সারাবিশ্বে সংগীতপ্রেমীর সংখ্যা কম নয়। এমন মানুষ মনে হয় না পৃথিবীতে আছে, যাকে কোনও সুর কখনোই মুগ্ধ করেনি। আর এই সঙ্গীতকেই যদি চিকিৎসা হিসেবে বেছে নেয়া হয় তাহলে কেমন হবে বলুন তো? যুক্তরাষ্ট্রের এসোসিয়েটস ফর দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অব সায়েন্স নামের একটি সংগঠন কিন্তু সেরকমই বলছে। শব্দ এবং সুর এই প্রাকৃতিক বিষয় দুটি যে একে অপরের সঙ্গে কোনও না কোনওভাবে জড়িত এ কথা সবাই মানেন। এবার বিজ্ঞানও এ বিষয়ে একমত প্রকাশ করেছে।
আর এ বিষয়টিকেই তারা চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহার করার কথা বলছেন। অতীতে গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের মস্তিষ্কের প্রক্রিয়াধীন অংশে ভাষা এবং সুর একে অপরের সঙ্গে মিশে আছে এবং নতুন গবেষণার মাধ্যমে দেখা গেছে, সুরের থেরাপি স্টোকের রোগীদের কথা বলার ক্ষমতা বৃদ্ধিতে বেশ সহায়ক। তারা আরও বলছেন, সুরশিক্ষা অটির্স্টিক শিশুদের আরও শুদ্ধভাবে কথা বলতে সহায্য করবে।
হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শ্লাগ মিচিংয়ে বলেন, যেসব রোগী তার মস্তিষ্কের বাঁ পাশের অংশে তীব্র স্ট্রোকের সম্মুখীন হয়েছেন এবং কথা বলতে পারেন না, তাদের ক্ষেত্রে অনেক সময় সুরের মাধ্যমে ভাব আদান-প্রদান করা সম্ভব। শ্লাগ একজন রোগীর ভিডিওচিত্র দেখান, যেখানে রোগী কিছু অর্থহীন শব্দ দিয়ে সুর তৈরি করে তার মনের ভাব প্রকাশ করছিলেন।
আরও মজার তথ্য দিয়েছেন নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির অডিটরি নিউরোসায়েন্স ল্যাবরেটরি পরিচালক নিনা ক্রাউস। তিনি বলেছেন, সঙ্গীত মস্তিষ্কের অন্যান্য কাজ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, সুরকাররা কোলাহলপূর্ণ স্থানেও তার পরিচিত কণ্ঠস্বর চিনতে পারেন। তিনি আরও বলেন, আমরা যখন ছোট বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলি, তখন বেশিরভাগ সময়ই আমরা সুর করে কথা বলি। স্যান ডিয়েগোর নিউযেঃঃঢ়://িি.িংড়সবযিবৎবরহনষড়ম.হবঃ/নষড়ম/হধভরংধহড়ধিৎ/হবঢ়িড়ংঃরসায়েন্স ইন্সটিটিউট এর অনিরুদ্ধ ডি. প্যাটেল বলেন, বিশেষ্য এবং ক্রিয়া এ দু’টির স্বর, সুর এবং মাত্রা একে অপর থেকে সম্পূর্ণ আলাদা কিন্তু মস্তিষ্কে প্রক্রিয়ার অংশ এ দুটিকে একসঙ্গেই প্রক্রিয়া করে থাকে।
চার্লস ডারউইনও নাকি অনুমান করেছিলেন, ভাষার আগেই মানুষের সুরবিষয়ক জ্ঞান বৃদ্ধি পেয়েছিল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।