আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অন্ধত্ব মুক্ত জীবন হোক সবার কাম্য

ভুত মোর নাম.. আছর দেয়া যার কাম.. বিগত কয়েকদিন ধরে কিছু বিষয় লক্ষ করলাম, তা লিখে মনকে হালকা করার চেষ্টা করছি। রাজাকার ইস্যুতে শাহবাগ আন্দোলন নিয়ে ফেসবুক ও ব্লগ অর্থাৎ সকল অনলাইন প্ল্যাটফর্মে একটা কঠিন বিবাদ তৈরি হয়েছে। অনেক দিনের বন্ধুত্ব তাসের ঘরের মত ভেঙ্গে পরেছে। কিন্তু এর কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখলাম … এর মূল কারণ হচ্ছে অন্ধত্ব। অন্ধত্ব যে কোনো রকম হতে পারে।

চোখের দৃষ্টি হারালেই যে অন্ধ হয় তা নয়। এই অন্ধত্বের শিকার হয় মানুষের কোমল প্রাণ মন। অর্থাৎ মানসিক অন্ধত্ব। একবার মন যদি অন্ধ হয়ে যায় তাহলে সত্য মিথ্যার ফারাক বোঝা দায়। টিনের চশমা দিয়ে যেমন আকাশ দেখা যায়না তেমনি হৃদয়কে অন্ধ করে ভালোবাসা যায়না।

এই অন্ধত্ব অনেক রকম হয় যেমন ধর্মান্ধ হতে পরে রাজনৈতিক মতাদর্শের অন্ধ। এই ক্ষেত্রে কেউ কারো চেয়ে কম না এরা কেউ হারতে জানেনা। সবার অবস্থা বুসের মত হয় আমার দলে না হয় ওর দলে। মধ্যবর্তী কিছু নেই। এই অন্ধজনদের এতদিনের শালীনতা ভদ্রতা আজ যেনো হারিয়ে গেছে।

এরা সবাই এখন এতটাই আক্রমনাত্মক হয়ে গেছে। যা পৈশাচিকতা হার মানায়। যার সাথে এই একটি ইস্যুতে মিল নাও হতে পারে কিন্তু নিবিড় ভাবে লক্ষ করলে দেখা যাবে অন্য আরো ১০টি ব্যাপারে মিল রয়েছে। কেনো ভাবি সবাই আমার মত করে চিন্তা করবে। প্রতিটি মানুষ আলাদা আলাদা মস্তিস্ক দিয়ে চিন্তা করে।

তাহলে সে তার মতই ভাববে। এই অন্ধজনরা কেউই কিন্তু স্বেচ্ছা অন্ধত্ব গ্রহণ করেনা বেশীর ভাগই দেখা যায় বংশ পরম্পরায় পেয়ে থাকে, আরো সহজ করে বললে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া। যেমন কোনো আওয়ামী লীগের সমর্থকের সন্তানকে দেখা যায়না জামাত করে আবার দেখা যায়না কোনো বি এন পি সমার্থকের সন্তান লীগ করে। দু’একটি ব্যাতিক্রম আছে সেটা এতই কম যা উদাহরণ হিসেবে টানা যায়না। আমি ভাবি তাহলে এদের নিজের বিদ্যাবুদ্ধি কি কাজে লাগলো।

তার মানে বলতে পারি এটা ডি এন এ প্রবলেম। এদের কোনো দোষ নেই। এবং অন্ধত্বের কারণে এরা নিজ দলের মন্দ দিক গুলো দেখতে পায়না। শুধু অন্যের দোষই দেখতে পায়। এই কদিনের আন্দোলনে যাঁদের ভিতরে অল্প অন্ধত্ব ছিলো তারা পূর্ণ অন্ধত্ব গ্রহণ করেছে।

যে হালকা আওয়ামী লীগ সাপোর্ট করতো সে এখন একশ ভাগের উপরে সাপোর্ট করে এটা সমভাবে জামাত বি এন পির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। বি এন পি কিছুটা স্পর্শকাতর অবস্থানে আছে কারণ দুষ্টের সাথে ঘর করলে যা হয়। না পারে কইতে না পারে সইতে, তুমি কি কুয়াশা… ধোঁয়া ধোঁয়া…ধোঁয়া। তবে এই ঘর আওয়ামী লীগও বেঁধেছিলো সেটা মানুষ হয়তো ভুলে গেছে কারণ আবেগ বেশী থাকলে স্মরণশক্তি কম থাকে এটাই স্বাভাবিক। তবে বর্তমান সকল আলোচনাই অতীতকে ঘিরে, অতীতের একটা সুন্দর সমাধানের সাথে সাথে বর্তমানকে সুন্দর করে আগামীকে সুন্দর করতে গেলে কিছু জিনিস অবশ্য করণীয় যা তা হচ্ছে এমনি …মানবতা বিরোধী অপরাধীদের ফাঁসি হোক এবং সমূলে ধ্বংস হোক।

সেই সাথে প্রচলিত ধারার সকল রাজনীতি বর্জন করা জরুরী, রাজাকারের ফাঁসি হবেই কিন্তু তারপর কি হবে? এ কথা নতুন জেগে উঠা প্রজন্ম একবারও ভেবে দেখেছে কি? নাকি সেই প্রথাগত রাজনীতির অপশাসনের বাহু বন্ধনে আবদ্ধ থাকবো ? আবারো কি চাই তারেক মামুনের খাম্বা ব্যবসা, নাকি আবুলে আবুলে সয়লাব। লুটপাট হত্যা ধর্ষন এসব কি আবার চাই? এদের হাতে বন্ধী থেকে উন্নতি আসবেনা কারণ দেশটা এদের কারো স্বামীর কারো বাপের। সেখানে আমাদের মত সাধারণ স্বপ্নচারী মানুষের কোনো স্থান নেই। তাই জেগে যখন উঠছেন অন্ধত্ব মুছে ফেলে সচ্ছ চোখে আন্দোলন করুন। আর এটাও মাথায় রাখতে হবে যে এই ইস্যু শেষ হলে দেশের জন্য কল্যাণকর কোনো ইস্যুতে শাহবাগে দাঁড়াতে পারবো তো ?? নোটঃ ঝটিকা পোষ্ট তাই বানান সারিয়া লইবেন।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।