরা সমান ভাগে তিন জনে পেলে প্রতি জনে পায় ৮ টুকরা। সে ক্ষেত্রে কেরামতের ছিল ৩ টি রুটি মানে ৩x৩=৯ টুকরা তার থেকে কেরামত নিজেই খায় ৮ টুকরা। অপর দিকে রহমতের ছিল ৫টি রুটি মানে ৫x৩=১৫ টুকরা যার থেকে সে নিজে খায় ৮ টুকরা আর পথিককে দেয় ৭টুকরা। তাহলে পথিকের ৮টুকরা রুটির মধ্যে ৭টুকরা রহমতের আর ১ টুকরা কেরামতের। তাহলে সেই অনুপাতে রহমত পাবে ৭টাকা আর কেরামত ১টাকা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।