আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অরণ্যের দিনরাত্রি...

Loading...

নাগরিক জীবনের ব্যাস্ততার ঝাঁপি থেকে মুক্ত হয়ে কখনো কখনো মন হারাতে চায় কোন নিবিড় অরণ্যে। বনানী সেখানে অপরূপ সৌন্দর্যের ডালি সাজিয়ে বসে আছে অপেক্ষায়। সেখানে গেলে অনুভব হয় প্রকৃতির বিশালতা। মনে হয় ঘুম-আহার-জ্যাম আর শুধু ছুটে চলাই জীবন নয়। মাঝে মাঝে চোখ বুঁজে অনুভব করতে হয় নির্মল প্রশান্তি।

তাই ক'জন মিলে ঘুরে এলাম একটা বনে। জায়গার নাম মণীপুর (তবে এখানে কোন মণীপুরী থাকে না)। বনের নাম "শিরিন বাগান"। নাম বাগান হলেও প্রকৃতি মানুষের নিয়ন্ত্রনে থাকেনি। সেজেছে তার নিজের মতো করে।

ছোট ছোট টিলার উপরে বাগান। বাগানের আয়তন ষাট বিঘার উপরে। মালিক আমার নানা। তবে অনেক বছর সেখানে যাওয়া হয়নি। অনেক কিছূই পাওয়া যায় এই বাগানে।

ফলের মধ্যে আম, জাম, কাঁঠাল, পেয়ারা, কমলা, লিচু, শরীফা, জলপাই, তেতুল, কামরাঙা ইত্যাদি বেশি হয়। আর হয় প্রচুর সুপারি। তেজপাতা, দারুচিনি এসবও আছে। তবে সবচেয়ে বেশি আছে বিভিন্ন ধরনের বনজ বৃক্ষ। আরও আছে দূর্লভ কিছু বৃক্ষ।

বাগানের নিচে চাষ হয় ধান। আরও হয় শন, পাট ইত্যাদি। আগে বাগানের যত্নে অনেক সময় দেওয়া হত। নানার কোন ছেলে নেই, তার বয়সও বেড়েছে, এখন আর সেরকম যত্ন করা হয় না। তবু এ বাগানের গভীরতায় হারিয়ে যাওয়া যাবে।

আশেপাশে বসতি খুব কম। এলাকাটা আধুনিক পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। তাই মনে হয় যেন অনেক বছর পেছনে ফিরে এসেছি। মোটের উপর ভালোই ভ্রমণ হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা গাছ থেকে তাজা ফল পেড়ে খেয়েছি, যার মজাই আলাদা।

বাগানে আপনাদেরকেও নিমন্ত্রণ। (নিচে কিছু ছবি শেয়ার করলাম) ভ্রমণ বিষয়ক আরো... ছবি বিষয়ক আরো...


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।