ভস্ম হই। মৃত্যুর চুমু আমার কপোল ছুঁয়ে যায়। বেঁচে উঠি আবার। নতুন দিনের আশায়। বেঁচে উঠি বারবার।
ব্রেইন ড্রেইন শব্দটার মানে হচ্ছে দেশের সোনার ছেলে মেয়েদের বাইরে পাড়ি জমানো। মা বাবা অনেক আশা করে অনেক খরচ করে এক একটা সন্তানকে বড় করেন। তাদের অনেকে সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দেশের মানুষের অর্থে পড়াশুনা করেন। তারপর বিদেশে পাড়ি জমান নিজের শ্রম বিক্রি করতে। দেশের ব্রেইনগুলো ড্রেইনেই চলে যায়।
আমাদের এখানে প্রতিশুক্রবার যখন ছাত্ররা এবং অন্যান্য পরিবার জড়ো হয় তখন মূলতঃ হাসি ঠাট্টাই চলে। তবে মাঝে মাঝে হাসি ঠাট্টার মাঝে সিরিয়াস প্রসঙ্গ চলে আসে। তখন ড্রেইন হওয়া এই ব্রেইনগুলো বড় আফসোস করতে থাকে। হঠাৎ তীব্রভাবে মনে হয় এই ব্রেইনগুলো ড্রেইন হতোনা যদি আমাদের দেশে আমরা আমাদের মেধা ব্যবহার করতে পারতাম।
তবু অনেকে আছেন যারা চেষ্টা করে যাচ্ছেন দেশকে যাতে কিছু ফেরত দিতে পারেন।
AABEA বা আমেরিক্যান সোসাইটি অফ বাংলাদেশী ইঞ্জিনিয়ার এন্ড আর্কিটেক্টস এই লক্ষ্যে অনেক সাহায্য করে যাচ্ছে। বর্তমান উল্লেখযোগ্য সাহায্যের মধ্যে একটি হচ্ছে দেশে একটি ক্যানসার হাসাপাতালকে সাহায্য করা। তাছাড়া অনেকে দেশে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কাজ পাঠাচ্ছেন। এগুলো সবই ভালো উদ্যোগ।
মূল যে ব্যাপারটা বলতে যাচ্ছি যে, যত যাই বলি ব্রেইন ড্রেইন হচ্ছে।
শুধু আমেরিকা না, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, স্পেন, সুইজারল্যান্ড এবং আরো অন্যান্য দেশে আমাদের দেশের মূল্যবান ব্রেইন গুলো চলে যাচ্ছে। হয়ত দেশের বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে এটাই সবচেয়ে সুবিধাজনক প্রসেস।
কবে এই যাওয়া বন্ধ হবে? কবে আমাদের ব্রেইন গেইন হওয়া শুরু হবে? তবে কেউ যে, একেবারে ফিরে যায় না তা নয়। তারপরও সেটা শতকরা এক ভাগ হবেনা।
আমি এই মুহুর্তে ঠিক ভেবে উঠতে পারছিনা কবে ভারতের মতো মেধাগুলো ঘরে ফিরে যাবার চিন্তা করবে? আর কতকাল আমাকে ঘরের বাইরে থাকতে হবে? আর কতকাল দিনগুনতে হবে দেশে ফিরে যাবার জন্য? আর কতকাল?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।